ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পটিয়া থেকে ১০৩ রোহিঙ্গা আটক

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

পটিয়া থেকে ১০৩  রোহিঙ্গা আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ১৮ সেপ্টেম্বর ॥ নুরুল আলম (৩০)। বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকার উদং গ্রামে। পিতার নাম দোলা হোসেন। তারা যুগ যুগ ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে উদং গ্রামে থাকতেন। নুরুল আলম পেশায় দিনমজুর। ঠুনকো অজুহাতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থী স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের অত্যাচার, নির্যাতন, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও গণধর্ষণ শুরু করে। সে দেশের সেনাবাহিনীর কাছ থেকে রেহাই পায়নি শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত। তারা (সেনাবাহিনী) পাখির মতো রোহিঙ্গাদের গুলি ও প্রকাশ্যে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পিতা-মাতার সামনেই মেয়েকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে। সেনাবাহিনী ও উগ্র স্থানীয়দের ভয়ে ৪ লাখের বেশি নারী-পুরুষ ও শিশু সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় ঢুকে পড়ে। এ পর্যন্ত ১৩০জনের লাশ নাফ নদীসহ বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া গেছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকে কোটিপতি কিংবা লাখপতি। কিন্তু বর্তমানে তারা উখিয়া, টেকনাফ, কুতুপালং, শাহপরীর দ্বীপসহ বিভিন্ন এলাকায় যেন ‘রাস্তার ফকির’। কান্নাজড়িত কণ্ঠে লোমহর্ষক ঘটনা পটিয়া থানায় বর্ণনা করেন রোহিঙ্গা নুরুল আলম। পুলিশ সোমবার সকালে ও রবিবার রাতভর উপজেলার হাইদগাঁও এবং পৌর সদরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ১০৩ রোহিঙ্গাকে দ্বিতীয় দিনের মতো আটক করেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উখিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। কুড়িগ্রাম থেকে ৪ রোহিঙ্গাকে শরণার্থী শিবিরে ফেরত স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, ভুরুঙ্গামারীতে আসা মিয়ানমারের আবুল কালামের পরিবারকে রবিবার রাতে টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
×