ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হিমাচলও কংগ্রেসের হাতছাড়া হতে পারে!

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হিমাচলও কংগ্রেসের হাতছাড়া হতে পারে!

এ বছরের শেষ দিকে রাজ্য বিধান সভার নির্বাচনের আগে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং কংগ্রেস হাই কমান্ডের কাছে একটা আলটিমেটাম পাঠিয়েছেন। গত মাসের শেষ দিকে রাজ্য বিধান সভার শেষ অধিবেশনের সমাপনী দিনে কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠকে দলীয় এমএলএদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি দলে থেকেই বাঁচব, দলে থেকেই মরব কিন্তু দলে আর অবমাননার শিকার হব না।’ পরে বিরোধীদলীয় নেতাদের সঙ্গে প্রথাগত শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি বিজেপি দলীয় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমালকে বলেন, তিনি আগামী বিধান সভায় থাকবেন না তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে দাঁড়াব না। তবে আপনাদের প্রতি শুভেচ্ছা রইল।’ এর একদিন আগে ৮৩ বছর বয়স্ক কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ও সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে যুক্তভাবে লেখা এক চিঠিতে তার হতাশার বহির্প্রকাশ ঘটান। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সুখবিন্দর শুকু ও তার সমর্থক পাহাড়ী কংগ্রেস নেতাদের ক্ষুদ্র এক কোটারির কথা পরোক্ষভাবে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব কিছু লোকই এই ধারণা ছড়াচ্ছে যে কংগ্রেসের পক্ষে হিমাচল প্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সাবেক মন্ত্রী হর্ষ মহাজন বলেন, বীরভদ্র সিং জানিয়ে দিয়েছেন যে এ বছরের অক্টোবর-নবেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিধান সভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়লাভের সম্ভাবনা অতি বাস্তব। তবে শুধু যদি জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থীদেরই মনোনয়ন দেয়া এবং পার্টি সংগঠনকে যথাশীঘ্র উল্লেখযোগ্যরূপে ঢেলে সাজানো হয়। মহাজন বলেন, পার্টি হাই কমান্ড প্রায় এক বছর ধরে তাকে যেসব আশ্বাস দিয়ে এসেছেন তারই চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে তিনি এই চিঠি দিয়েছেন। অনেক সভা হয়েছে, রাহুলের সঙ্গে ৭ ঘণ্টা দীর্ঘ বৈঠকও হয়েছে কিন্তু এর সব কিছুর নিট ফল হয়েছে শূন্য। সবকিছুই অরণ্যে রোদন হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের দায়িত্বে নিয়োজিত সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার সিন্ধের সপ্তাহব্যাপী এই রাজ্য সফরের পর শেষ আশাটুকু দেখা দিয়েছিল। তাও এখন ম্লান হয়ে গেছে। রাজ্যের কংগ্রেস এমএলএদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এমনকি কেবিনেট মন্ত্রী কাউল সিং ঠাকুরের মতো তার সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বীরা মুখ্যমন্ত্রী ও তার শাসনামলে অর্জিত উন্নয়নের প্রতি সমর্থন জানালেও মহাজন জানান যে বীরভদ্র উপস্থিত ছিলেন না এমন দু-একটি জনসভায় সিন্ধে তার সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করতে দেয়ায় মুখ্যমন্ত্রী অতিমাত্রায় আহত হয়েছেন। বীরভদ্র সিং ৬ বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি প্রথম নির্বাচনে দাঁড়ান ২৫ বছর বয়সে। তিনি বলেন, অপমান অপদস্থ হওয়ার চাইতে তিনি বরং বাসায় বসে থাকবেন। তিনি বলেন একই সঙ্গে আদালতে কথিত দুর্নীতির মামলা লড়বার এবং দলের অভ্যন্তরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর মতো এনার্জি তার নেই। বীরভদ্র নির্বাচনে না দাঁড়ানোর যেসব কথা বলছেন তাতে অটল থাকবেন বলেই মনে হয়। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতাদের পরিস্থিতিকে তার মতো করে দেখতে এটা তার একটা কৌশলগত চালও হতে পারে। জনৈক বিশ্লেষকের মতে বীরভদ্র না থাকলে হিমাচলে বিজেপির আগমনের পথ সুগম হবে। এটা কংগ্রেসের হাই কমান্ডও ভাল মতোই জানে। চলমান ডেস্ক সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
×