ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে মালটা চাষে চমক

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আমতলীতে মালটা চাষে চমক

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা) ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া অফিস বাজারসংলগ্ন ব্রিজ এলাকার আলমগীর মাতুব্বর বাড়িতে মালটা চাষ করে চমক সৃষ্টি করেছেন। তার চারটি গাছে থোকায় থোকায় ফল ধরেছে। উপজেলায় প্রথম মালটা ফল ধরেছে। প্রতিদিন তার মালটা গাছ ও ফল দেখতে আসে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। আমতলী কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মালটা চাষে উদ্বুদ্ধ করার জন্য উপজেলার ১২ জন চাষীকে গত বছর প্রশিক্ষণ দিয়ে ৪৮০টি চারা গাছ বিতরণ করা হয়। বৈশাখ ও ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে ষড়ভুজ ও বর্গাকার পদ্ধতিতে সারাদিন রোদ পড়ে এবং বৃষ্টিতে পানি জমে না এমন উঁচু ও মাঝারি জমিতে মালটা চাষ করতে হয়। মালটা পরঃরঁং ংরহবহরংং উদ্ভিদের ফল। ইংরেজী নাম ড়ৎধহমব। মালটা ফলটি জাম্বুরা (পরঃরঁং সধীরসধ) এবং কমলা (পরঃরঁং ৎবঃরপঁষধঃধ) এই দুই ফলের সংকরায়নের মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হয়েছে। এটি একটি জনপ্রিয় ফল। পরীক্ষামূলকভাবে কৃষকরা চারা রোপণ করেছেন কিন্তু এখনও কোন ফলন ধরেনি। শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, আলমগীর মাতুব্বরের বাড়ির চারটি গাছে মালটা ধরেছে। গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় মালটা ঝুলে আছে। গাছের চারপাশ পরিষ্কার-পরিছন্ন। উঁচু ও মাঝারি জমিতে গাছ চারটি রয়েছে। মালটা চাষী আলমগীর মাতুব্বর বলেন, ২০১৪ সালে স্বরূপকাঠি থেকে আমতলী বাজারে আসা ভাসমান এক চারা বিক্রেতার কাছ থেকে চারটি মালটার চারা ক্রয় করেছি। স্থানীয় গোবরসার ও কচুরিপানা পচা সার দিয়ে মাদা তৈরি করি। ওই মাদায় গাছ চারটি রোপণ করি। প্রথমে ধরেই নিয়েছিলাম এ চারা চারটি হবে না। পরীক্ষামূলকভাবে চেষ্টা করে দেখি। কেননা এ অঞ্চলে মালটার চাষ হয় না। চারা রোপণের পরে প্রয়োজনীয় যতœ করেছি। প্রথমে চারা চারটি নেতিয়ে পড়ে। ভেবেছি হবে না। কিন্তু আমার সব ভয়কে উপেক্ষা করে চারা চারটি ভালই হয়েছে। প্রথম বছর কোন ফল ধরেনি। দ্বিতীয় বছর গাছে ফল ধরেছে। গাছে ফল দেখে আনন্দ যেন ধরে না। গত বছর চারটি গাছে দুই শতাধিক ফল ধরেছিল। ওই সব ফল আত্মীয়স্বজনকে দিয়েছি। এ বছর গাছে থোকায় থোকায় মালটা ফল ধরেছে। যে ফল ধরেছে তা আত্মীয়স্বজনকে দিয়ে ইচ্ছা করলে বিক্রি করা যাবে।
×