ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নারায়ণগঞ্জে ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের আট গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার বিঘা কৃষি জমি ভরাট করে দখল করার প্রতিবাদে ও ভূমিদস্যুদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আদালত প্রাঙ্গণে শতাধিক ভূমিহীন কৃষক পরিবারের সদস্যরা এ মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে। মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান দীপু, এ্যাডভোকেট হাসান মিয়া ও কয়েকজন প্রবীণ গ্রামবাসী। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভোলাব ইউনিয়নের চারিতালুক এলাকার কাজলা বিলসহ সরকারী স্বর্ণখালী শাখা খাল ও পার্শ্ববর্তী কৃষি জমির ওপর প্রায় দশ হাজার কৃষক পরিবার নির্ভরশীল। এখানকার কৃষকদের পরিবার যুগ যুগ ধরে এখানে বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ এবং শুষ্ক মৌসুমে ফসল আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বেশ কয়েকটি রিয়েল এস্টেটের নাম দিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার বিঘা জমি ক্রয় না করেই ড্রেজারের মাধ্যমে বালু দিয়ে ভরাট শুরু করেছে। ফলে দশ হাজার কৃষক পরিবার ভূমিহীন হয়ে অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছেন এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করায় ওইসব ভূমিদস্যু প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা তাদের নানাভাবে হুমকি প্রদানসহ সশস্ত্র পাহারা বসিয়েছে। একই সঙ্গে তারা ভরাটকৃত জায়গা বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিলেও পরিবেশ অধিদফতর তা গায়ে মাখছে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানিয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর ভূমিহীন কৃষকরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। রায়পুরে সংবাদ সম্মেলন নিজস্ব সংবাদদাতা রায়পুর. লক্ষ্মীপুর থেকে জানান, রায়পুরে ভূমিদস্যু খোরশেদ আলম গংয়ের হয়রানি, হুমকি, ভূমিদৃস্যুতা, গাছ কাটা ও ফসল লুটপাটসহ নানান অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন একেএম সামছুদ্দিন ভূঁইয়া নামের এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা। এ ঘটনার বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করলেও থেমে নেই তাদের অত্যাচার। মঙ্গলবার সকালে শহরের একটি প্রতিষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে নানান অভিযোগ তুলে ধরে এসব অত্যাচার থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত কর্মকর্তা একেএম সামছুদ্দিন ভূঁইয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, একই এলাকার খোরশেদ আলম ভূঁইয়া এলাকায় ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক মামলাও হয়েছিল। দফায় দফায় খোরশেদ ও তার লোকজন আমাদের বাড়ি, বাগান ও ফসলি জমিতে হানা দিয়ে গাছ ও ফসল লুটপাট করে নিয়ে যায়। একই এলাকার শাহজাহান ভূঁইয়া ও আবু জাফর ভূঁইয়া নামে দু’ব্যক্তিও তাদের দ্বারা নির্যাতিত। ১ সেপ্টেম্বরও তারা লুটপাট চালায়।
×