ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিম

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিম

ভারতে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত পলাতক দাউদ ইব্রাহিম বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করছে। ভারতীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা দাউদের ভাই ইকবাল কাসকারের স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা বলেছেন। ইকবাল পাকিস্তানে দাউদের ব্যবহৃত চার-পাঁচটি ঠিকানা দিয়েছে। বিশ্বসন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে অবস্থান করছে বলে ভারতের যে অভিযোগ রয়েছে তা বারবার অস্বীকার করে এসেছে ইসলামাবাদ। করাচী ও অন্যান্য শহরে দাউদের ৯টি ঠিকানা সংবলিত যে তালিকাটি ভারত পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করেছে তার প্রতি সমর্থন মেলে কাসকারের দাবিতে। থাপে পুলিশের এ্যান্টি এক্সটোরশন সেল ১৮ সেপ্টেম্বর কাসকার (৬০) ও তার ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। এ সেল দাউদের বিরুদ্ধে জোর করে অর্থ আদায়ের অভিযোগের তদন্ত করছে। এ ঘটনার সঙ্গে কয়েকজন রাজনীতিবিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। দাউদের ভাইদের মধ্যে একমাত্র ইকবালের তৎপরতা এখন মুম্বাইভিত্তিক বলে বলা হয়েছে। ইকবাল তদন্তকারীদের কাছে এ তথ্যও জানিয়েছে যে, দাউদ গত তিন বছর ধরে তার সঙ্গে এবং ভারতে অবস্থানরত অন্য আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা এড়িয়ে চলছে। তার আশঙ্কা ফোনে তাদের সঙ্গে কথা বললে তা টেপ করা হবে। আনিস আহমেদ নামে অন্য এক ভাইয়ের সঙ্গে যেগাযোগ থাকার কথা স্বীকার করেছে ইকবাল। আনিস আহমেদ দাউদের অপরাধ সাম্রাজ্য চালাতে সহায়তা করে। ইকবাল জানায়, আনিস ঈদ ও অন্যান্য পর্বে আন্তর্জাতিক নম্বরে তার মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে কথা বলেছে। ইকবাল গত তিন বছর ধরে থাপে এলাকায় ডেভেলপার ও জুয়েলারদের কাছ থেকে প্রায় ১শ’ কোটি রুপী আদায় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে দাউদের জড়িত থাকার বিষয়টি সে অস্বীকার করেছে। ইকবাল কোন ধরনের চাঁদবাজির সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছে। তার দাবি, নির্মাতাদের সঙ্গে তার ব্যবসা রয়েছে। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ইকবাল তদন্তে সহযোগিতা করছে না এবং মুখ খুলছে কদাচিৎ। কিন্তু সে স্বীকার করেছে যে, তার বড়ভাই আনিস আহমেদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। আনিস আহমেদ ১৯৯৩ সালে সিরিজ বোমা হামলায় জড়িত ছিল। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাটি বলেন, ইকবাল যা বলেছে সেগুলোর সত্যতা বিষয়ে তাদের সংশয় রয়েছে এবং তার ভাইদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে তারা মনে করেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইকবালের দেয়া সকল বক্তব্য সঙ্গে সঙ্গে যাচাই করা হচ্ছে এবং সংস্থাগুলো এ তথ্য পলাতক দাউদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে। -টাইমস অব ইন্ডিয়া
×