ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কার হচ্ছে ঢাকার ৩১ খেলার মাঠ

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সংস্কার হচ্ছে ঢাকার ৩১ খেলার মাঠ

মশিউর রহমান খান ॥ পরিবেশবান্ধব ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিক সকল সুবিধাসহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ডিজিটাল ৩১টি পার্ক ও খেলার মাঠ নতুন করে সংস্কার করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। নাগরিকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ও নারী, শিশু এবং বৃদ্ধদের বিশেষ সুবিধার্থে অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করে এসব পার্ক ও খেলার মাঠ গড়ে তুলতে কাজ করছে সেবাদানকারী সংস্থাটি। প্রতিটি পার্ক ও খেলার মাঠকে সবুজায়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নক্সায় এসব পার্ক ও মাঠকে অধিক নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে ও আধুনিকতার সমন্বয় ঘটাতে কমপক্ষে ৭০ জন স্থাপত্যবিদ নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। অতি প্রয়োজনীয় এ উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করতে ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ ‘জলসবুজে ঢাকা’ নামের একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর পুরান ঢাকার ২৬ নং ওয়ার্ডের রসুলবাগ শিশু পার্ক ও শহীদ আব্দুল আলীম খেলার মাঠের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু করেছে ডিএসসিসি। মেয়র সাঈদ খোকন প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। মূলত ডিএসসিসি রাজধানী ঢাকাকে বদলে দেয়ার প্রত্যয়ে এ মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানা গেছে। জলসবুজে ঢাকা নামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের এ মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২শ’ কোটি টাকা। প্রকল্পের ৭০ ভাগ অর্থ দেবে সরকার আর ৩০ ভাগ অর্থ ব্যয় করবে সিটি কর্পোরেশন। জানা গেছে, গড়ে প্রতিটি পার্ক সাজাতে ব্যয় হবে প্রায় ৪ কোটি টাকা। তবে আয়তন বুঝে কম-বেশি ব্যয় করা হতে পারে। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হলেও ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ আগামী বছরের জুলাই মাস অর্থাৎ এক বছরের মধ্যেই বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। নাগরিক সুবিধার্থে এই সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে প্রয়োজনীয় কর্মকা- সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে। আধুনিক নগরীর মোট আয়তনের কমপক্ষে ১০ শতাংশ পার্ক ও খেলার মাঠের সুবিধা থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রাজধানীতে প্রায় ৪ শতাংশ পার্ক ও খেলার মাঠ রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্ততপক্ষে একটি করে পার্ক থাকার কথা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এর দেখা মেলে না। এছাড়া নতুন করে পার্ক ও খেলার মাঠ তৈরির কোন উদ্যোগও নিচ্ছে না সিটি কর্পোরেশন। এমনকি যেসব পার্ক ও খেলার মাঠ রয়েছে এর মধ্যে বেশিরভাগ পার্ক ও খেলার মাঠই ব্যবহারের অনুপযোগী ও অবৈধ দখলে রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ধূপখোলা মাঠের একটি অংশের আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন শিশুপার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যেসব পার্ক সংস্কারের আওতায় আনা হবে সেগুলো হচ্ছে, কাওরান বাজারের সার্ক ফোয়ারা সংলগ্ন পান্থকুঞ্জ পার্ক, ওসমানী উদ্যান, যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা পার্ক, শরাফতগঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারসংলগ্ন পার্ক, বশির উদ্দিন পার্ক, আউটফল স্টাফ কোয়ার্টার শিশুপার্ক, মতিঝিল পার্ক, ধানম-ি ৩ নম্বর গেট সংলগ্ন পার্ক, হাজারীবাগের গজমহল পার্ক, বকশীবাজার পার্ক ও রসুলবাগ শিশুপার্ক, গুলিস্তান পার্ক, জিন্দাবাজারের সিরাজ-উদ-দৌলা পার্ক, জগন্নাথ শাহ রোড পার্ক, হাজারীবাগ পার্ক, নবাবগঞ্জ পার্ক, মাজেদ সরদার রোডের সিক্কাটুলি পার্ক, ইংলিশ রোডের মালিটোলা পার্ক, বংশাল পুরাতন চৌরাস্তার ত্রিকোণাকৃতি পার্ক। অন্যদিকে খেলার মাঠের তালিকায় রয়েছে, কলাবাগান খেলার মাঠ, বালুরঘাটের মাঠ, শহীদ আব্দুল আলিম মাঠ, রহমতগঞ্জ মাঠ, বাসাবো মাঠ, দেলোয়ার হোসেন মাঠ, আমলিগোলা খেলার মাঠ, শহীদনগর মিনি স্টেডিয়াম, সামসাবাদ খেলার মাঠ, বাংলাদেশ মাঠ, গোলাপবাগ মাঠ ও সাদেক হোসেন খোকা মাঠ। জানা গেছে, ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ এসব পার্ক ও খেলার মাঠ ইতোমধ্যেই অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। এক সময় এসব পার্কে ছোট ছোট দোকান, বস্তিঘর তৈরি করে স্থানীয় লোকজন ব্যবসা পরিচালনা ও ভাড়া আদায় করত। কিছু মাঠে সন্ধ্যার পর অসামাজিক কর্মকা- পরিচালনা হতো বলে জানা গেছে। মূলত ছিনতাইকারী, গাঁজাখোর ও ছিঁচকে চোরদের আস্তানা ছিল এসব পার্ক ও খেলার মাঠ। এসব পার্ক ও মাঠের মধ্যে এমনও পার্ক রয়েছে যে পার্কে কোন প্রকার গাছ পর্যন্ত নেই। কিছু পার্কে বসার পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেই। শিশুদের খেলার কোন সামগ্রী পর্যন্ত নেই। কিন্তু নামে এটি শিশুপার্ক। নিরাপত্তাহীনতা আর নোংরা পরিবেশের কারণে স্থানীয় বস্তি বা নি¤œ শ্রেণীর লোকজনের যাতায়াত বেশি চোখে পড়ে। এছাড়া সামান্য বৃষ্টিতেই এসব পার্কে পানি জমে। আবার এমন খেলার মাঠ রয়েছে যেখানে খেলার কোন ধরনের সামগ্রী চোখে পড়ে না। সারাবছর কোন ধরনের খেলার আয়োজন হয়েছে বা শেষ কবে খেলার আয়োজন হয়েছে তাই ভুলে গেছে এলাকাবাসী। কিছু মাঠ দেখে বোঝারও উপায় ছিল না যে, এখানে একটি খেলার মাঠ আদৌ ছিল কি না। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সংস্কারের পর অতি দ্রুত নাগরিকদের জন্য এসব স্থাপনা খুলে দেয়া হবে। স্থানীয় কমিউনিটির সহায়তায় নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব পার্ক ও খেলার মাঠে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) টিভির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির পরিকল্পনা করেছে ডিএসসিসি। এর মাধ্যমে যে কোন মুহূর্তে পার্ক ও খেলার মাঠগুলোতে অপ্রীতিকর ঘটনা বা কোন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে খুব সহজেই তার সমাধান করা সম্ভব হবে। তবে সিসি ক্যামেরা প্রকল্প বাস্তবায়নের পর নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে চালু করা হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া দিনে ও রাতে ব্যবহারের জন্য পার্কগুলো খোলা রাখা হবে। আধুনিক সুবিধার অংশ হিসেবে পার্ক ও খেলার মাঠে নাগরিকদের যাতায়াত বৃদ্ধি করতে ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগ দেয়া হবে। ব্যায়ামের জন্য থাকবে আধুনিক যন্ত্রপাতি। সর্বসাধারণের পাশপাশি প্রতিবন্ধীদের চলাচলের জন্য পার্ক ও খেলার মাঠে আলাদা ব্যবস্থা রাখা হবে। ডিএসসিসি সূত্র জানায়, পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সংস্থাটি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের কাজ করছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এসব পার্ক ও মাঠের সরকারী জমি দখল করে তারা বেশ কিছু স্থায়ী স্থাপনাও তৈরি করেছে। যা পুরোপুরি দখলমুক্ত করে সীমানা নির্ধারণের কাজ করছে ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজায়ন বাড়াতে পার্কগুলোতে অধিক পরিমাণ দেশী বিদেশী গাছ রোপণ করা হবে। পার্কের ও মাঠের ভেতরে থাকবে আধুনিক ড্রেনেজ সিস্টেম। মাঠের কোন স্থানে পানি জমলে তা সঙ্গে সঙ্গেই নিষ্কাশনের জন্য পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা হবে। এছাড়া প্রতিটি পার্কেই জমি থাকা সাপেক্ষে ছোট আকৃতির একটি করে আধুনিক টয়লেট স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে প্রকল্প সূত্রে এছাড়া নাগরিকদের সুবিধার্থে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে। সকাল সন্ধ্যায় হাঁটার জন্য সীমানার চারদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। ব্যায়াম ও খেলাধুলার পরে হালকা নাস্তার জন্য পার্ক ও খেলার মাঠের পাশে থাকবে ছোট ফুড কোর্ট বা অস্থায়ী দোকান । অবৈধ দখল রোধে এসব পার্কে বা মাঠের জমিতে কোন প্রকার স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করতে দেবে না ডিএসসিসি। মাঠে পর্যাপ্ত ঘাস লাগানো ও সীমানা নির্দিষ্টকরণ থাকবে। সন্ধ্যার পর নির্বিঘেœ যাতায়াতের জন্য পার্কেও ভেতর পর্যাপ্ত পরিমাণ বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি পার্ক ও খেলার মাঠে অবস্থানকারীদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতের দখল রোধে সীমানা নির্ধারণ করে পার্ক ও খেলার মাঠের চারপাশে দেয়াল তৈরি করা হবে। এসব স্থাপনাকে সংরক্ষিত রাখার জন্য দুর্ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষণিক গেট লাগানো থাকবে। এসব গেট দিয়েই সবাইকে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া রাতের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এই গেট খোলা থাকবে। তবে প্রাতঃভ্রমণের জন্য ভোরে আবার গেট খুলে দেয়া হবে। মাঠের অভ্যন্তরে অবস্থানকারীদের নিরাপত্তায় ও সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় সহযোগিতা করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ দেয়া হবে। তবে পরিচালন ব্যয় বহন ও পার্কের সৌন্দর্য রক্ষায় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যেন শ্রীহীন হয়ে না পড়ে এ জন্য নিরাপত্তারক্ষীর পাশাপাশি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় অর্থ সংস্থান ও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে। এজন্য ৭০ জন স্থাপত্যবিদ স্থানীয় নাগরিকদের উৎসাহ প্রদানে কাজ করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন জনকণ্ঠকে বলেন, রাজধানীতে বসবাসকারী নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নের কথা ভেবে ও নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে পরিবেশবান্ধব, সবুজ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে আমার সীমানায় থাকা ১৯টি পার্ক ও ১২টি খেলার মাঠকে ব্যবহার উপযোগী করতে উদ্যোগ নিয়েছি। ‘জলসবুজে ঢাকা’ নামে আমরা সবুজ আর জলের মিশ্রণে উন্নত বিশ্বের ন্যয় আধুনিক স্মার্ট সিটি ঢাকা গড়তে একটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দুই শ’ কোটি টাকা। প্রকল্পে সরকার ৭০ ভাগ ও ৩০ ভাগ ডিএসসিসি অর্থায়ন করবে। আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই প্রকল্পটির কাজ শেষ করে নাগরিকদের ব্যবহারের জন্য খুলে দিতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এজন্য সকল পার্ক ও মাঠ দখলমুক্ত করা হয়েছে। সাঈদ খোকন বলেন, পরিবেশবান্ধব ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিক সকল সুবিধাসহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ডিজিটাল এসব পার্ক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলা হবে। নাগরিকদের যুগোপযোগী চাহিদার কথা বিবেচনা করে ও নারী, শিশু এবং বৃদ্ধদের বিশেষ সুবিধার্থে এ প্রকল্পটির মাধ্যমে স্থানীয় নাগরিকদের সহায়তায় আমরা পার্ক ও খেলার মাঠগুলোকে নাগরিকদের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। এটি নাগরিকদের অধিকার। এসব স্থাপনার সৌন্দর্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ও যে কোন দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা স্থানীয় কমিউনিটিকে সঙ্গে নিজে কাজ করব। পার্ক ও খেলার মাঠ ব্যবহার ও পরিচালনার জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। পার্ক ও মাঠগুলোকে নাগরিকগণ নিশ্চিন্তে ব্যবহারের জন্য সীমানা দেয়াল, গেট, সিসি টিভি, নিরাপত্তা প্রহরীর ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইড, বসার চেয়ার, প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে তৈরি, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, পাবলিক প্লাজা তৈরি, ফুড কোট, পানি না জমতে আধুনিক ড্রেনেজ সিস্টেম, ডিজিটাল ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ও অবসর সময় কাটাতে ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগ প্রদান, ব্যায়ামের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ নানা সুবিধা থাকবে। এছাড়া প্রতিটি পার্ক ও খেলার মাঠকে সবুজায়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এজন্য প্রচুর পরিমাণ দেশী-বিদেশী গাছ লাগানো হবে। আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা হিসেবে গড়ে তুলতে নক্সা তৈরি ও বাস্তবায়নে আধুনিকতার সমন্বয় ঘটাতে কমপক্ষে ৭০ জন স্থাপত্যবিদ নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছেন। আশা করি এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের মাধ্যমে নাগরিকগণ ‘জলসবুজে ঢাকায় বাঁচার স্বপ্ন’ দেখতে পারবেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে তিনি সংশ্লিষ্টদেরসহ সকল নাগরিকের সর্বোচ্চ সহায়তা কামনা করেন।
×