ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব মিয়ানমারের

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব মিয়ানমারের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে মিয়ানমার। রাখাইনে সহিংসতা শুরু হওয়ার প্রায় এক মাস পর বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং টুনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর বৈঠকে মিয়ানমার এ প্রস্তাব দেয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। সূত্র জানায়, গত বছরের অক্টোবরে রাখাইনে সহিংসতা শুরু হলে মিয়ানমার তিন মাস সময় নিয়েছিল দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসার জন্য। সেবার জানুয়ারি মাসে মিয়ানমার সরকার ‘কেউ টিন’ নামে এক বিশেষ দূতকে কোন ম্যান্ডেট ছাড়াই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য ঢাকায় পাঠায়। এরপর সেটি ভেস্তে যায়। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ থেকে একটি সূত্র জানায়, নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করতে বলা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে পাঁচ দফা তার ভাষণে উল্লেখ করেছেন তার ওপর ভিত্তি করে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। বৈঠকে মিয়ানমারের উপদেষ্টা জানান, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়ভাবে বসতে চায়। সরকারের আরেকটি সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক চাপের কারণে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে বসতে রাজি হয়েছে। কিন্তু এটি চাপ লঘু করার কৌশল। যেটি এর আগে মিয়ানমার প্রয়োগ করেছে। অক্টোবর পরবর্তী সহিংসতার কথা উল্লেখ করে সূত্রগুলো জানায়, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বসতে তিন মাস সময় নিয়েছিল। এমন একজনকে পাঠিয়েছিল যার কোন ম্যান্ডেট ছিল না। কিন্তু একই ধরনের সহিংস ঘটনা ডিসেম্বরে চীন সীমান্তে হওয়ার দুই দিনের মধ্যে দু’পক্ষের সামরিক বাহিনীর জেনারেল পর্যায়ে বৈঠক হয়েছিল। সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশ সরকার শান্তিপূর্ণভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায়। অবশ্যই বৈঠকে বসে বাংলাদেশ সরকার তাদের (মিয়ানামারের) উদ্দেশ্য সম্পর্কেও সজাগ থাকবে। এর আগে গত মে মাসে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করে মিয়ানমার সরকারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। এর আগেও বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গারা ফেরত গেছে। ওই পরিকল্পনায় সচিব বা অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের বৈঠকের কথা বলা আছে, যারা পুরনো পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে নাকি নতুন কোন উপায় বের করা হবে সেটি নিয়েও আলোচনা করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
×