ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম ॥ গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৯ নম্বর মীরসরাই সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম গড়িয়াইশ গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী ফারজানা আক্তারকে নির্যাতনের অভিযোগে ওই গৃহবধূ বুধবার রাতে মীরসরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জানা যায়, ৬ বছর পূর্বে করেরহাট ইউনিয়নের ঘেড়ামারা আদর্শ গ্রামের ফয়েজ আহম্মদের কন্যা ফারজানা আক্তারের সঙ্গে মীরসরাই সদর ইউনিয়নের মধ্যম গড়িয়াইশ গ্রামের শরআলী ভূঁইয়াবাড়ির মাহবুল হকের পুত্র নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে দেড় লাখ টাকা দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে আরও টাকা ও অন্যান্য জিনিস বাবারবাড়ি থেকে আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালায়। ইতোপূর্বে পারিবারিকভাবে কয়েক দফা বৈঠক বসে। সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর মীরসরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স ফারজানার স্বামীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সমঝোতা করে দেন। কিন্তু পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফারজানাকে নির্যাতন করেন। ১৯ সেপ্টেম্বর মধ্যম গড়িয়াইশ এলাকার ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ছখিনা বেগম উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে সালিশী বৈঠকে মিলিত হন। তবে সালিশী বৈঠকে কোন সুরাহা না হওয়ায় গ্রাম্য আদালতে ইউনিয়ন পরিষদে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেয়া হয়। ২০ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করার জন্য গেলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন ও ইউপি সদস্য আলম ফারজানাকে থানার শরনাপন্ন হওয়ার জন্য বলেন। তারই প্রেক্ষিতে ফারজানা বাদী হয়ে মীরসরাই থানায় শাশুড়ি ছেমনা খাতুন, দেবর জাকির হোসেন, ননদ সুমি আক্তার, স্বামীর বড় বোন ফরিদা বেগম, রাফেয়া আক্তার, সাজেদা আক্তার, মর্জিনা আক্তারকে বিবাদী করে অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিত গৃহবধূ ফারজানা আক্তার বলেন, বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় বিভিন্ন অযুহাতে আমাকে শ্বশুর পক্ষের লোকজন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিষ্ট হয়ে থানার শরণাপন্ন হই।
×