ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মিরপুর স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড ইস্যু

আইসিসিকে জবাব দিয়েছে বিসিবি

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আইসিসিকে জবাব দিয়েছে বিসিবি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডকে ‘বাজে’ বলে আখ্যায়িত করেছিল ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল)। ১০ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে জানায়ও আইসিসি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) নোটিসও পাঠায়। ১৪ দিনের মধ্যে বিসিবিকে জবাবও দিতে বলে। মিরপুর স্টেডিয়াম ইস্যুতে বিসিবি সেই জবাব দিয়েছেও। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনই বুধবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে এমনটি জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘এটা নিয়মিত একটা ব্যাপার। কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ শেষ হলে ম্যাচ রেফারি কর্তৃক আইসিসিতে একটা প্রতিবেদন দেয়ার বিধান আছে। সেখানে আউটফিল্ড বা পিচের প্রতিবেদনে যদি ‘পুর’ আসে, তাহলে আয়োজক দেশের একটা ব্যাখ্যা দেয়ার ব্যাপার থাকে। আমরা আইসিসির রিপোর্ট পেয়েছি। তারা শেরে বাংলার আউটফিল্ডকে ‘পুর’ বলে আখ্যায়িত করেছে। আমরা ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে আইসিসিকে একটা রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছি।’ কেন এমনটি হয়েছে সেই ব্যাখ্যাও দাঁড় করাতে চেয়েছেন সিইও, ‘আপনারা জানেন যে, গত চার পাঁচ মাসে বাংলাদেশে যে বন্যা পরিস্থিতি ও বৃষ্টি, তাতে সময় মতো মাঠটা প্রস্তুত করা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি, আমাদের গ্রাউন্ডস কমিটি খুব কষ্ট করে কাজ করেছে। বৈরী আবহাওয়াটা না থাকলে এই অবস্থা হতো না। ২০০৫ সালে আইসিসির এ্যাক্রিডিটেশন পাওয়ার পর শেরে বাংলা নিয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। এই মাঠে আইসিসির কয়েকটি বড় আয়োজন হয়েছে। ২০১৪ সালে টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল এখানে হয়েছে। পরপর তিনটি এশিয়া কাপ আমরা এখানেই আয়োজন করেছি। মাঠের প্রিপারেশনে কোন ঘাটতি ছিল, তা মনে করি না। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এটা হয়েছে। ওরা কিন্তু শুধু ঘাসের কারণে অভিযোগ করেছে। অন্যান্য দিক ঠিক আছে। এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা ভাল হয়ে যাবে। আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল তা বলব না।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। সেই টেস্টের আগে মাঠের আউটফিল্ডে সংস্কার করা হয়। এ বছর জানুয়ারি থেকেই মাঠের সংস্কার কাজ শুরু হয়। কিন্তু প্রায় আট মাসেও মাঠের আউটফিল্ড প্রস্তুত করা যায়নি। আর তাই মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে আইসিসি। নতুন করে সংস্কার করার পর বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার মিরপুরে হওয়া প্রথম টেস্টের আউটফিল্ড দেখে আইসিসি ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রু সন্তুষ্ট হতে পারেননি। স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডকে ‘বাজে’ বলে উল্লেখ করেছেন। ম্যাচ রেফারির রেটে আউটফিল্ডের বেহাল দশাই চোখে পড়েছে। আইসিসি অনুচ্ছেদ তিন অনুযায়ী আইসিসি পিচ এ্যান্ড আউটফিল্ড মনিটরিংয়ের ভিত্তিকে বিসিবিকে একটি রিপোর্টও দেয়া হয়েছে। যে রিপোর্টের সন্তুষ্টিজনক জবাব ১৪ দিনের মধ্যে বিসিবিকে জানাতে হয়েছে। আইসিসি জেনারেল ম্যানেজার (ক্রিকেট) জিওফ এ্যালার্ডিস ও এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালের কাছে জবাব দিতে হয়। নোটিসের জবাব পর্যালোচনা করে দেখছেন তারা। তাদের পর্যবেক্ষণের পরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিসিবির জবাবে যদি সন্তুষ্ট হন তারা তাহলে শুধু ‘সতর্ক’ করে দেয়া হবে। না হলে নিয়ম অনুযায়ী ১৫ হাজার মার্কিন ডলার থেকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা হতে পারে। আর এক বছর থেকে ৫ বছর ভেন্যুতে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ না হওয়ার শাস্তিও মিলতে পারে। এখন দেখা যাক, কি ঘটে।
×