ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনার ৭০-এর জন্মদিন সামনে রেখে কিছু কথা

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

শেখ হাসিনার ৭০-এর জন্মদিন সামনে রেখে কিছু কথা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন এ মাসের ২৮ তারিখে। এ উপলক্ষে তাকে আগাম শুভেচ্ছা জানাই। তিনি দীর্ঘজীবনের অধিকারী হোন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, ডিজিটাল বাংলা, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজে সফল হোন, সকল চক্রান্ত ব্যর্থ করে বাঙালীর অসাম্প্রদায়িক জাতীয় সত্তাকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করুন এটা আমার প্রার্থনা। সম্ভবত. এবারের জন্মদিবস তিনি আমেরিকায় উদ্যাপন করবেন। সেখানে বর্তমান রোহিঙ্গা সমস্যায় তিনি মার্কিন সাহায্য চেয়েছেন কি-না এই প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের কাছে যে কথা বলেছেন, তাতে তার আত্মপ্রত্যয়ী সাহসী মনোভাবই আরেকবার সকলকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, শরণার্থীদের ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোভাবের কথা তিনি জানেন, সুতরাং তার সাহায্য তিনি চাইতে যাবেন কেন? বাংলাদেশ নিজের শক্তি ও সামর্থ্য দ্বারা এই সমস্যার মোকাবেলা করবে। তার এই কথা আমাকে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্র্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে সাহায্য দানে প্রথমদিকে আমেরিকা ও বিশ্বব্যাংক যে শর্ত আরোপ করেছিল, তার জবাবে বঙ্গবন্ধু যে কথা বলেছিলেন, তা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমরা গরিব জাতি হতে পারি কিন্তু আত্মমর্যাদা বিক্রি করি না।’ দীর্ঘকাল পর প্রায় একই পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা যে জবাব দিয়েছেন, তা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল ছোট দেশের নেত্রীর সাহস ও আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ বহন করে। বঙ্গবন্ধুর আমলে বাংলাদেশ সবে স্বাধীন হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা ছিল খুবই নাজুক। এখন বাংলাদেশের সেই অবস্থা নয়। দেশের রাজনীতি অনেকটাই স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে। অর্থনীতিও ছোট-বড় সাময়িক দুর্ভোগ সামাল দেয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছেছে। এবারের বন্যা সমস্যাতেও হাসিনা সরকারকে সাহায্যের জন্য বাইরের দুনিয়ার কাছে হাত পাততে হয়নি। রানা প্লাজার সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সময়েও বাইরের সাহায্য ছাড়াই আমাদের সামরিক বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর যে সাহস ও দক্ষতা দেখিয়েছে ব্রিটেনসহ অনেক ইউরোপীয় দেশ তার প্রশংসা করেছে। বর্তমান রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা, তথা বন্যার পানির মতো সাত-আট লাখ শিশু নারীসহ অসহায় শরণার্থীর বাংলাদেশে ঢুকে পড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নয়নশীল হওয়া সত্ত্বেও তার জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের মুখে শেখ হাসিনা ভয় পাননি। তিনি বলেছেন, আমরা ষোলো কোটি লোকের খাওয়া পরার ব্যবস্থা করতে পারলে আরও সাত-আট লাখের পারব। এটা কম সাহসের কথা নয়। বন্যা ও নানা প্রাকৃতিক কারণে বাংলাদেশ এ বছর খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশ নয়। দেশে খাদ্য ঘাটতি রয়েছে। ধান চালের দাম বাড়ছে। বন্যার্তদের ত্রাণের কাজে সরকারের ওপর রয়েছে ভয়ানক আর্থিক চাপ। তা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাতেও অসাধারণ মনোবল নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। অতীতের ট্র্যাজিক ইতিহাস শেখ হাসিনাকে এই শিক্ষা দিয়েছে, দুর্যোগ যত বড় হোক, যেসব বন্ধুরাষ্ট্র নির্ভরশীল নয়, তাদের সাহায্যের ওপর নির্ভর করলে আরও বড় দুর্যোগ ডেকে আনা হয়। ১৯৭৪ সালে ভয়াবহ বন্যাজনিত কারণে যে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয় তা আগেভাগেই বুঝতে পেরে বঙ্গবন্ধুর সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খাদ্য আমদানির চুক্তি করেন। এই চুক্তি সত্ত্বেও আমেরিকা কিভাবে তাদের খাদ্যবাহী জাহাজগুলো যথাসময়ে বাংলাদেশে পৌঁছতে না দিয়ে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিতে সাহায্য করে হাজার হাজার মানুষকে মরতে দিয়েছিল তার বিবরণ আছে ১৯৭৬ সালের ‘ফরেন এ্যাফেয়ার্স’ কাগজে। এই দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করাই হয়েছিল মুজিব সরকারকে উৎখাতের জন্য। বাংলাদেশে বিএনপি-নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যেদিন প্রথম দেশের প্রধানমন্ত্রী হন, তার পরদিনই প্রচণ্ড তুফান ও জলোচ্ছ্বাস হয়। অবিরাম বৃষ্টি ও নদীতে জলস্ফীতিতে বহু এলাকা প্লাবিত হয়। এ জন্য দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়াকে নাম দিয়েছিল ‘তুফানি বেগম’। এ সময় আমেরিকার নৌ সেনাবাহিনী বা মেরিনস অবস্থান করছিল বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমার কাছেই। তারা বন্যার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে বন্যার্তদের ত্রাণের নামে ঢুকে পড়ে। ত্রাণসামগ্রীবাহী তাদের বড় বড় সী প্লেন নামতে শুরু করে বাংলাদেশের মাটিতে। তাদের এই মহানুভবতার সকলেই প্রশংসা করেন। কিন্তু সেই সঙ্গে কোন কোন মার্কিন সংবাদপত্রেই এই প্রশ্নটি তোলা হয় যে, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হওয়া সত্ত্বেও সেই দেশে ঢোকার জন্য দেশটির সরকারকে তা জানানো হলো না কেন, তাদের অনুমতি নেয়া হলো না কেন? বাংলাদেশ কি আমেরিকার সেটেলাইট কান্ট্রি? এই প্রশ্নের জবাব আমেরিকা দেয়নি; বাংলাদেশের খালেদা জিয়ার সরকারও এই ব্যাপারে কথা বলেননি। কিল খেয়ে তাদের কিল হজম করতে হয়েছে। মুখ খোলার সাহস হয়নি। আমাদের সেনাবাহিনী এই বন্যার্তদের ত্রাণকার্যে যথেষ্ট দক্ষতা দেখিয়েছে। তথাপি মার্কিন-প্রচারণায় বিশ্ববাসীকে বোঝানো হয়েছিল, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর এমন দক্ষতা ও ট্রেনিং ছিল না যে, তারা বন্যার্তদের বাঁচানোর জন্য যথার্থ ভূমিকা রাখতে পারত। আমেরিকান মেরিনসদের তৎকালীন সাহায্য ছাড়া দেশটিতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিত। কিন্তু বন্যাদুর্গতদের এই সাহায্যের আড়ালে তারা বঙ্গোপসাগরে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের কী কী গোপন তথ্য সংগ্রহ করেছিল তার খবরও পরবর্তীকালে ফাঁস হয়েছিল। এমনকি বাংলাদেশকে এমন শর্তও মানতে হয়েছিল যে, বাংলাদেশে মার্কিন সৈন্য কোন গুরুতর অপরাধ করলেও দেশটির আইন মোতাবেক তার আদালতে কোন বিচার হতে পারবে না। আমার আজকের এই লেখাটির উদ্দেশ্য কেবল আমেরিকার নিন্দা করা নয়। গণতন্ত্র ও বিশ্বশান্তি রক্ষায় গণতান্ত্রিক আমেরিকার মানুষের বিরাট অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমেরিকার সাধারণ মানুষ, অনেক বড় বড় নেতা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছিলেন। এখনও বিশ্বের বহু খাদ্যাভাবগ্রস্ত দেশে মার্কিন খাদ্য সাহায্যের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আমেরিকার এই উদারতা ঢাকা পড়ে যায়, যখন দেশটির প্রশাসন এই খাদ্য সাহায্যের আড়ালে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ও সামরিক স্বার্থে নাক গলান। দেশটিতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ক্ষতি করেন। বাংলাদেশে ’৭৫ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের বেলাতেও তাদের নেপথ্য ভূমিকার কথা আজ আর গোপন নেই। আজ এই পুরনো কাসুন্দি এ জন্যই ঘাঁটলাম যে, বাংলাদেশে দীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসন এবং বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলেও ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের কার্যকলাপ দেখে মনে হতো, বাংলাদেশে তারা বুঝি ব্রিটিশ আমলের মতো ভাইসরয় নিযুক্ত হয়ে এসেছেন। লন্ডনের একটি কাগজের সংবাদভাষ্যে একবার মন্তব্য করা হয়েছিল, ‘বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের রাজনৈতিক, ভারতের অর্থনৈতিক এবং আমেরিকার সামরিক কলোনি।’ কথাটার সত্য-মিথ্যা নিয়ে আলোচনায় যাব না। তবে এ কথা অবশ্যই স্বীকার করব, ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা ভাল-মন্দ যাই করে থাকুন, দেশটির সার্বভৌমত্ব উদ্ধার করেছেন এবং জাতির আত্মমর্যাদা ফিরিয়ে এনেছেন। বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলার সাহস এখন কিসিঞ্জার সাহেবেরও নেই। আমেরিকা সুপার পাওয়ার, ভারত বড় প্রতিবেশী, চীন তো প্রতিবেশী এবং সাব সুপার পাওয়ার। আবার এই তিন দেশের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো একটা ছোট ও উন্নয়নশীল দেশের ভূমিকা কী হতে পারত? স্বীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নটি বিসর্জন দিয়ে কোন একটি বড় শক্তির ‘রক্ষিতা’ হিসেবে অস্তিত্ব রক্ষা করা কি? বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে সেটাই মনে হয়েছিল। শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন সামনে রেখে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করছি, তিনি এই অধঃপতিত অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছেন। বলা চলে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার মুক্ত করেছেন। ঢাকায় এখন মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের আগের ভাইসরয়সুলভ দাপট আর নেই। পশ্চিমা কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের টুয়েসডে ক্লাবের আগের দৌরাত্ম্য আর লক্ষ্যগোচর নয়। আমেরিকার সঙ্গে আর কোন নতজানু চুক্তি নয়। ভারতের সঙ্গে সমমর্যাদার ভিত্তিতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ছে। বড় বড় সমস্যার দ্বিপক্ষীয় সমাধান হয়েছে। তিস্তাসহ অন্যান্য সমস্যাগুলোরও হবে। চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিন দিন দৃঢ় ও জোরদার হচ্ছে। এমনকি দূরের রাশিয়াও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে বাংলাদেশের দিকে। পাকিস্তানের সামরিক জান্তা এবং তাদের বশংবদ একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতা এখনও বাংলাদেশের হাসিনা সরকারকে জ্ঞাতিশত্রু মনে করে। কিন্তু পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশের ভুল ভেঙ্গেছে। তারা বাংলাদেশে একাত্তর সালে পাকিস্তানী সৈন্যদের বর্বর গণহত্যার কথা জানতে পেরেছে এবং সে জন্য তাদের অনেকেই অনুতপ্ত এবং প্রকাশ্যে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। শেখ হাসিনার সরকারের এই যে ভারসাম্যের পররাষ্ট্র নীতি, তা বাংলাদেশকে বিশ্বে এক আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে। রোহিঙ্গা সমস্যাতেও হাসিনা সরকার যে সংযম, ধৈর্য ও মানবতাবোধের পরিচয় দিয়েছে, তা সকলের প্রশংসা অর্জন করেছে। ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনাকে মাদার অব হিউম্যানিটি বা মানবতার জননী আখ্যা দেয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে বন্যাপীড়িত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা জেনেও আর্তমানবতাকে রক্ষার জন্য সাহসের সঙ্গে এগিয়ে গেছেন এবং রোহিঙ্গা সমস্যাটি সমাধানের জন্য মিয়ানমার সরকার, বিশেষ করে আউং সান সুচির কাছে আবেদন জানিয়েছেন। দীর্ঘ নীরবতা ভেঙ্গে সুচি তাদের পার্লামেন্টে বক্তৃতা দিয়েছেন এবং যদিও তিনি মিয়ানমারের সৈন্যদের বর্বরতা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন, তথাপি শেখ হাসিনার নামোল্লেখ না করে তার আবেদনে সাড়া দিয়েছেন মনে হয়। বলেছেন মিয়ানমারের দেশত্যাগী নাগরিকদের তিনি ফিরিয়ে নেবেন। এই প্রতিশ্রুতি অবশ্য বহু আগে শরণার্থী সমস্যা শুরু হওয়ার সময়েও মিয়ানমার দিয়েছিল। কিছু শরণার্থী তারা ফিরিয়ে নিয়েছিলও। কিন্তু চার লাখের মতো শরণার্থী বাংলাদেশে রয়ে গেছে। তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছে বর্তমানের চার লাখের উপরে। এই শরণার্থীদের সকলকেই কি মিয়ানমার ফিরিয়ে নেবে? নাকি শরণার্থীদের নাগরিক পরিচয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে বেশিরভাগ শরণার্থীকেই ফিরিয়ে না নেয়ার কৌশল আঁটবে তা নিয়েও অনেকের মনে সন্দেহ আছে। তবু হাসিনা সরকার আশা করছেন বাইরের হস্তক্ষেপ ছাড়াই তারা সমস্যাটির শান্তিপূর্ণ সমাধান ঘটাতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘ একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। জাতিসংঘ সেই ভূমিকা পালন করে কিনা তা এখন দেখার রইল। শেখ হাসিনার জন্ম সঙ্কটের মধ্যে। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ, ঘোর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, বিশাল শরণার্থী সমস্যার ভয়াবহ সময়ে তার জন্ম। শৈশব ও কৈশোরে দেখেছেন ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত দিনগুলো। রাজনীতিতে এসে তার জীবনের ওপর বারংবার হামলাসহ বহু রাজনৈতিক সঙ্কট অতিক্রম করেছেন। একটার পর একটা সঙ্কট মোকাবেলা করেছেন এবং জয়ী হয়েছেন। আমি সে জন্য তাকে বলি সঙ্কট-জয়ী নেত্রী। তার ৭০তম জন্মদিন সামনে রেখেও প্রার্থনা করি বর্তমানের সঙ্কট ও ভবিষ্যতের সকল সঙ্কট থেকে জাতিকে মুক্ত করার সংগ্রামে তিনি সফল হোন এবং দীর্ঘজীবী হোন। জয়তু হাসিনা, জয় বাংলা। ২১ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, ২০১৭
×