ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ১৫ পয়েন্টে ওএমএসের চাল বিক্রি

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

চট্টগ্রামে ১৫ পয়েন্টে ওএমএসের চাল বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ খোলা বাজারে সরকারী চাল বিক্রি কার্যক্রমে ক্রেতাদের সাড়া কম। অনেকেই জানেন না যে, ভর্তুকি মূল্যে সরকারের পক্ষ থেকে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। সোমবার দ্বিতীয় দিনের মত চলে নগরীর ১৫টি স্পটে ওএমএস কার্যক্রম। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে কেন্দ্র স্থাপন না হওয়ায় তা প্রচার পায়নি। জানা যায়, ডিলারদের মাধ্যমে ১৫টি স্পটে শুরু হয়েছে ওএমএস চাল বিক্রি। বর্তমান বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চালের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা করে। এতে করে ওএমএস চালের মূল্যও আগের চেয়ে বেড়েছে। মূল্য দ্বিগুণ হলেও বর্তমানে দোকান পর্যায়ে দর যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে করে ক্রেতারা আকৃষ্ট হওয়ারই কথা। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, সরকারীভাবে বহুল প্রত্যাশিত এ কার্যক্রমটি শুরু হয়েছে। কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওএমএস’র চাল বিক্রি হচ্ছে ডিলার পয়েন্টে। প্রথম পর্যায়ে প্রতি ডিলারকে ১ টন করে মোট ১৫ টন চাল দেয়া হয়েছে বিক্রির জন্য। ডিলাররা নিজ নিজ স্টোর পয়েন্টে বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করে বিক্রি করছেন। সাধারণত ট্রাকে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র স্থাপন করে ওএমএস’র চাল বিক্রি হয়ে আসছিল এত বছর ধরে। সেভাবে হলে সাধারণ মানুষের চোখেও পড়ে। কিন্তু এবার তা না হওয়ায় কার্যক্রমটি চলছে অনেকটাই নীরবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের খাদ্য নিয়ন্ত্রক (পরিবহন ও সংরক্ষণ) জহিরুল ইসলাম সোমবার জনকণ্ঠকে জানান, প্রতিটি ডিলারকে প্রতিদিন ১ টন করে চাল দেয়া হচ্ছে। এ কার্যক্রম চলবে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। একজন ক্রেতা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারছেন। প্রথমদিনে সাড়া একটু কম হলেও দ্বিতীয় দিন ক্রেতা বেড়েছে বলে তিনি জানান। খাদ্য বিভাগ সূত্রে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, প্রথম দিন বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্রি হয়েছে ৭ টনের মতো চাল। সোমবার বিক্রি আরও একটু বাড়ার কথা। চট্টগ্রামে যে সকল পরিবেশক পয়েন্টে ওএমএস চাল বিক্রি হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে- দক্ষিণ বাকলিয়ার মাকসুদ এন্টারপ্রাইজ, মোহরা নিউ স্টোর, বাকলিয়া বৌবাজারের আনোয়ার এ্যান্ড ব্রাদার্স, সদরঘাট কালীবাড়ি এলাকার নিউ স্টোর, পাথরঘাটা আশরাফ আলী রোডের হাজী ভোলা সওদাগর, পশ্চিম মাদারবাড়ি দিদার এ্যান্ড ব্রাদার্স, বলুয়ার দীঘিরপাড় এলাকায় আঞ্জুমান সিন্ডিকেট, স্টেশন রোডে হারুন স্টোর, লালখানবাজারে মনোয়ার স্টোর, খলিফাপট্টি এলাকায় শাহ আলম স্টোর এবং চান্দগাঁও এলাকায় শমশের খান এন্টারপ্রাইজ। ট্রাকে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র স্থাপন না হওয়া প্রসঙ্গে পরিবেশকরা জানান, দৈনিক মাত্র ১ টন করে চাল দেয়া হচ্ছে। এ পরিমাণ চাল বিক্রির জন্য ট্রাক ব্যবহার করার প্রয়োজন হচ্ছে না। রংপুরে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর থেকে জানান, রংপুরে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওএমএসের চাল বিক্রি কার্যক্রম সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। নগরীর ৭১টি কেন্দ্রে চাল বিতরণ করা হবে বলে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। প্রথম দিন ১৫টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়। কেন্দ্রগুলোতে ক্রেতার দীর্ঘলাইন দেখা গেছে। রংপুর খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এ জন্য প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ওএমএসের চাল বিক্রির জন্য ৭১ জন ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন ১৫ জন করে ডিলার ও স্থান পরিবর্তন করা হবে। এভাবেই প্রত্যেক ডিলার ১ মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ পাবে। ভোক্তারা প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে ৩ থেকে ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারবে। সোমবার ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে চাল বিক্রি শুরু হয়। মঙ্গলবার নতুন ১৫টি কেন্দ্রে চাল বিতরণ শুরু হবে। কেন্দ্রগুলো হলোÑ নিউ জুম্মাপাড়া, সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়া মোড়, কলেজ রোডের পিডিবি গেটসংলগ্ন এলাকা, ধাপ সিটিবাজার লালকুঠি মোড়, চিকলী বিল রোডের হনুমানতলা, আশরতপুর সাজাপুর, মাহিগঞ্জ মোড়, কামালকাছনা মাছুয়াপাড়া, আরসিসি স্কুলসংলগ্ন এলাকা, ফায়ার সার্ভিসের সামনে গুপ্তপাড়া মন্থনা, রেলওয়ে স্টেশন রোডের ঘোড়াপীর মাজার এলাকা, পীরগাছা রোডের মাহিগঞ্জ কলেজ মোড়, গোমস্তাপাড়া, আরকে রোডের মধ্যবাবুখাঁ, ও কুকরুল বিল রোড। এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে চাল বিক্রি শুরু হয়। নগরীর শাপলা চত্বর, ঠিকাদারপাড়া মোড়, কেরানীপাড়ার চৌরাস্তা, রেলওয়ে স্টেশন বাজার, তাজহাট স্কুল মোড়, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, মাহিগঞ্জ বাজার, বিসিক শিল্পনগরী, সিগারেট কোম্পানি মোর, বিএডিসি, ইঞ্জিনিয়ারপাড়া, সুরভী উদ্যান, রবার্টসন্সগঞ্জ স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ, গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে চাল কিনতে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
×