ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে পাঠ্যবই ছাপানো বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে পাঠ্যবই ছাপানো বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কারণে প্রথম দিনই বন্ধ হয়ে গেছে অধিকাংশ পাঠ্যবই ছাপানো ও সরবরাহের কাজ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মুদ্রণশিল্পের ওপর নতুন শর্ত আরোপ করায় সোমবার হঠাৎ করেই ধর্মঘটের ডাক দেন পাঠ্যবই ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ। এ অংশটি বলছে, নতুন যেসব প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হচ্ছে তাদের নেই ছাপাখানা, নেই কোন জনবল ও অবকাঠামো। তবে এনটিসিটিবি আন্দোলনকারী ব্যবসায়ীদের বক্তব্যকে ভুল অভিহিত করে বলেছেন, এখনও কাজ কেউ পেয়ে যায়নি। যদি যোগ্যতা না থাকে তবে কেই কাজ পাবে না। অযথাই ভুল আশঙ্কা থেকে আন্দোলন করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। আগের দিন মুদ্রণশিল্প সমিতির নেতৃবৃন্দ অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দেন। ধর্মঘটের কারণে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে আগামী শিক্ষা বর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। মুদ্রণশিল্প সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, এনসিটিবি নানা ধরনের বেআইনী কাজ করছে। কার্যাদেশের বাইরে নতুন করে শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। এসবের প্রতিবাদেই আমরা আজ থেকে বইয়ের মুদ্রণসহ সব ধরনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ অবস্থান অব্যাহত থাকবে। তবে সংকট সমাধানে মঙ্গলবার সকালেই পাঠ্যবই মুদ্রণকারী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে জরুরী সভা করেছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা। তিনি বলেছেন, একটি ভুল ধারণা থেকে কথা বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে যাদের কাজ পাওয়ার যোগ্যতা নেই, কোন অবকাঠামো নেই তাদের কাজ দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমরাতো বলেছি যার যোগ্যতা নেই নিয়ম অনুসারেই তারা বাদ পড়বেন। এখন তো কাজ কাউকে দেয়া হয়নি। এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, এবার বিনামূল্যে বই বিতরণের জন্য সরকার ৫টি টেন্ডারে ভাগ করে ৩৫ কোটি ১৩ লাখ ২৬ হাজার ২০৭টি বই মুদ্রণ কাজ করাচ্ছে। এর মধ্যে নবম শ্রেণীর ১২টি পাঠ্যবই ‘সুখপাঠ্যকরণ’ নাম দিয়ে সংশোধন করে নতুনভাবে তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজী, গণিত, পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যা, উচ্চতর গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতা, অর্থনীতি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, হিসাববিজ্ঞান। এসব বইয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। ওইআর সম্মেলনে উন্মুক্ত শিক্ষার নানা দিক উপস্থাপন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ॥ সেøাভেনিয়ার রাজধানী লুবজানায় অনুষ্ঠিত ‘দ্বিতীয় ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ওপেন এডুকেশনাল রিসোর্সেস’ (ওইআর) সম্মেলনে বাংলাদেশের উন্মুক্ত শিক্ষার বিভিন্ন দিক ও সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিন শিক্ষামন্ত্রী ‘জাতীয় প্রেক্ষাপটে এসডিজি-৪ অর্জনে ওইআর’র গুরুত্ব শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় নুরুল ইসলাম নাহিদ অংশগ্রহণ করেন। কংগ্রেসের প্যানেল আলোচনায় সেøাভেনিয়া, কোস্টারিকা, মরিশাস, দক্ষিণ আফ্রিকা, মাল্টা, মেসিডোনিয়া, হাওয়াই ও বুলগেরিয়ার শিক্ষামন্ত্রীরা এ আলোচনায় অংশ নেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রীরা মানসম্পন্ন শিক্ষা ও এসডিজি-৪ অর্জনে ওইআর-এর ব্যবহার বিষয়ে নিজ নিজ দেশের ভাল অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ, নীতি-কৌশল এবং পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বাংলাদেশে উন্মুক্ত শিক্ষা সম্পদ ব্যবহারের বিভিন্ন দিক ও সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেন। ইউনেসকোর নলেজ সোসাইটিজ ডিভিশনের পরিচালক ইন্দ্রজিত ব্যানার্জি প্যানেল আলোচনা পরিচালনা করেন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ওইআর ফর ইনক্লুসিভ এ্যান্ড ইকুইটেবল কোয়ালিটি এডুকেশন’। ওপেন এডুকেশনাল রিসোর্সেস কংগ্রেসে ‘লুবজানা ওইআর একশন প্লান-২০১৭’ গ্রহণ করা হবে।
×