ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাদিয়া তাবাসসুম বৃষ্টি

জেগে ওঠো বিশ্ববিবেক

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

জেগে ওঠো বিশ্ববিবেক

যে দেশ নিজেকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দাবি করে এবং যে দেশের নেত্রী স্বয়ং শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সেই দেশ কি করে একটি জনগোষ্ঠীকে এভাবে বিতাড়িত করতে পারছে! কি করে মানুষ থেকে অমানুষ বা পশু হয়ে যাচ্ছে? প্রশ্নটা থেকেই যায়। কিন্তু তার সঙ্গে জানতে ইচ্ছে করে এর সমাধান কিভাবে আর কতদূর? আর কতদিন দেখতে হবে এই মরণখেলা? একটি পরিবারের কোন সমস্যায় যেমন সে পরিবারের প্রতিটি সদস্য তাকিয়ে থাকে পরিবারের পরিচালক বা প্রধানের দিকে, তেমনি একটি দেশ তাকায় তার রাষ্ট্রপ্রধান বা নেতা বা নেত্রীর দিকে। যখন বিশ্ব ইস্যুতে পরিণত হয় কোন সমস্যা তখন পুরো বিশ্বের আমাদের মতো সাধারণ মানুষ তাকিয়ে থাকে জাতিসংঘ তথা সারাবিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দিকে। কিন্তু হতাশা ছাড়া বিশেষ কিছুই পায়নি কেউই। তবে কি ঘুমিয়ে আছে বিশ্ববিবেক? বাংলাদেশের বুকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এই হঠাৎ অনুপ্রবেশে একদিকে তাদের কষ্টে কাঁদছে বাঙালী, অন্যদিকে এত অশান্তি, অমানবিকতা আর রাজনীতিকে উপেক্ষা করে বেঁচে আছে মানবিকতা। তাই আজ ভয়ে জড়সড় হয়ে কাঁদতে থাকা সন্তানকে মা সান্ত¡নার কণ্ঠে বলেন, আর কাঁদিস না, ওই যে দেখ বাংলাদেশ দেখা যাচ্ছে। আর কোন ভয় নেই। আমরা বাংলাদেশে এসে গেছি। আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় এখনও বহু প্রতিকূলতার মুখে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরও বাঙালী তার আত্মঐশ্বর্যকে বিসর্জন দেয়নি। আজও এই সঙ্কটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি অসংখ্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আশ্রয় হয় এই দেশের মাটিতে। যে দেশের জন্ম ১৯৭১ থেকে সেই দেশের মানুষ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়েও মুখের অন্ন ভাগ করে নিতে জানে। হে বিশ্ববিবেক এর পরেও কি তুমি নীরব থাকবে? বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অত্যন্ত জোরালো কণ্ঠে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খাওয়া হবে। তাদের কোন কষ্ট দেয়া হবে না। কেননা তারা আমাদের কাছে আশ্রয়ের জন্য এসেছে। তাদের আমরা ফেলে দিতে পারি না। মিয়ানমারের মতো নাফ নদী কিংবা বঙ্গোপসাগরের দিকে ঠেলেও দিতে পারি না।’ অন্যায় অত্যাচারের কাছে এভাবে মাথা নত করতে চায় না কেউ। তাই বলছি হে বিশ্ববিবেক ফিরে তাকাও, জেগে ওঠো। ফিরিয়ে নেয়া হোক রোহিঙ্গাদের তাদের নিজেদের দেশে। বন্ধ করা হোক এই হত্যাযজ্ঞ । সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ জামালপুর থেকে
×