ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

উবাচ

ক্লান্ত স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ঐক্য সৃষ্টির চেষ্টা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। যদিও এরপর বিএনপি ঐক্যের চেষ্টা করছে। এর আগে অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন নিয়ে সেই চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু এবার প্রসঙ্গ ভিন্ন দলের মহাসচিব বলছে এবারের ইস্যু রোহিঙ্গা। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার তো কখনও আমাদের ঐক্যের কথা বিশ্বাস করে না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই এমনটা দাবি করে দলটির মহাসচিব বলেন, আমরা সব সময়েই বলে আসছি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকারের জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ নেয়া উচিত। কারণ, শরণার্থীর সংখ্যা এক মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে, তাদেরকে ফিরিয়ে দিতে হলে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। ছু মন্তর স্টাফ রিপোর্টার ॥ এ দল যার পক্ষে ও দল তার বিপক্ষে এই হচ্ছে আমাদের দেশের রাজনীতির চরিত্র। প্রথমে দুই দিন সরকারের নীরবতায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিএনপি মায়াকান্না শুরু করল। দুদিন পরেই সরকার বার্মিজদের অমানবিকতায় রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরণ শুরু করল, তখন বিএনপি বেঁকে বসল। সকালে রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিচ্ছে তো বিকেলে তাদের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছে। এক নেতা প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিকতা আরেক নেতা প্রেসক্লাবের ভেতরে বসে রোহিঙ্গা বিরোধী কথা বলছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট আড়াল করতেই প্রধানমন্ত্রী জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিদেশে সম্পদ পাচারের অভিযোগ এনেছেন এমন দাবি করে, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনদৃষ্টি সরাতে প্রধানমন্ত্রী ‘ছু মন্তর’ কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। রোহিঙ্গারা প্রতিদিন মরছে ক্ষুধায়, চিকিৎসার অভাবে, আশ্রয়ের অভাবে; কোন ছায়া নেই। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি যাতে আন্তর্জাতিকভাবে কেউ জানতে না পারে, দেশের মানুষ জানতে না পারে, সেটাকে আড়াল করার জন্য হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী বলে বসলেন, এক হাজার ২০০ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। দলের আরেক নেতা দুদু বলছেন, সরকার আসলে বিদেশী অর্থ মানে কাঁচা টাকার লোভে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। আরেক নেতা বলছেন, এই রোহিঙ্গারাই এক সময় বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। হুমড়ি স্টাফ রিপোর্টার ॥ খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে পাবলিক আতপ চাল কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়বেন। গত সোমবার এই মন্তব্যের পর ওএমএস এ কেউ আটা কিনতে গেলে আগে আতপ চাল কিনতে হচ্ছে। চাল না কিনলে পাবলিকের ভাগ্যে নাকি আটা জুটছে না। এই কি তাহলে আতপ চালে হুমড়ি খেয়ে পড়া! তিনি বলছেন, আমরা যে আতপ চাল আমদানি করছি, তা সিদ্ধ চালের চেয়ে ভাল। মন্ত্রীর বক্তব্য সঠিক হলে প্রথমে জোর করে দিলেও পরে হুমড়ি খেয়ে পড়ারই কথা। কিন্তু মন্ত্রীর মন্তব্যের সপ্তাহ পেরুতে চললেও আতপ চাল নিয়ে দেশের কোথাও কাড়াকাড়ি শুরু হয়নি। যাই হোক মন্ত্রী সেদিন ভাল খবর না দিতে পারলেও মন্দ খবর দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছিলেন গত বছর চালের দাম কম থাকায় আমরা খোলা বাজারে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করতে পেরেছিলাম। কিন্তু এবার সারাদেশে বন্যা ও নানা কারণে চালের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় খোলা বাজারে চালের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
×