ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

টেকনাফে অবৈধ ফিশিং ট্রলার তৈরির হিড়িক

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

টেকনাফে অবৈধ ফিশিং ট্রলার তৈরির হিড়িক

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুরে অবৈধভাবে ফিশিং ট্রলার তৈরির হিড়িক পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারী বনাঞ্চল থেকে লম্বা তক্তা এবং শামলাপুর সৈকতের ঝাউগাছ কেটে অবৈধ ফিশিং ট্রলার তৈরির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। শামলাপুর সৈকত এবং শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির নিকটবর্তী নয়াপাড়া আছারবনিয়ায় কয়েকটি ফিশিং ট্রলার নির্মাণাধীন অবস্থায় থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন যেন দেখেও দেখে না। কতিপয় অসৎ কর্মচারীকে বশে এনে অসাধু ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম ও নুরুল আবসার দুই সহোদর দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ফিশিং ট্রলার তৈরির ব্যবসা করে যাচ্ছে নির্বিঘেœ। এক একটি ফিশিং ট্রলার তৈরি শেষে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকায় বিক্রি করে থাকেন তারা। জানা গেছে, পুলিশ ও বন বিভাগের স্থানীয় কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে দুর্লভ ও মূল্যবান গর্জন গাছ (মাদার ট্রি) কেটে লম্বা তক্তা চিরাই করে ফিশিং ট্রলার তৈরির কাজে ব্যবহার করছে। টেকনাফের উপকূলীয় বাহারছড়ার শামলাপুর থেকে টেকনাফ সদর দরগাহরছড়া পর্যন্ত প্রাকৃতিক মনোরম দুর্লভ ও মূল্যবান শতবর্ষী ‘মাদার ট্রি’ গর্জন গাছ রয়েছে বনবিভাগের বাগানে। ফিশিং ট্রলার তৈরিতে লম্বা তক্তা দু®প্রাপ্য হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা দৃষ্টি দিয়েছে ওসব শতবর্ষী গর্জন গাছের উপর। শামলাপুর, বাহারছড়া শীলখালী, জাহাজপুরা, মাথাভাঙ্গা, বড়ডেইল, রাজারছড়া এলাকায় বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া চোরাই কাঠ দিয়ে ফিশিং ট্রলার তৈরির মহোৎসব চলছে বলে জানা গেছে। শামলাপুর ঘাটে ফিশিং ট্রলার তৈরির কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রি শাহ আলম বলেন, মাল যোগাড় থাকলে একটি ফিশিং ট্রলার তৈরি কাজ সম্পন্ন করতে ১৫ দিনের বেশি লাগে না। সহকারী বন সংরক্ষক দেওয়ান মোহাম্মদ আবদুল হাই আজাদ বলেন এসব ফিশিং ট্রলার তৈরির সরকারী কোন অনুমতি নেই। লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ও বন ভূমিতে আশ্রয় নেয়া বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত কিছুদিন আগেও বাহারছড়ার উত্তর শীলখালী মুজাহের মিয়ার বাড়ির কাছ থেকে ২ লক্ষাধিক মূল্যের ১০৩টি লম্বা তক্তা এবং শামলাপুর থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ২টি ফিশিং ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
×