ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গসিপ

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

গসিপ

অন্যরকম রিয়া সাত পাকে বাঁধা পড়ে গিয়েছেন রিয়া সেন কিছুদিন হয়। এর মাঝেই একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছেন রিয়া সেন। বর শিবমের সঙ্গে তিনি ব্যস্ত হানিমুনে। এমনকী, হানিমুনে গিয়ে বরের সঙ্গে চুম্বনরত ছবি সোশ্যাল নেটওর্য়াকে পোস্টও করেছেন তিনি। কিন্তু তারই মাঝে ইন্টারনেটে ফাঁস হয়ে গেল রিয়া সেনের নতুন ওয়েব সিরিজ এমএমএস রাগিণীর উত্তেজক দৃশ্য! আর সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে সেই দৃশ্য এখন ভাইরাল গোটা ইন্টারনেট দুনিয়ায়। রিয়া সেন বিয়ের আগে যতটা না লাইমলাইটে ছিলেন, বিয়ের পর ততই আলোচিত হচ্ছেন। ‘রাগিণী এমএমএস রিটার্নস’ নামের ওয়েব সিরিজ নিয়ে এত সব কথা উঠছে। এতে অসংখ্য যৌন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু এতে অভিনয় করতে গিয়ে নাকি অভিনেতাকে যৌন হেনস্তা করেছেন রিয়া! প্রযোজক একতা কাপুর খুব শীঘ্রই ওয়েব সিরিজের মধ্য দিয়ে আনতে চলেছেন রাগিণী এমএমএস। আর এবার সানি লিওন নয়, বরং ওয়েব সিরিজের রাগিণী হতে চলেছেন রিয়া সেন! ছবির নাম রাগিণী এদিকে কিছুদিন আগেই অভিনেতা নিশান্ত মালকানির সঙ্গে রিয়া সেনের বেশ কিছু উষ্ণ ছবি এবং ভিডিও ফাঁস হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে নিশান্ত জানিয়েছেন, তার প্রিয় অভিনেত্রী রিয়া সেনের সঙ্গে ওই ঘনিষ্ঠ দৃশ্য থাকায় তিনি খুশি। তাকে অভিনয়ের সুযোগ দেয়ার জন্য প্রযোজক বিকাশ গুপ্তা ও একতা কাপুরকে ধন্যবাদও দিয়েছেন তিনি। তবে রাগিণী এমএমএস রিটার্নসের যে দৃশ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেটা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন নিশান্ত। ওই দৃশ্যের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন একটি বিশেষ ঘটনা ঘটেছিল রিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, ওই দৃশ্যের শূটিংরে আগে রিয়া এসে তাকে বলেন, তার উচিত প্যান্টটা নিচে নামিয়ে দেয়া, যাতে অভিনেতার পশ্চাৎদেশ দেখা যায়। তাতে নাকি মেয়েরা বেশি আকৃষ্ট হবে। ঠিক যেমন জন আব্রাহাম করেছিলেন ‘দোস্তানা’ ছবিতে। তবে রিয়ার ওই কথাটি নেহাত মজা বলেই উড়িয়ে দেন নিশান্ত। কিন্তু হঠাৎ রিয়া এক রকম জোর করেই তার প্যান্ট টেনে নামিয়ে দেন। চমকে যান নিশান্ত। রিয়ার এই আচরণ সত্যিই তাকে অবাক করে দেয়। বিয়ের আগে এই সুন্দরী অভিনেত্রীর সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ভাল যোগাযোগ ছিল। অবশ্য বলিউড ও ক্রিকেট তো চিরকালই হাত ধরাধরি করে হেঁটেছে। এক সময়ে যুবরাজ সিংহের সঙ্গে ডেট করতেন রিয়া সেন। যুবির সঙ্গে অবশ্য একাধিক বলিউড অভিনেত্রীর সম্পর্ক ছিল। দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার পরেই রিয়া সেনের সঙ্গে ডেট করতেন যুবি। বহু পার্টিতে দু’ জনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। যদিও সেই সম্পর্কের ব্যাপারে রিয়া ও যুবরাজ কোন মন্তব্যই করেননি। একদিন দু’জনের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। এখন হ্যাজেল কিচকে বিয়ে করেছেন যুবি। শ্রীলঙ্কা সফরে যুবরাজ জায়গা পাননি। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন যুবরাজ। ২০১১ সালে রিয়া আর শান্তাকুমার শ্রীশান্তকে একসঙ্গে দেখা যেত। সংবাদমাধ্যমেও তাদের ছবি দেখা গেছে। ২০১১ সালের আইপিএল-এ শ্রীশান্তের খেলা দেখার জন্য গ্যালারিতে দেখা যেত রিয়াকে। ভিআইপি বক্সে বসা রিয়াকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন সাংবাদিকরা। প্রসঙ্গ একটাই। শ্রীশান্তের সঙ্গে তার সম্পর্কের জল কতদূর গড়িয়েছে। তবে সম্পর্ক নিয়ে দু’জনে মুখ খোলেননি। সেই শ্রীশান্ত এখন বিয়ে করেছেন। রিয়াও বিয়ের পিঁড়িতে। শিবম তিওয়ারিকেই নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নিলেন। কথায় বলে, যদির কথা নদীতে থাক। যদি সব ঠিকঠাক থাকত, তাহলে হয়ত যুবি বা শ্রীশান্তের মধ্যে কাউকে বেছে নিতেন রিয়া। গেম অব থ্রোনস গেম অব থ্রোনস বেনিওফ ওডিবি ওয়েস নির্দেশিত মার্কিন কাল্পনিক নাট্য ধারাবাহিক। এটি জর্জ আর আর মার্টিন রচিত ফ্যান্টাসি উপন্যাস ধারবাহিক আ সং অব আইস এ্যান্ড ফায়ার অবলম্বনে নির্মিত, যার প্রথম উপন্যাসটি হলো আ গেম অব থ্রোনস। ধারাবাহিকটি আইসল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, স্কটল্যান্ড, মাল্টা, মরক্কো, যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনে চিত্রায়িত হয়েছে। ধারাবাহিকটি ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল এইচবিও চ্যানেলে প্রথম প্রচারিত হয় এবং এর সপ্তম মৌসুম শেষ হয় ২৭ আগস্ট, ২০১৭। ধারাবাহিকটি ২০১৯ সালে অষ্টম মৌসুম দিয়ে শেষ হবে। এইচবিও চ্যানেলে গত ২৭ আগস্ট শেষ হওয়া ‘গেম অব থ্রোনস’ সিরিজের সপ্তম মৌসুমের দর্শক ছিল অভূতপূর্ব। কিন্তু এই সিরিজ টিভি চ্যানেলের চেয়ে অবৈধভাবে দেখেছে বেশি দর্শক! হতভম্ব হওয়ার মতো ব্যাপার হলো, সাতটি পর্ব অবৈধভাবে ডাউনলোড হয়েছে ১০০ কোটি বারেরও বেশি! ধারাবাহিকটি মূলত এতে প্রদর্শিত মধ্যযুগীয় বাস্তবতার জন্য প্রশংসিত হয়েছে। জর্জ আর আর মার্টিন গল্পটিতে জাদু ও জাদুকর সংবলিত সমকালীন কল্পনাধর্মী গল্পের চেয়ে যুদ্ধ, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও চরিত্র সংবলিত ঐতিহাসিক কল্পকাহিনী হিসেবে রূপ দান করেন। তিনি মনে করেন মহাকাব্যিক কাল্পনিক ধাঁচে জাদুর পরিমিত ব্যবহার থাকা উচিত। মার্টিন বলেন ‘মানব সভ্যতার ইতিহাসে সত্যিকারের ভয়ের কারণ ওর্ক বা অন্ধকার নয়, বরং আমরা নিজেরাই।’ কাল্পনিক ধরনের একটি সাধারণ বিষয়বস্তু হলো ভাল ও মন্দের দ্বন্দ্ব। মার্টিন বলেনÑ এটা বাস্তব জীবনের অবস্থা তুলে ধরে না। বাস্তব জীবনের ব্যক্তি-বিশেষের ভাল ও মন্দের সামর্থের সঙ্গে মিল রেখে মার্টিন এ থেকে মুক্তির পথ খুঁজেছেন এবং চরিত্রের পরিবর্তন এনেছেন। এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের বিভিন্ন চরিত্রাবলী তাদের নিজেদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ দিয়েছে এবং যাদের খল চরিত্রে ভাবা হচ্ছে তাদেরও তার দিক স্পষ্ট করার সুযোগ দিয়েছে। নির্মাতা বেনিওফ বলেন, ‘জর্জ এতে তিক্ত বাস্তবতা থেকে শুরু করে উচ্চমাত্রার কল্পনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। তিনি সাদাকালো পৃথিবীতে ধূসর সুরের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। প্রথমদিকের মৌসুমগুলোতের আ সং অব আইস এ্যান্ড ফায়ার বই হতে অনুপ্রাণিত হয়ে কয়েকটি মূল চরিত্রকে নিয়মিতভাবে মেরে ফেলা হতো, এবং একে দর্শকের মাঝে উদ্বিগ্নতা সৃষ্টি বলে আখ্যায়িত করা হয়। পরের মৌসুমগুলোতে সমালোচকগণ দেখেন যে নির্দিষ্ট কিছু চরিত্র ‘প্লট আর্মার’ সৃষ্টি করেছে, যা এই ধারাবাহিকটিকে প্রচলিত অন্যান্য ধারাবাহিক থেকে বেশি কিছু করে তুলেছে। এছাড়া ধারাবাহিকটিতে যুদ্ধে প্রচুর পরিমাণ মৃত্যুর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ‘গেম অব থ্রোনস’ভ্যারাইটির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সপ্তম মৌসুমের প্রথম পর্ব টিভিতে দেখা হয়েছে রেকর্ডসংখ্যক ১ কোটি ৬১ লাখ বার। এর সুবাদে খবরের শিরোনামে চলে আসে সিরিজটি। কিন্তু প্রিমিয়ারটি অবৈধভাবে দেখা হয়েছে ১৮ কোটি ৭৪ লাখ বারেরও বেশি। যা টিভি দর্শকের চেয়ে ১০ গুণ বেশি! এন্টারটেইনমেন্ট উইকলির দাবি, সিরিজের ফাইনাল ছিল এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি দেখা পর্ব। জানা গেছে, ১ কোটি ৬৫ লাখ বার এটি দেখেছে দর্শকরা। এর সুবাদে ভেঙেছে এইচবিও’র রেটিং রেকর্ডস। সপ্তম পর্বটি অবৈধভাবে দেখা হয়েছে ১৪ কোটি ৩৩ লাখ বারেরও বেশি। আবার শাকিরা শাকিরা ইসাবেল মেবারাক রিপোল নামেই সমধিক পরিচিত। কলম্বিয়ার, বার্রানকিলাতে তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। স্কুল জীবনে সরাসরি উপস্থাপনার মাধ্যমে তিনি তাঁর প্রতিভার প্রকাশ ঘটাতে শুরু করেন। সেখানে তাঁর নিজস্ব বেলি ড্যান্সিংয়ের সঙ্গে তিনি তাঁর কণ্ঠে সার্থকভাবে রক এ্যান্ড রোল, ল্যাটিন, পূর্ব মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গীত ফুটিয়ে তুলতেন। শাকিরার নতুন কাজ দেখতে ভক্তরা সম্ভবত চাতক পাখির মতো তাকিয়ে ছিল। অনেকদিন হয় গানের ভুবন থেকে দূরেই ছিলেন শাকিরা। সেই ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলের থিম সং ‘ওয়াকা ওয়াকা’ দিয়ে বাজিমাত করা গায়িকা। আবারও তিনি এলেন খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি দীর্ঘ বিরতির পর এসেছে এই গায়িকার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফুয়েল’। কলম্বিয়ার স্থানীয় প্রযোজকদের সহায়তায় শাকিরার সঙ্গীত জীবনের প্রথম দুইটি এ্যালবাম প্রকাশ পায়, কিন্তু সেগুলো কলম্বিয়ার বাইরে খুব একটা পরিচিতি পায়নি, এবং সেগুলো ব্যবসায়িকভাবে সফল না হওয়ায় শাকিরা পরবর্তীতে নিজেই নিজের এ্যালবাম প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৫ সালে তাঁর নিজস্ব প্রযোজনায় এ্যালবাম পিয়েস দেসকালসোস প্রকাশ পায়; যা তাঁকে লাতিন আমেরিকা ও স্পেনে খ্যাতি এনে দেয়, এবং তাঁকে একজন রহস্যময় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু ১৯৯৮ সালে দোন্দে এস্তান লোস লাদ্রোনেস এ্যালবামটি শিল্পী হিসেবে তাঁর গুরুত্ব বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। এই এ্যালবামটির জন্য তিনি রোলিং স্টোন, অল মিউজিক গাইড, এবং বিলবোর্ড ম্যাগাজিনের সঙ্গীত সমালোচকদের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া পান। তিনি দুবার গ্র্যামি পুরস্কার, সাতবার ল্যাটিন গ্র্যামি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন। বিএমআই-এর তথ্যানুসারে, তিনি কলম্বিয়ার সর্বকালের সবচেয়ে বেশি এ্যালবাম বিক্রিত শিল্পী, এবং সেই সঙ্গে তিনি ব্যবসায়িকভাবে সফল দ্বিতীয় ল্যাটিন আমেরিকান নারী শিল্পী, যার এ্যালবাম বিশ্বব্যাপী পাঁচ কোটি কপি বিক্রিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সুযোগ পাওয়া একমাত্র শিল্পী যিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিলবোর্ড হট ১০০, কানাডিয়ান বিলবোর্ড হট ১০০, অস্ট্রেলিয়ান এআরআইএ চার্ট, ও ইউকে সিঙ্গেলস চার্ট-এ প্রথম স্থান পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফুয়েল’ উন্মুক্ত করা হয় ইউটিউবে। স্প্যানিশ ভাষার গানটির ভিডিও মাত্র সাত ঘণ্টায় দেখা হয়েছে ১০ লাখ বার! এজন্য শাকিরা উচ্ছ্বসিত। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর সোয়া ৫টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ৪০ বছর বয়সী এই কলম্বিয়ান তারকা লিখেছেন, ‘সাত ঘণ্টায় ১০ লাখ ভিউ!’ মিউজিক ভিডিওটির শূটিং হয়েছে স্পেনের বার্সেলোনায়। এটি নির্মাণ করেছেন কাতালান পরিচালক জ্যম দি লাইউয়ানা। ছয় বছর আগে শাকিরার ‘রাবিওসা’ ও এক বছর আগে ‘লা বিসিক্লেতা’ মিউজিক ভিডিও দুটি নির্মাণ করেন তিনি। ‘পেরো ফিয়েল’ হলো শাকিরার নতুন এ্যালবাম ‘এল দোরাদো’র তৃতীয় সিঙ্গেল। এতে তার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন পুয়ের্তোরিকান সঙ্গীতশিল্পী নিকি জ্যাম। গত ১ জুলাই বিলবোর্ডে টপ ল্যাটিন এ্যালবামস চার্টের শীর্ষে ছিল এটি। তথ্য সূত্র- ইন্টারনেট
×