ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্যাডসর্বস্ব দল যাতে জোটে থাকতে না পারে সেজন্য নীতিমালা দাবি

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

প্যাডসর্বস্ব দল যাতে জোটে থাকতে না পারে সেজন্য নীতিমালা দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছে গণফ্রন্ট নামের রাজনৈতিক দল। তাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে প্রয়োজনে নির্বাচনকালীন সরকারে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই নির্বাচন হতে পারে। তবে নির্বাচনকালীন সরকারে যারা থাকবেন তারা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এছাড়াও সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ দলটির পক্ষ থেকে ১২ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে বুধবার সকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় গণফ্রন্ট। এই সংলাপে দলটির পক্ষ থেকে মত দেয়া হয়েছে সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হতে পারে। এজন্য বর্তমান সরকারকে সংবিধান সংশোধন করে হলেও একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে যেসব নিবন্ধিত দলের সংসদে প্রতিনিধিত্ব রয়েছে তাদের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। সংলাপে দলটির চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেনের নেতৃত্বে গণফ্রন্টের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়। প্রায় দুই ঘণ্টার মতবিনিময় শেষে দলের চেয়ারম্যান জানান, তার দলের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ সুপারিশ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছেÑ বর্তমান সরকারকে সংবিধান সংশোধন করে হলেও (তত্ত্বাবধায়ক নয়, অরাজনৈতিক সরকার নয়) একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। স্বাধীনতার পরে (বিতর্কিত নির্বাচন ৮৬, ৯৬, ২০১৪ বাদে) যে সব নিবন্ধিত দলের সংসদে প্রতিনিধিত্ব ছিল তাদের সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে সমঝোতার মাধ্যমে সে সরকারের প্রধান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তবে নির্বাচনকালীন সরকারের কেউ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না উল্লেখ করেন। দলটির অন্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন করা, নাম ও প্যাড সর্বস্ব অফিসবিহীন রাতারাতি গড়ে উঠা অনিবন্ধিত দলগুলো যাতে নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোট করতে না পারে সে জন্য নীতিমালা প্রণয়ন, নির্বাচনের অন্তত ছয় মাস আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের দলীয় প্রধানের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া, সীমানা পুনর্বিন্যাস করার জন্য আইনী কাঠামো সংস্কার করা, পাশাপাশি বাস্তবতার নিরিখে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ন্যূনতম সংখ্যা ৩৫০/৪৫০টি করা, প্রবাসীদের ভোটার করা, নারী আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রতি জেলায় একজন নারী সংরক্ষিত আসনে নিয়োগ, ধর্মবিরোধী দলের নিবন্ধন বাতিল ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করা। একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৩১ জুলাই থেকে ধারাবাহিকভাবে সংলাপ করে আসছে ইসি। সুশীল সমাজ এবং গণমাধমের সঙ্গে সংলাপ শেষে ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলের সংলাপ। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন অক্টোবরের মধ্যে ধারাবাহিক এই সংলাপ সম্পন্ন করতে। তারা জানায় আগামী ১৫ অক্টোবর বিএনপির সঙ্গে বসবে নির্বাচন কমিশন।
×