ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেট-জকিগঞ্জ ও আটগ্রাম সড়ক বেহাল

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সিলেট-জকিগঞ্জ ও আটগ্রাম সড়ক বেহাল

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেট-জকিগঞ্জ ও আটগ্রাম-জকিগঞ্জ প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল রূপ ধারণ করেছে। সড়ক ও জনপথের আওতাধীন সিলেট-কালিগঞ্জ-জকিগঞ্জ সড়কের ৯১ কিলোমিটার ও স্থানীয় সরকারের অধীনে আটগ্রাম থেকে জকিগঞ্জ পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে গিয়ে সড়কজুড়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙ্গাচোরা সড়কের কারণে সীমান্ত অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অসংখ্য গর্তে ভরা রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে। ফলে এসব গর্তে আটকা পড়ে যানবাহন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিবাহিত হয়। চলতি বছরে একাধিকবার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতি সড়ক সংস্কারের দাবিতে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘট পালন করলে দাবির মুখে পড়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বড় বড় গর্তে ইট দিয়ে জোড়াতালি দেন। এই জোড়াতালির কারণে আগের চাইতে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে আরও বহুগুণ। জেলা শহরের সঙ্গে সীমান্ত অঞ্চলের একমাত্র সড়ক দিয়ে সিলেটের জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর, বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, শ্রীমঙ্গল, জাফলংসহ বিভিন্ন উপজেলার অগণিত মানুষ যাতায়াত করেন। প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন বিভিন্ন কোম্পানির মালবাহী গাড়িসহ সরকারী-বেসরকারী যানবাহন চলাচল করে থাকে। কলাপাড়ার ১১ কিমি নিজস্ব সংবাদদাতা কলাপাড়া থেকে জানান, কলাপাড়া-কুয়াকাটা ২২ কিলোমিটার মহাসড়কের পাখিমারা থেকে মৎস্য বন্দর মহিপুর পর্যন্ত ১১ কিমির চরম বেহাল দশা। এছাড়া আলীপুর চৌরাস্তা থেকে অগ্রণী ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত ২০০ মিটার সড়ক যেন খালে পরিণত হয়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। অটো-টমটম-রিক্সাসহ ছোট যানবাহনে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দুই/তিন মাস পরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগ শরীরের ক্ষত ঘাঁয়ে মলম লাগানোর মতো খানা-খন্দে খোয়া-বালু দিয়ে মেরামত করে আসছে কিন্তু এক/দুই পশলা বৃষ্টির পরে যানবাহনের চাকায় ওইসব উঠে যায়। আবার যেই সেই অবস্থা। ঠিকাদারের একটি মামলার কারণে সড়কটি সম্পূর্ণভাবে ফের টেন্ডার দিয়ে মেরামত করার সুযোগও নেই বলে সওজের দাবি। সরেজমিনে দেখা গেছে, পাখিমারা থেকে মৎস্য বন্দর মহিপুর পর্যন্ত সড়কটির বিভিন্ন স্থানের কার্পেটিং উঠে গেছে। বের হয়ে গেছে ইট-বালু-খোয়া। অধিকাংশ পথে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কজুড়ে খানা-খন্দে একাকার। এছাড়া বৃষ্টিতে এসব গর্তে পানি জমে সড়কটির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে। অপরদিকে আলীপুর চৌরাস্তা থেকে অগ্রণী ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত অংশে ২০০ মিটারের চরম বেহাল দশা হয়েছে। তিন বছর এ অংশে কোন মেরামত নেই। সড়কের ওই অংশ এখন খালে পরিণত হয়েছে। ফলে পণ্যবাহী যানবাহন, মাইক্রো-প্রাইভেটকার চলার সময় কাঁদাপানিতে একাকার হয়ে যায় দোকানদারসহ চলাচলকারী পথচারী। কয়েক দফা ইট দেয়া হয়েছে সড়কটির ওই অংশে। কিন্তু মাছ পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচলে সড়কটির এই দুশ’ মিটার এখন পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে।
×