ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাজারে ২ নারী খুন মুন্সীগঞ্জে পুরুষ খাদেমসহ ২ জন রিমান্ডে, গ্রেফতার হয়নি খাদেমপুত্র

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মাজারে ২ নারী খুন মুন্সীগঞ্জে পুরুষ খাদেমসহ ২ জন রিমান্ডে, গ্রেফতার হয়নি খাদেমপুত্র

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের বারেক লেংটার মাজারের জোড়া খুনের ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন পুরুষ খাদেম মাসুদের কোতায়াল পুত্র আরিফ (৩৩) এখনও গ্রেফতার হয়নি। এদিকে রবিবার মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-১ গ্রেফতারকৃত পুরুষ খাদেম মাসুদ কোতায়াল ও বাবু সরকারকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনে করে তাদের বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করেছিল। আদালত ররিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতটির বিচারক পশুপতি বিশ্বাস দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন। এদিকে পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে এবং মূল সন্দেহভাজন আরিফকে গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন। এদিকে মাজারের সম্পত্তি ঝামেলামুক্ত করাসহ আরও কয়েকটি কারণে এই হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশ মনে করছে। একটি সূত্র বলেছে, ওই সম্পত্তির জন্যই খাদেম মাসুদ লেংটার পুত্র আরিফ মাজারের নাম পরিবর্তন করে বাহাদুর শাহ করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু নারী খাদেম আমেনা বেগমের কারণে তাদের অপচেষ্টা সফল হচ্ছিল না। এ কারণে তারা ভাড়াটে খুনীর সহায়তা নেয় বলে ধর্ণা করা হচ্ছে। গ্রেফতার মাসুদ লেংটা ও মাদক বিক্রেতা বাবু সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে পুলিশ হত্যাকান্ডের নেপথ্য কারণ চিহ্নিত করেছে। তবে নেপথ্যে আরও কোন কারণ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে নানামুখী তৎপরতা চলছে। এই রিমান্ডে এসব বিষয়ে তথ্য উদ্ঘাটন করা হবে। পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, পরিবারের সম্পত্তি বারেক লেংটার মাজারের জন্য দিয়ে দেয় মাসুদের পূর্বপুরুষরা। ওই মাজারে খাদেমের দায়িত্বও মাসুদ পালন করে আসছিল। বিগত সময়ে মূল্য কম থাকলেও এখন ওই সম্পত্তির মূল্য কয়েক কোটি টাকা। এ অবস্থায় সম্পত্তি নিজেদের কব্জায় নিতে মাসুদ ও আরিফ চেষ্টা শুরু করে। মাজারের নাম পরিবর্তনের চেষ্টায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় ৩০ বছর ধরে সেখানে থাকা নারী খাদেম আমেনা বেগম। তাই ভাড়াটে খুনী দিয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ঘটনার দিন রাতে মাজারে অবস্থান নেয়ায় আমেনা বেগমের সঙ্গে বারেক লেংটার (যার নামে মাজার) বোন তাইজুনকেও হত্যা করা হয়। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, হত্যাকান্ডের কারণ সম্পর্কে অনেক তথ্যই পাওয়া গেছে। আশা করা যাচ্ছে, শীঘ্রই মূল রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হবে। এই জোড়া খুনের ঘটনায় নিহত তাইজুন খাতুনের ছেলে কফিলউদ্দিন বাদী হয়ে ঘটনার দিন গত বুধবার হত্যা মামলা করেছে।
×