জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে চলমান আন্তর্জাতিক গণআদালতের শেষ পর্বের শুনানি মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। এতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ আদালতে সাক্ষ্য দেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা, কাচিন, কারেনসহ কয়েকটি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এ অভিযোগ আনেন। আদালতে রোহিঙ্গারা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনী জাতিগত নিধন চালিয়ে যাচ্ছে। খবর নিউ স্ট্রেইট টাইমসের।
গণআদালতে আমন্ত্রিত বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকেও রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের প্রমাণ তুলে ধরা হয়। আদালতে কমিশনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেন এর চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
রোমভিত্তিক পারমানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল (পিপিটি) নামের একটি সংগঠন এই আদালত গঠন করে। কুয়ালালামপুরের মালয় ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিভিলাইজেশন ডায়ালগের পরিচালক চন্দ্র মোজাফফর পিপিটির এই বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সমন্বয় করেছেন। মালয় ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদেই এই বিচার চলছে। আগামী শুক্রবার এর রায় দেয়া হবে।
এ আদালতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ সরকারকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। সরকারের পক্ষ থেকে মানবাধিকার কমিশনকে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার অনুমতি দেয়া হয় বলে কমিশন সূত্র জানায়।
পিপিটি সূত্র জানায়, মিয়ানমারে গণহত্যা নিয়ে এই ট্র্রাইব্যুনাল এ বছরের মার্চে প্রথম শুনানির আয়োজন করে। এবার চূড়ান্ত শুনানি হয়েছে। কুয়ালালামপুরের আদালতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সচিব হিরন্ময় বাড়ৈ এবং উপপরিচালক এম রবিউল ইসলামও অংশ নেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: