নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ২১ সেপ্টেম্বর ॥ বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের মালিখালী গ্রামের ব্র্যাক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ওই কৃষককন্যাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে প্রতিবেশী অহিদ শেখ। এ ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসার দায়িত্ব নেন স্থানীয় ইউপি সদস্য সলেমান মোল্লা। অতঃপর তিনি দুই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেন। সর্বশেষ গত ২৭ আগস্ট সালিশ বৈঠকে ধর্ষকদের পক্ষকে দুই লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরদিন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এক লাখ ১০ হাজার টাকা হস্তান্তর করা হয় ধর্ষিতার পরিবারের কাছে। মেয়েটির পিতা জানান, এক লাখ ১০ হাজার টাকা পেয়েছি। আর কোন টাকা পাইনি। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ওই টাকাই চুক্তি ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, অবশিষ্ট এক লাখ টাকা সালিশকারী ইউপি সদস্যের পকেটে রয়েছে। যদিও ওই ইউপি সদস্য তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল আমাকে ফাঁসাতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপরদিকে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম মিনা জানান, ওই দুপক্ষ নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কাছে এসেছিল আমাকে সাক্ষী রেখে টাকা হস্তান্তর করতে এবং তারা নিজেরাই টাকা লেনদেন করেছে। তবে তিনি বলেন, ধর্ষণের বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। পূর্বের পাওনা লেনদের করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, এ প্রসঙ্গে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার মোবাইলে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আরা পলি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সত্যতা থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
