ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন রুবেল

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন রুবেল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আর কয়েকঘণ্টা দেরি হলেই হয়তো পেসার রুবেল হোসেনের দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়া হতো না। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমিগ্রেশনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র নিয়েই যাচ্ছেন তিনি। যতদ্রুত সম্ভব দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে উড়াল দিতে পারেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ইমিগ্রেশন থেকে কবে ছাড়পত্র মিলবে তার কোন নিশ্চয়তা ছিল না। ছাড়পত্র নাও মিলতে পারে। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, এমন অবস্থায় রুবেলের পরিবর্তে একজন পেসারকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানোর জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। এমনও সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যদি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছাড়পত্র না আসে তাহলে রুবেলের পরিবর্তে দক্ষিণ আফ্রিকা যাবেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। এমনকি রাব্বিকে পুরো প্রস্তুতও রাখা হয়। রাব্বিও মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়। রুবেলের ছাড়পত্র এসে পড়ে। এখন রুবেলই দক্ষিণ আফ্রিকার বিমানে চড়বেন। রাব্বির যাওয়ার আশা এখানেই আপাতত শেষ হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সময় পার্থক্য ৪ ঘণ্টা। ৪ ঘণ্টা এগিয়ে বাংলাদেশ। সেই হিসেবে বাংলাদেশ সময় যখন হবে রাত ৯টা তখন দক্ষিণ আফ্রিকায় বিকেল ৫টা বাজবে। অফিস টাইম শেষ হয়ে যাবে। এই সময় পর্যন্তই রুবেলের জন্য অপেক্ষা ছিল। যদি সময়টি শেষ হয়ে যেত তাহলে টেস্ট সিরিজের আগে আর রুবেলের দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়া হতো না। রাব্বিই যেতেন। কিন্তু দুপুরেই রুবেল জানতে পারেন তার ছাড়পত্র এসে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন তিনি। যাওয়ার প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল। এখন শুধু অপেক্ষা বিমানের টিকেট পাওয়ার। তা পেয়ে গেলে দ্রুতই দক্ষিণ আফ্রিকা যাবেন রুবেল। ছাড়পত্র পাওয়ার পর খুব খুশি রুবেল। হওয়ারই কথা। শনিবার থেকে যে রুবেলের মানসিক চাপ গেছে। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলতে যাওয়া হবে কিনা এ নিয়েই যে চিন্তায় ছিলেন। নিজেই বৃহস্পতিবার দুপুরে মুঠোফোনে বর্ণনা করলেন তা, ‘বুঝতেই পারছেন, কেমন অবস্থা হয়েছে। দলের সঙ্গে এয়ারপোর্ট গেছি। হাসিখুশিতেই সময় কাটিয়েছি। বিমানে ওঠার আগেই দুঃসংবাদ শুনি। তখন মানসিক অবস্থা কতটা খারাপ হতে পারে বুঝে নেন। তবে হতাশ হইনি। কারণ এটাতে তো আমার কোন দোষ নেই। এক রুবেল হোসেন হয়তো উল্টা পাল্টা করেছে, আমার সঙ্গে নামের মিল থাকায় এমন হয়েছে। আশাতেই ছিলাম হয়ে যাবে। বিসিবি যেহেতু চেষ্টা করেছে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘কিন্তু আবার মহাচিন্তাও ছিল। কারণ কতদিনে হবে তার কোন নিশ্চয়তা তো মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে ছাড়পত্র মিলে গেছে। বিমানের টিকেট পেলেই দ্রুত দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যাব।’ দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট পেসবান্ধব। এ জন্য রুবেলের খুব দরকার। তিনি যে গতির ঝড় তুলতে পারেন। সেই সঙ্গে বাউন্সটাও দরকার। এমন বোলার দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে পারেননি। যাওয়ার নিশ্চয়তাও পরে মিলছিল না। বিসিবিই নিশ্চয়তা দিতে পারছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকা ইমিগ্রেশন থেকে ক্লিয়ারেন্সের অপেক্ষা ছিল। শেষ পর্যন্ত তা মিলেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এখন রুবেল দক্ষিণ আফ্রিকা যাবেন। ২৮ সেপ্টেম্বর টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে দলের সঙ্গে প্রস্তুতিও নেবেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশন রুবেলকে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার অনুমতি না দেয়ায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সও রুবেলকে বিমানে উঠতে দেয়নি। তাই রুবেলের এতদিন দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়া হয়নি। রুবেলের ভিসা সংক্রান্ত কিছু ভুল ছিল। ভুলটা দক্ষিণ আফ্রিকা ভিসা অফিস করেছিল। ওর জন্ম তারিখ নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। রুবেল হোসেন নামটিও বিপদ ডেকে এনেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশনের কালো তালিকাভুক্ত এই নামটি। ফলে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র না আসায় তাকে বিমানে তোলা হয়নি। পরে বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসেন এ পেসার। বিসিবির পক্ষ থেকে রুবেলকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেই চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সাফল্যও মিলেছে। ছাড়পত্র আসায় অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন রুবেল।
×