তিন দিন আগে মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৩ হয়েছে। দেশটির ইমার্জেন্সি সার্ভিসের প্রধান এবং প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে ভূমিকম্পে নিহতের নতুন এই সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার দুপুরে ৭ দশমিক ১ মাত্রার এই ভূমিকম্পে মেক্সিকো সিটিসহ এর আশপাশের কয়েকটি রাজ্যজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মেক্সিকো সিটিতে অন্তত ৪৪টি বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে, বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। খবর বিবিসি ও ওয়েবসাইটের।
বিভিন্ন স্থানে গ্যাস লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; কয়েকটি ভবনে অগ্নিকা-ও হয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার কাজ চলছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা উদ্ধারকর্মীদের। শুধু মেক্সিকো সিটিতেই অন্তত ১০টি ধসে পড়া ভবনের ধ্বংস্তূপের নিচে জীবিত মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে বিশ্বাস তাদের। ‘সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে’ ভূমিকম্প দুর্গতদের উদ্ধার কাজ চলছে বলেন জানান প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতো। বেলা ১টার পর পর ভূমিকম্পে সবকিছু কাঁপতে শুরু করলে মানুষ আতঙ্কে রাস্তার বেরিয়ে আসে। এ সময় বিদ্যালয়গুলো খোলা ছিল, ফলে ধসে পড়া স্কুল ভবনে অনেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কোয়াপা এলাকায় ধসে পড়া স্কুলে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিহত ২২ শিশুসহ মোট ২৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা আরও ৩০ শিশুর মধ্য থেকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে ১১টি শিশুকে। একই ধরনের আরও উদ্ধার অভিযানে দেশজুড়ে বিভিন্ন ভবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জীবিত ৫০ জনকে। ভূমিকম্পে আরও ২০৯টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টিতে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মেক্সিকো সিটিতেই নিহত হয়েছে ১০২ জন। আর আশপাশের রাজ্যগুলোতে নিহত হয়েছে ১৩৫ জন। ভয়াবহ এ দুর্যোগের শিকার হওয়া মানুষদের জন্য দেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মেক্সিকো সিটি থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে পুয়েবলা রাজ্যের আতেনসিঙ্গো এলাকায়। কেন্দ্র ছিল ভূ-পৃষ্ঠের ৫১ কিলোমিটার গভীরে। এ মাসের শুরুতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্পে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়।
