ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্প কিমের আচরণ কিন্ডারগার্টেন শিশুদের মতো ॥ লাভরভ

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ট্রাম্প কিমের আচরণ কিন্ডারগার্টেন শিশুদের মতো ॥ লাভরভ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা¤প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের কথার লড়াইকে কিন্ডারগার্টেনের শিশুদের লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিবিসি। ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংসের হুমকি দেয়ার পর দেশটির নেতা কিম ট্রা¤পকে ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’ ও ‘নির্বোধ বৃদ্ধ’ বলে অভিহিত করেন, এর জবাবে এক টুইটে কিমকে ‘পাগল’ অখ্যায়িত করে ট্রাম্প বলেন, তাকে এমন পরীক্ষার মধ্যে ফেলা হবে যেমনটি আগে কখনও পড়েননি। বিবিসি জানায়, ‘এই মাথা গরমদের শান্ত করতে’ এখন একটি বিরতি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। লাভরভ বলেছেন, চুপ করে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক সামরিক অভিযাত্রা দেখে যাওয়াটা অগ্রহণযোগ্য, কিন্তু কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ শুরু করে দেয়াটাও অগ্রহণযোগ্য। সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সহায়তা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এজন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রক্রিয়ার প্রধান অংশ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। চীন ও আমরা মিলে একটি যৌক্তিক পদ্ধতির জন্য অবিরাম চেষ্টা করে যাব, কিন্ডারগার্টেনের শিশুদের মতো আবেগী কোন কিছু নয়, যেখানে শিশুরা মারামারি শুরু করে এবং তাদের থামানোরও কেউ থাকে না, বলেন তিনি। গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতা দিতে দাঁড়িয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতাকে আখ্যায়িত করেন ‘রকেটম্যান’ নামে। তিনি বলেন, বাধ্য হলে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে ‘পুরোপুরি ধ্বংস’ করে দেবে। জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে এই বিশ্ব সংস্থারই আরেক সদস্য দেশের শীর্ষ নেতাকে যে ভাষায় ট্রাম্প সম্বোধন করেছেন, সেই সঙ্গে যে হুমকি তিনি দিয়েছেন, তাকে জাতিসংঘের সাত দশকের ইতিহাসে ‘নজিরবিহীন’ বলছেন বিশ্লেষকরা। এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ শুক্রবার তাদের ‘স্টেট এ্যাফেয়ার্স কমিশনের চেয়ারম্যান’ কিমের ওই বিবৃতি প্রকাশ করে। পুরো পশ্চিমা বিশ্বের বিপরীতে কাযর্ত একঘরে হয়ে থাকা উত্তর কোরিয়ার নেতার এভাবে ইংরেজীতে বিবৃতি দেয়ার ঘটনাও নজিরবিহীন বলে জানিয়েছে বিবিসি। কিম সেখানে ট্রাম্পের জন্য এমন কিছু অপ্রচলিত ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করেছেন, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো রীতিমতো গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। উত্তর কোরিয়া একের পর এক পারমাণবিক বোমা ও ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা শুরুর পর থেকে গত কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের কথার লড়াই চলছে। কিম তার বিবৃতি শেষ করেছেন এভাবে- ‘আমি অতি অবশ্যই ওই বিকারগ্রস্ত উন্মাদ বুড়োকে আগুনে পুড়িয়ে বশ মানাবো।’ এই বাগযুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় দুই দেশকেই সতর্ক করে চীন বলেছে, পরিস্থিতিটা এখন যথেষ্ট ‘জটিল আর নাজুক।’ চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র লু ক্যাং বলেছেন, পরস্পরকে উস্কানি না দিয়ে সব পক্ষেরই এখন সংযত হওয়া উচিত। সংযত হওয়ার কথা রাশিয়াও বলেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন ক্রমশ বাড়তে থাকা এই উত্তেজনা নিয়ে মস্কো উদ্বিগ্ন।
×