ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিকাশ এজেন্টগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ মানেনি কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বিকাশ এজেন্টগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ মানেনি কর্তৃপক্ষ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ একাধিক হিসাবধারী বিকাশ এজেন্টগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ মানেনি কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া প্রায় তিন হাজার এজেন্টের বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকারও প্রমাণ মিলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে। তাই বিষয়টি তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে সিআইডিকে। যদিও বিকাশ কর্তৃপক্ষ বলছে, জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ে অনুমতি না থাকায় একাধিক হিসাবধারী শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে বিকাশের পৌনে দুই লাখ এজেন্ট। এদের অনেকেরই রয়েছে একাধিক হিসাব। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউর তদন্তে এ রকম ৮০ হাজার এজেন্টের সন্ধান মেলে, যা মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার লঙ্ঘন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব হিসাব বন্ধ করা এবং একাধিক হিসাবধারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সালে নির্দেশনা দিলেও বিকাশ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। তাই এখন সিআইডিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিএফআইইউর পর্যবেক্ষণে ধরা পড়ে ২ হাজার ৮৮৭টি হিসাব মুদ্রাপাচারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এসব হিসাবের কোন কোনটিতে রাত ২টা থেকে ভোর ৬টি পর্যন্ত ৩-৪ বার ক্যাশ ইন হয়েছে। শুধু তাই নয় ৬০৯টি এজেন্টের ৪১৭টি ব্যক্তিগত হিসাব রয়েছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিকাশ কর্তৃপক্ষ বলছে, জাতীয় পরিচয়পত্র শনাক্ত করার অনুমতি বা সুযোগ না থাকায় একাধিক এজেন্টধারীর হিসাব শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মানার কথা জানিয়েছেন বিকাশের এই কর্মকর্তা।
×