ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দীর্ঘদিনেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ

সোনালী ব্যাংকের ভোগ্যপণ্য ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সোনালী ব্যাংকের ভোগ্যপণ্য ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে ভোগ্যপণ্য ঋণের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাক্ষরযুক্ত তারিখবিহীন সাদা চেকের মাধ্যমে এসব অর্থ আত্মসাত করেন ব্যাংকটির তৎকালীন জুনিয়র ক্যাশ অফিসার লুৎফুর রহমান। ২০০৯ সালে এ ধরণের ঘটনা ঘটলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে এ সংক্রান্ত অভিযোগপত্র গত জুন মাসে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবরে পাঠানো হয়। বর্তমানে ওই কর্মকর্তা সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় কর্মরত রয়েছেন। জানা গেছে, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে ভোগ্যপণ্য ঋণ বিভাগে দায়িত্বরত ছিলেন লুৎফুর রহমান। অন্তত ৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভোগ্যপণ্য ঋণ দেয়ার নামে তাদের নিকট থেকে স্বাক্ষরযুক্ত সাদা চেক দ্বারা পূর্বের বিতরণকৃত ভোগ্যপণ্য ঋণের টাকা সমন্বয় না করে তিনি নিজেই তা আত্মসাত করেন। এসব কর্মচারীর একটা বড় অংশই ছিল বুয়েটের নিরাপত্তা কর্মী, লিফট অপারেটর, ঝাড়–দার ও পিয়ন। সোনালী ব্যাংক ও বুয়েট কর্তৃপক্ষ আত্মসাতকৃত টাকা সমন্বয়ের জন্য কর্মচারীদের চাপ দিলে ধার-দেনা, স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক ও জমি বিক্রির মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা সমন্বয় করেন তারা। এদিকে এ ধরনের গুরুতর অভিযোগ উঠলেও লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়নি সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের বুয়েট শাখা কর্তৃপক্ষ জানায়, তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আত্মসাতকৃত পুরো অর্থই সমন্বয় করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুয়েটের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, তাদের নিকট থেকে স্বাক্ষরযুক্ত সাদা চেক দ্বারা পূর্বের বিতরণকৃত ভোগ্যপণ্য ঋণের টাকা সমন্বয় না করে আত্মসাত করেন লুৎফুর রহমান। তারা বলেন, চাকরি বাঁচাতে ধার-দেনা, স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক ও জমি বিক্রির মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা সমন্বয় করা হয়। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন কর্মচারীরা। এদিকে বিভিন্ন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অভিযোগ করা হয়।
×