ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নবীনগরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা অগ্নিসংযোগ ॥ নারীসহ আটক ১১

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নবীনগরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা অগ্নিসংযোগ ॥ নারীসহ আটক ১১

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ নবীনগর উপজেলায় দুই ইউনিয়নের পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় অর্ধশত বাড়িঘর হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এ ঘটনায় দুই নারীসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, গ্রামে আধিপাত্য বিস্তার কেন্দ্র করে উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের আনোয়ারের গোষ্ঠী ও কালার গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে সাহেব বাড়ি লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার সকালে আনোয়ারের গোষ্ঠী ও কালার গোষ্ঠীর লোক দেশীয় অস্ত্র রামদা, বল্লম, টেটা, ছুরি ও লাঠি নিয়ে সাহেব বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। ঘণ্টাব্যাপী হামলাকালে সাহেব বাড়ির অর্ধশত বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। সাহেব বাড়ির কুলসুম বেগম, কর্নেল শাকিল, মোল্লা মিয়া, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, সোহরাব মিয়ার, কালা মিয়া, ইছহাক মিয়ার ঘরের বেড়া হামলা চালানো হয়। তাদের ঘরে দেশীয় অস্ত্রের কোপের চিহ্ন দেখা গেছে। তাদের প্রত্যেকের ঘরের আসবাবপত্র বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছটিয়ে পড়ে রয়েছে। ঘটনার সময় অন্তক মোমিন মিয়া, জজ মিয়া, মামুন ও কালা মিয়া ও কুলসুম বেগমের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। অন্তত পাঁচ বসতঘরে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। ঘরের ভেতরে গৃহসামগ্রী খাট, টেলিভিশন, ফ্রিজ, আলমারি, শোকেজ, কাপড়সহ অন্যান্য জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে যায়। পরে সংঘর্ষ পাশের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাজির হাটি, সাতঘর হাটি ও থানাকান্দি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানেও বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। সাহেব বাড়ির বাসিন্দা বরকত মিয়া জানান, আমরা তাদের সঙ্গে কোন সংঘর্ষ লিপ্ত হয়নি। ফিল্মিস্টাইলে তারা আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের কয়েক লাখ টাকার জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। আমতুলি পূর্বপাড়া গ্রামের মোল্লা মিয়া, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, সোহরাব মিয়ার, কালা মিয়া বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী নিয়ে কবির চেয়ারম্যান ও জহির রায়হানের লোকজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরেই বার বার এ ঘটনা ঘটছে। সাহেব বাড়ি জহির রায়হান বলেন, নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ওই দুই গোষ্ঠীর লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহামেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনটি পাশের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে ঘটেছে। হয়ত বীরগাঁওয়ের কিছু লোক সেখানে গিয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত সেই লেবানন থেকে। যদি আমার এলাকায় ঘটত তাহলে আমাকে দোষারোপ করা যেত। এই ঝগড়ার সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম সিকদার বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দুই নারীসহ ১১ জনকে আটক করেছে।
×