ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণের হুমকি ॥ চিরকুট লিখে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ধর্ষণের হুমকি ॥ চিরকুট লিখে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানিসহ অপহরণের পর ধর্ষণের অব্যাহত হুমকির মুখে অভিমান করে চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক দাখিল পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণকাঠী গ্রামের। শুক্রবার সকালে নিহতের মা রাজিয়া বেগম অভিযোগ করেন, বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রতিপক্ষের প্রভাবশালীরা এখনও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। নিহত ছাত্রী তানজিলা আক্তার (১৫) উপজেলার উত্তর পশ্চিম দুধল মৌ আহম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী ছিল। সে কৃষ্ণকাঠী গ্রামের বশির আকনের কন্যা। মৃৃত্যুর পূর্বে তানজিলার লেখা চিরকুট সূত্রে জানা গেছে, একই বাড়ির নুর হোসেনের কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনায় সহায়তা করার অভিযোগে তানজিলাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তিন নম্বর আসামি করে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করা হয়। এছাড়াও তানজিলাকে বিভিন্ন সময় অপমান অপদস্ত করাসহ অপহরণের পর ধর্ষণের অব্যাহত হুমকির মুখে সে মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছে। নিহত তানজিলার মা রাজিয়া বেগম জানায়, তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য নুর হোসেন, তার ভাই হানিফ হাওলাদার, হানিফের স্ত্রী পিয়ারা বেগম, কন্যা সুরমা এবং তাদের সহায়তাকারী গ্রাম্য সুদি মহাজন জাকির হাওলাদার দায়ী। তিনি আরও জানান, একই বাড়ির নুর হোসেন তার মেয়ে তানজিলাকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই বিভিন্ন ধরনের হয়রানি শুরু করা হয়। থানা পুলিশের তদন্তে ঘটনার সঙ্গে তানজিলার সম্পৃক্ততা না পেয়ে ওই মামলা থেকে পুলিশ তানজিলার নাম বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ওই চার্জশীটের বিরুদ্ধে নুর হোসেন আদালতে আপীল করে। আগামী রবিবার ওই মামলায় আদালতে হাজিরার তারিখ ছিল। নুর হোসেন ও তার সহযোগীরা তানজিলাকে অপহরণ করে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে আসছিল। তাদের অব্যাহত হুমকির মুখে বুধবার রাতে একটি চিরকুট লিখে পরিবারের সবার অজান্তে অভিমানী মাদ্রাসা ছাত্রী তানজিলা ঘরের পেছনের আমগাছের ডালের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
×