ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাল বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস;###;গণপরিবহনের সংখ্যা ৩ লাখ ;###;ব্যক্তিগত ২৫ লাখ;###;সড়কে সমস্যা বাড়ছে দিন দিন, নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেই ;###;বছরের পর বছর ঝুলছে গণপরিবহন ব্যবস্থার উদ্যোগ

গণপরিবহনের চেয়ে ব্যক্তিগত যানের আধিক্য

প্রকাশিত: ০৫:২১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

গণপরিবহনের চেয়ে ব্যক্তিগত যানের আধিক্য

রাজন ভট্টাচার্য ॥ গণপরিবহনের তুলনায় দেশে দ্রুত বাড়ছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা। গত আট বছরে প্রায় সোয়া দুইগুণ বেড়েছে মোট পরিবহন। বর্তমানে দেশে ব্যক্তিগত পরিবহনের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। এর মধ্যে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশি। এর বিপরীতে গণপরিবহনের সংখ্যা তিন লাখের কিছু বেশি। রাজধানী ঢাকায় দুই কোটি মানুষের বিপরীতে চার হাজার বাস ও ৬ হাজার অটোরিক্সাসহ মোট গণপরিবহন ১৫ হাজারের বেশি নেই। তাছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি নিরুৎসাহিত করা ও গণপরিবহন বাড়াতে সরকারের আন্তরিক কোন প্রচেষ্টাও নেই। জনস্বার্থে গণপরিবহনের জন্য যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাও ঝুলে আছে বছরের পর বছর। এই প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিগত পরিবহনের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে। আর এমন বাস্তবতা সামনে রেখে আগামীকাল ২২ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস’ বাংলাদেশেও পালিত হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি পরিকল্পিত শহরের জন্য ২৫ ভাগ রাস্তার মধ্যে ঢাকায় আছে সর্বোচ্চ সাত ভাগ। এই রাস্তায় আড়াই থেকে তিন লাখ গাড়ি চলাচল করতে পারে। অথচ প্রাইভেটকারই চলছে প্রায় আড়াই লাখ। রিক্সা ১০ লাখের বেশি। অন্যান্য পরিবহন তো আছেই। যানজটের কারণে গণপরিবহনের সংখ্যা কমছে। এই সুযোগে বাড়ছে ব্যক্তিগত গাড়ি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানজট। তাই দ্রুত ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করে বাস, মিনিবাস, মেট্রো রেল নির্মাণ, ট্যাক্সি ও অটোরিক্সা নামানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা। অন্যথায় ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের পথচলা খুবই কঠিন হবে। যারা গণপরিবহনের ওপর নির্ভর করে রাস্তায় বের হন। ব্যক্তিগত যানবাহন নিরুৎসাহিত করা ও গণপরিবহন বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বিআরটিএ সচিব শওকত আলী বলেন, যে সকল শহরে যানজট ও গণপরিবহনের ভোগান্তি রয়েছে সেখানে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দিল্লীসহ বিভিন্ন শহরে ব্যক্তিগত গাড়ি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। যা আমরা ফলো করতে পারি। তিনি বলেন, জোড়-বেজোড় করে ব্যক্তিগত গাড়ি নামানো, একেক এলাকায় নির্দিষ্ট দিনে গাড়ি চালানো এমন সব পদক্ষেপে সাধারণ পরিবহন চলাচলে সুবিধা হয়েছে। আমিও মনে করি ডিটিসিএ ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এরকম পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। তিনি জানান, এক সমীক্ষায় বিশ্বব্যাংক বলেছে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের শহর ঢাকা। এই শহরে দিন দিন গণপরিবহন কমছে। ঘণ্টায় গাড়ির সর্বোচ্চ গতি সাত কিলোমিটার। যানজট, ভাড়া নিয়ে জটিলতা, অব্যাহত লোকসানের কারণে গণপরিবহন হ্রাস পাচ্ছে বলেও জানান তিনি। বিআরটিএ সচিব বলেন, রাজধানীতে মাত্র চার হাজার বাস চলার কথা। অথচ দিন দিন এর সংখ্যা কমছে। দ্রুত বাড়ছে ব্যক্তিগত গাড়ি। আমরা শুনেছি সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কয়েকটি সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হবে। তাছাড়া সবচেয়ে বড় বিষয় হলো কাগজপত্রে গণপরিবহনের সংখ্যা যা আছে রাস্তায় তা নেই। দেশজুড়ে আট বছরে কত গাড়ি বাড়ল বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে সারাদেশে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ২৪৪টি। আট বছরে তা দ্বিগুণের বেশি ছাড়িয়ে গেছে। চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত সারাদেশে নিবন্ধিত পরিবহনের সংখ্যা ৩১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৯টি। এর মধ্যে গণপরিবহন হিসেবে পরিচিত অটোরিক্সার সংখ্যা ২০১০ সালে সারাদেশে ছিল এক লাখ ২৬ হাজার ৭৬৩টি। বর্তমানে সারাদেশে অটোরিক্সার সংখ্যা দুই লাখ ৪১ হাজার ৮৩০টি। আট বছরে বেড়েছে এক লাখ ১৫ হাজার ৬৭টি। তাছাড়া ২০১০ সালে সারাদেশে নিবন্ধিত অটোটেম্পোর সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ২৬৬, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ১৮৯টি। ২০১০ সালে বাসের সংখ্যা ছিল ২৭ হাজার ৭৭৮টি। আট বছরে সারাদেশে বাসের সংখ্যা ১৫ হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৯০১টি। ২০১০ সালে সারাদেশে জিপের সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ২৮৬টি, বর্তমানে ৫১ হাজার ৫২৯। ২০১০ সালে সারাদেশে নিবন্ধিত মাইক্রোবাসের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৩৭৩, বর্তমানে ৯৫ হাজার ৩১২টি। ২০১০ সালে গণপরিবহন অর্থাৎ মিনিবাসের সংখ্যা সারাদেশে ছিল ২৫ হাজার ৬৪৪টি। আট বছরে দুই হাজার হাজার বেড়ে বর্তমানে এই সংখ্যা ২৭ হাজার ৭০২টি। ব্যক্তিগত যান হিসেবে পরিচিত ২০১০ সালে সারাদেশে রেজিস্ট্রেশনকৃত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল সাত লাখ ৫৯ হাজার ২৫৭, বর্তমানে ১৯ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৬টি রয়েছে। আট বছরে এই পরিবহনটি প্রায় তিনগুণ হয়েছে। ব্যক্তিগত পরিবহন হিসেবে পরিচিত ২০১০ সালে দেশে নিবন্ধিত প্রাইভেটকারের সংখ্যা ছিল দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৩০টি। বর্তমানে তিন লাখ ২৪ হাজার ৭০১টি প্রাইভেট কার রয়েছে। আট বছরে বেড়েছে প্রায় এক লাখ পাঁচ হাজার প্রাইভেটকার। মধ্যবিত্তের প্রাইভেটকার হিসেবে পরিচিত ট্যাক্সি। দেশে এর প্রচলন এখন নেই বললেই চলে। যা আছে তা কোন কোন সময় উচ্চবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে যায়। ২০১০ সালে সারাদেশে নিবন্ধিত ট্যাক্সির সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৩৮০, আট বছরে মাত্র এক হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ১৯৩। তবে পুরনো ট্যাক্সি এখন সবই বন্ধ। নতুন মাত্র তিন শতাধিক ট্যাক্সি চলছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। বিশিষ্ট নগর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নূরুল ইসলাম নাজেম বলেন, মানুষের আয় বৃদ্ধি, সস্তায় গ্যাস পাওয়াসহ ট্যাক্সি ও অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টের অভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি বাড়ছে। তিনি বলেন, বিকলাঙ্গ করা হয়েছে আমাদের ট্যাক্সি সার্ভিসকে। অন্যান্য সার্ভিসও অজ্ঞাত কারণে উন্নয়ন হচ্ছে না। তাহলে মানুষের চলার কোন ব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নৌ-পথ, বিআরটিএসহ যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। নইলে আগামী দিনে সাধারণ মানুষের পথচলা আরও কঠিন হবে। রাজধানীতে আট বছরে দ্বিগুণ প্রাইভেটকার বিআরটিএ পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানীতে দিন দিন ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। গত আট বছরে এই শহরে প্রাইভেটকারের সংখ্যাই বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। মজার বিষয় হলো সারাদেশে তিন লাখ ২৪ হাজার প্রাইভেট কারের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় আড়াই লাখেরও বেশি। বাকি ৬৩ জেলায় চলছে মাত্র ৭৫ হাজারের কম গাড়ি। জানা গেছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত রাজধানীতে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত পরিবহনের সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭টি। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনভুক্ত পরিবহনের সংখ্যা ১১ লাখ ৫০ হাজার ৭০৮টি। অর্থাৎ গত আট বছরে রাজধানীতে রেজিস্ট্রেশনকৃত পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ। ২০১০ সালে রাজধানীতে লাইসেন্সকৃত অটোরিক্সার সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৫৫টি। এখন তা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজারের কিছু বেশি। আট বছরে অটোরিক্সা বেড়েছে এক হাজার ৩৯১টি। একই সময়ে রাজধানীতে অটোটেম্পো দুটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৬৩তে। ২০১০ সালে রাজধানীতে বাসের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৭৮৩, বর্তমানে ১৪ হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ২৭৪টি। ২০১০ সালে রাজধানীতে মিনিবাসের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৪৯০টি, বর্তমানে ১০ হাজার ৩২৬টি। আট বছরে মিনিবাস বেড়েছে মাত্র এক হাজারেরও কম। অথচ নগরী দুই কোটি বেশি মানুষের মধ্যে একটি বড় অংশের যাতায়াতে একমাত্র নির্ভরতা বাস ও মিনিবাস। ২০১০ সালে রাজধানীতে মোটরসাইকেল ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৮১, বর্তমানে চার লাখ ৮৩ হাজার ৮১৫টি। প্রায় আড়াইগুণ মোটরসাইকেল বেড়েছে গেল প্রায় আট বছরে। ২০১০ সালে প্রাইভেটকারের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৬৩ হাজার চারটি, বর্তমানে তা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে দুই লাখ ৫৫ হাজার ৬২২টি হয়েছে। রয়েছে সাড়ে নয় হাজারের বেশি মাইক্রোবাস। কাগজেপত্রে ট্যাক্সি ৩৬ হাজারের বেশি থাকলেও রাস্তায় নেই। কেন ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ একেবারেই কম। যে হারে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা ঢাকাসহ সারাদেশে বাড়ছে সে পরিমাণে গণপরিবহন বাড়ছে না। এজন্য মানুষের ব্যক্তিগত পরিবহনের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে। ব্যক্তিগত পরিবহন নিয়ন্ত্রণে ব্যাংক ঋণ বাড়ানো ও কঠোর করা, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা ও দাম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা উচিত। ইতোমধ্যে চার হাজার বাস নামানোর সিদ্ধান্ত হলেও তা দিনের পার দিন নানা কারণে ঝুলে আছে। রাজধানীতে ১৬৫টি পরিবহন কোম্পানির মধ্যে ১০ ভাগ লাভবান আছে জানিয়ে পরিবহন মালিকদের এই শীর্ষ নেতারা জানান, যানজটসহ নানা কারণে বাস কোম্পানিগুলো অনবরত লস দিয়ে আসছে। এ কারণে মালিকরা নতুন নতুন গাড়ি নামাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে সরকারকে আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের আয়োজন ২২ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস’। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ন্যায় বাংলাদেশে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) দিবসটি উপলক্ষে ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সরকারী-বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে দিবসটি উদযাপন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘যানজট ও দূষণমুক্ত নগরায়নে প্রয়োজন, গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ’। যাত্রা শুরুর কথা ইউরোপে সত্তরের দশকে ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের প্রচলন শুরু হয়। বাংলাদেশে ২০০৬ সাল থেকে বেসরকারীভাবে পালিত হয়ে আসলেও ২০১৬ সাল থেকে প্রথম সরকারী-বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়। প্রথম বছর ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষসহ (ডিটিসিএ) সরকারী এবং বেসরকারী ৪৪টি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে মানিক মিয়া এভিনিউর উত্তর পাশে (দক্ষিণ প্লাজায়) আলোচনা সভা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার বৃদ্ধিতে জ্বালানি নির্ভরতা ও পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধি পায়। আর স্বল্পসংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য গণপরিবহনের পরিবর্তে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের ফলে সড়কে বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়, যা যানজট সৃষ্টি করে। অথচ গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনার মাধ্যমে পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় ৪ হাজার শহরে দিবসটি পালিত হয়।
×