ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাউথ এশিয়া ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘শ্রমিক আওয়াজ’

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সাউথ এশিয়া ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘শ্রমিক আওয়াজ’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে নির্মিত ‘শ্রমিক আওয়াজ : ওয়ার্কার্স ভয়েস’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি এশিয়ার অন্যতম ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ‘ফিল্ম সাউথ এশিয়া ২০১৭’-এ অংশ নিতে যাচ্ছে। আগামী ২-৫ নবেম্বর নেপালের কাঠমু-ুতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে ৫ নবেম্বর এ উৎসব শেষ হবে। দুই বছর পরপর এই ‘ফেস্টিভ্যাল অব সাউথ এশিয়ান ডকুমেন্টারিজ’ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের এই উৎসব আয়োজনের ১১তম আসর। উৎসব কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি আসরের জন্য তিন শতাধিক চলচ্চিত্র জমা পড়ে। এর মধ্য থেকে প্রদর্শনীর জন্য প্রাথমিকভাবে ৭০টি চলচ্চিত্র নির্বাচন করা হলেও মূল বিভাগে ৪৬টি চলচ্চিত্র রাখা হয়। এর মধ্যে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের নির্মাতার চলচ্চিত্র ‘শ্রমিক আওয়াজ’। এছাড়া আগামী অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য ‘এ্যানুয়েল কনফারেন্স অব সাউথ এশিয়া’ ‘শ্রমিক আওয়াজ’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হবে। ইতোমধ্যে ‘নিউইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-সহ কয়েকটি উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। ‘শ্রমিক আওয়াজ’ চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন সমতলী হক। পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনা করেছেন মোহাম্মদ রোমেল। গো ফান্ডের মাধ্যমে গণচাঁদা সংগ্রহ করে এই ফিল্ম তৈরি করা হয়। পরিচালক মোহাম্মদ রোমেল জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই চলচ্চিত্রের প্রায় ১২টি পাবলিক শো হয়েছে। বিশেষ করে শ্রমিকরা উদ্যোগ নিয়ে তাদের আবাসিক এলাকায় এবং ফোরামে এই চলচ্চিত্রের শো করেছেন। চলচ্চিত্রে নিজেদের গল্প দেখে অনেক শ্রমিক আবেগাপ্লুত হয়ে যান। এটা আমাদের ভাল লেগেছে যে, আমরা মনে হয় শ্রমিকদের বাস্তব জীবনচিত্র চলচ্চিত্রে তুলে আনতে পেরেছি। এই অনুপ্রেরণা থেকে আগামীতে সারা দেশে চলচ্চিত্রটির আরও বেশকিছু প্রদর্শনী করা হবে। রোমেল আরও জানান, ২০১৫-১৬ সালে দুই বছর ধরে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় এই চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ন হয়। এই চলচ্চিত্রের মূল ফোকাস শ্রমিকদের ইউনিয়ন রাইট। শ্রমিকরা নিজেরা কর্মক্ষেত্রে নিজেদের সমস্যা-সঙ্কট নিয়ে মালিকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য তাদের ইউনিয়ন রাইট নিয়ে কথা বলেন। শ্রমিকদের ইউনিয়ন রাইট থাকলে মালিক-শ্রমিক তথা ইন্ডাস্ট্রিরই অধিক লাভ এসব বিষয় শ্রমিকদের নিজ কণ্ঠে এই প্রথম বাংলাদেশের কোন ডকুমেন্টটির ভাষ্যে উঠে এসেছে। যেটা রানা প্লাজায় শ্রমিক হত্যার পর সারা দেশে তো বটেই, সারা পৃথিবী থেকে দাবি ওঠে। এছাড়া চলচ্চিত্রে শ্রমিকরা তাদের পেশা ও জীবনের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন। ‘শ্রমিক আওয়াজ’ নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা এই চলচ্চিত্র আমাদের সরকার, মালিক এবং জনগণের মধ্যে শ্রমিকদের বিষয়ের সঠিক নীতি প্রণয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
×