ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। এজন্য তিনি নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। শনিবার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে রাজনীতিবিদ কাজী জাফর আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখনও কোন জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে পারেনি। আমরা এ কথাগুলো বললে তারা বলেন বিএনপির সঙ্গে ঐক্য হবে না। বিএনপির সঙ্গে ঐক্য হবে কি করে কারণ বিএনপি তো সত্যিকার অর্থের একটি জনপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল। কোন কিছুর বিনিময়ে বিএনপি নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেবে না। মির্জা ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাকে আওয়ামী লীগের সাড়া না দেয়া ক্ষমতাসীনদের ব্যর্থতা। এর আগেও রোহিঙ্গারা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে দুইবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। তখন তৎকালীন সরকার প্রধান জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীকালে খালেদা জিয়া তাদের আশ্রয় দিয়ে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। এবারও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে দেয়া বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে পরবর্তীতে ফেরত পাঠানোর কথা বলেছেন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আজকে এই জিনিসগুলো উপলব্ধি করতে এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, অন্য কোন কারণে নয়, রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় বিএনপি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে। আমরা জনগণের সঙ্গে ঐক্য করেই এই সঙ্কট মোকাবেলা করতে সমর্থ হবো। রোহিঙ্গাদের জন্য নিয়ে যাওয়া বিএনপির ত্রাণ কাজে বাধা দেয়া প্রসঙ্গে তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, এটি কোন ধরনের হীনম্মন্যতার রাজনীতি। ভয় পান বলেই এ ধরনের কাজ করেন। এই সংকীর্ণ রাজনীতি বাদ দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্কা সঙ্কট মোকাবেলা করুন। ফখরুল বলেন, জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ হত্যাকা-কে কেন গণহত্যা বলেননি? কেন মিয়ানমারের কর্মকা-ের নিন্দা জানাননি? দেখেই বোঝা যায় এখনও সেই বশংবদ রাজনীতিতে আছেন। এখনও আপনারা ভয় পান যে মিয়ানমারকে যারা সমর্থন দিচ্ছে তারা যদি বিরাগভাজন হয়ে যান! এখানেই বিএনপির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের পার্থক্য। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত ও চীনের অবস্থানের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে গণচীনের পাশে একসময় সারা বিশ্ব ছিল তারা এই সঙ্কট বুঝতে পারছে না। যে ভারত একাত্তরে আমাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতা দেখিয়েছে তারাও এই সঙ্কট বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘ, তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশ ও কূটনীতিকরা পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানিয়েছে এবং রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ নিয়ে আসছেন তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
×