ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রেন্ট ব্রিজে দ্বিতীয় ওয়ানডে আজ

বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের জয়

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আড়াই বছর পর ওয়ানডেতে প্রত্যাবর্তনে আলোচনায় ছিলেন ক্রিস গেইল। ২৭ বলে ৩৭ রানের পথে দুই চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে শুরুটাও করেছিলেন নিজের স্টাইলে। উইন্ডিজের জন্য ম্যাচের আকর্ষণ যেন ওখানেই শেষ। বৃষ্টিতে ৪২ ওভারে নেমে আসা প্রথম ওয়ানডেতে তবু ২০৪ রানের স্কোর গড়েছিল সফরকারীরা। কিন্তু জনি বেয়ারস্টোর দুরন্ত সেঞ্চুরির (১০০*) কাছে ক্যারিবীয়রা শুধু ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারেইনি, সরাসরি ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলার আশাও শেষ হয়ে গেছে। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের এখন বাছাইয়ে অংশ নিতে হবে। ৩০.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ড। স্বাগতিকদের হয়ে ৫৪ রান করেন জো রুট। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে ইংলিশরা। ট্রেন্ট ব্রিজে দ্বিতীয় ওয়ানডে আজই। ইংল্যান্ডের হয়ে বেয়ারস্টো প্রথম ওপেনিং করেছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে। দল হারলেও ওই ম্যাচে নিজে করেছিলেন ৪৩ রান। এদিন দ্বিতীয় সুযোগ জানিয়ে দিলেন জায়গাটা নিজের করে নিতেই ফিরে এসেছেন। ম্যাচের ফল অনুমিত ছিল আসলে প্রথম ইনিংসের পরই। ২০৪ রানের পুঁজি নিয়ে এই ইংল্যান্ডকে আটকানো কঠিন। বেয়ারস্টোর ব্যাটে প্রমাণ হয়েছে সেটিই। ৯৭ বলে ১১ চারে অপরাজিত ছিলেন ঠিক ১০০ রানে। টেস্ট দলের মতো ওয়ানডেতেও ওপেনিং হয়ে উঠেছিল ইংল্যান্ডের দুশ্চিন্তার কারণ। টেস্টে খোঁজা হচ্ছে এ্যালিস্টার কুকের উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী, ওয়ানডেতে এ্যালেক্স হেলসের। জেসন রয়ের বাজে ফর্মে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে প্রথম সুযোগ মিলেছিল বেয়ারস্টোর। সেই ম্যাচ আর এই ম্যাচ, বেয়ারস্টো বুঝিয়ে দিয়েছেন টেস্টের মতো ওয়ানডে দলেও হয়ে উঠতে চান অপরিহার্য। ১৪ বলে ১৯ রানে আউট হন হেলস। দ্বিতীয় উইকেটে বেয়ারস্টো ও জো রুটের ১২৫ রানের জুটিতে ম্যাচ কার্যত শেষ। ৫৩ বলে ৫৪ রান করে কেসরিক উইলিয়ামসের বল স্টাম্পে টেনে আনেন রুট। উইলিয়ামস পরে ফেরান ওয়েন মরগানকেও। তবে বেন স্টোকসের ১০ বলে অপরাজিত ২৩ রানে ত্বরান্বিত হয় জয়। পড়িমরি করে তিন রান নিয়ে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন বেয়ারস্টো। ২০১১ সালে শুরু ওয়ানডে ক্যারিয়ার, ৬ বছরে মাত্র খেলেছেন ২৮ ম্যাচ। প্রথম সেঞ্চুরিতে ক্যারিয়ার পেল নতুন রঙ। অনুভূতি জানিয়ে বেয়ারস্টো বলেন, ‘ইংল্যান্ডের জয়ে অবদান রাখতে পেরে আমি গর্বিত। আরও ভাল লেগেছে ক্রিজে আমার ইয়র্কশায়ার পার্টনার জো রুটকে পেয়ে। সে অসাধারণ এক ব্যাটসম্যান। ম্যাচটার কথা বিশেষভাবে মনে থাকবে। কারণ ওয়ানডেতে এটা আমার প্রথম সেঞ্চুরি।’ তার আগে ব্যাট হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। আড়াই বছর পর প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে ঝড় তোলেন ক্রিস গেইল। তবে বড় করতে পারেননি ইনিংস। তিন ছক্কায় ২৭ বলে ৩৭ করে বিদায়। দু’অঙ্ক স্পর্শ করেন প্রথম সাত ব্যাটসমানের সবাই। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। ইনিংসটি তাই পায়নি গতি। ৩৫ রান করতে ৫৭ বল খেলেন শাই হোপ। প্রায় এক বছর পর ফেরা আরেক তারকা মারলন স্যামুয়েলস ১৭ রান করতে খেলেন ৪৬ বল।
×