ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পরপর দুটি হারিকেনের আঘাতে বিপর্যস্ত ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

পরপর দুটি হারিকেনের আঘাতে বিপর্যস্ত ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ

মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি শক্তিশালী হারিকেনের আঘাতে লণ্ড ভণ্ড হয়ে গেছে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অবস্থিত ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ (বিভিআই)। প্রথমে আঘাত হানে হারিকেন ইরমা এরপর মারিয়া। বুধবার সকালে উঠে ব্রিটিশ টেরিটরির বাসিন্দার দেখতে ক্যাটাগরি ৫ হারিকেন মারিয়ার তা-ব প্রত্যক্ষ করে। গার্ডিয়ান। টোরটোলা দ্বীপপুঞ্জের গ্রেট মাউন্টেন এলাকার ২৯ বছর বয়সী ক্যারন ব্রাউন বলছিলেন ‘ইরমা অনেক ক্ষতি করেছে কিন্তু মারিয়া আমার রোজগারের উপায় কেড়ে নিয়েছে। ইরমার ফলে ব্যাপক বন্যা হয়েছে, কিন্তু মারিয়া সব ধুয়ে-মুছে নিয়ে গেছে।’ দ্বীপের অন্যান্য বাসিন্দার মতো ব্রাউন হারিকেন আঘাত হানার আগে বাড়ি ছেড়ে দূরে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফিরে এসে দেখেন বাড়ির নাম-নিশানাও নেই। তবে বিভিআইয়ের প্রধানমন্ত্রী অরলান্ডো স্মিথ বলেছেন, মারিয়ার আঘাত ইরমার মতো অতটা তীব্র হয়নি। ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টারের কর্মকর্তারাও সে রকম বলেছেন। তারাও মনে করেন, হারিকেন মারিয়ার আঘাত খুব বেশি প্রলয়ঙ্করী হয়নি। ব্রিটেনের সামরিক বাহিনী এখন হারিকেন বিধ্বস্ত বিভিআইতে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। এর আগে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ ও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে যায় ক্যাটাগরি ৫ মাত্রার হারিকেন ইরমা। এতে ৪০ জন নিহত ও শত শত কোটি ডলারের সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হারিকেন ইরমার আঘাতে ইউএস ও ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ উভয়ই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ মারিয়ার আঘাত নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে ছিল। তাদের ধারণা, এবারের আঘাতের ফলে ইরমার ক্ষতির ধ্বংসস্তূপ বাড়তি ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে সেন্টমার্টিন, সাবা, সেন্ট ইস্টাটিয়াস এবং এ্যানগুইলাতে হারিকেন মারিয়ার দেখা মেলায় সেন্ট কিটস ও নেভিস, মন্টসেরাট ও সেন্ট লুসিয়া দ্বীপে সতর্কতা জারি করা হয়। হারিকেন মারিয়ার আঘাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমেনিকা। মারিয়া নামে ক্যাটাগরি ৫ মাত্রার নতুন এই হারিকেনটি দ্বীপের বহু ঘরবাড়ি লণ্ড ভণ্ড করেছে।
×