ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ফিরে দেখা

হতাশ করেছিলেন মারসুদি তৌহিদুর রহমান ॥ রোহিঙ্গা সংকটের প্রেক্ষিতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি সম্প্রতি ঢাকায় এসেছিলেন। ঢাকায় এসে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর তিনি সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের কোন কথা না বলেই বেরিয়ে যান। হতাশ হয়ে আমরা ফিরে আসি। পরে জানানো হয়, রেতানো মারসুদি একই দিন রাতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের সামনে একটি প্রেস ব্রিফিং করবেন। আমরা রাতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে উপস্থিত হই। সেখানে রেতনো মারসুদি বক্তব্য রাখেন। তবে তিনি বক্তব্য দেয়ার পরে সাংবাদিকদের একটিও প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের আবারও হতাশ হতে হয়। মৃত্যুর খুব কাছাকাছি! রুমেল খান ॥ ২১ জুলাই, ২০১৪। রিচ ফুড দিয়ে ইফতার করা, গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং সারারাত বাম কাত হয়ে শোয়া... এ তিন কারণে এদিন মনে হয়েছিল মৃত্যুর খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। সকাল ৮টা। হঠাৎই ঘুম ভেঙে গেল। বুকের বাম পাশে তীব্র ব্যথা। শ্বাস নিতে পারছি না! আতঙ্কিত হয়ে বারান্দায় গেলাম। ভাবলাম খোলা হাওয়ায় যদি একটু বাড়তি অক্সিজেন পাওয়া যায়। লাভ হলো না। নিঃশ্বাস প্রায় বন্ধ হবার পথে। পা টলছে। মাথা ঘোরাচ্ছে। চোখের সামনে সবকিছু কেমন ঝাপসা দেখাচ্ছে। কোন মতে আবার রুমে ফিরে এলাম। বিছানায় গিয়ে শুতে পারলাম না। মেঝেতেই শুয়ে পড়লাম। শুয়ে শুয়েই কাশছি, গোঙ্গাচ্ছি আর এপাশ-ওপাশ করছি। শব্দ শুনে পাশের রুম থেকে ছুটে এল পরিবারের সবাই। আমাকে ধরে, উঠিয়ে খাটে বসালো। সবার চোখে-মুখে চরম উৎকণ্ঠা। এক পর্যায়ে বুকের ব্যথা কমে আসে। শ্বাস-প্রশ্বাসও মোটামুটি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু প্রচ- শীতবোধ হলো। আমার গায়ে কাঁথা দেয়া হলো। একটু পর যখন অনেকটাই সুস্থবোধ করলাম, তখন টের পেলাম কপালের বাম দিক ফুলে ঢোল হয়ে গেছে, অনেক ব্যথা। বিছানা থেকে নামতে গিয়ে অনুভব করলাম আমার বা দিকের কলার বোনে, বাম হাঁটুতে এবং বাম উরুতে ভীষণ ব্যথা। আশ্চর্যের ব্যাপারÑ আমার পিঠের বাম দিকে লম্বা আঁচরের দাগ, ভীষণ লাল হয়ে আছে এবং যন্ত্রণা করছে। সবাই বলল, আমি বোধহয় খাটে উঠতে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি এবং পড়ে গিয়ে খাটের কোনার পায়ায় পিঠ লেগে এ অবস্থা হয়। যাহোক, অনেকটাই সুস্থ হলাম। তবে অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম সেদিন। মনে হচ্ছিল আজরাইলের সঙ্গে বুঝি মোলাকাতটা হয়েই যাবে। সেটা আপাতত স্থগিত। হয়তো বা পেয়ে গেলাম এই ধরনীতে বেঁচে থাকার জন্য আরও ক’টা বোনাস দিবস, বোনাস রজনী! [email protected]
×