স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের নিবিড় পর্যবেক্ষণ চলছে, সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য এ্যাটর্নি জেনারেলকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। অন্যদিকে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বাংলাদেশ। প্রথমেই মানবিক দিকটা বিবেচনা করা হচ্ছে।
এরপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। রবিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নবনিযুক্ত সহকারী বিচারকদের ৩৬তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। অন্যদিকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন নিবন্ধন পরিদফতর ৪২ সাব-রেজিস্ট্রারকে প্রথম পদায়ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৪৩ সাব-রেজিস্ট্রারকে বদলি করা হয়েছে। রবিবার মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ‘রায়ের বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ হিসেবে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত এ্যাটর্নি জেনারেলকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।’ ওই রায়ের বিষয়ে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নিতে গত বুধবার জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটি পাস হওয়ার আগে এ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের কোন এখতিয়ার আদালতের নাই। আইনের ব্যত্যয় হলে তারা শুধু আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন।’ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা রায়ের ‘অসঙ্গতি’ তুলে ধরার পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যের সমালোচনা করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘রায়টা হচ্ছে ৭৯৯ পৃষ্ঠার। প্রত্যেকটা পাতা অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। যে আমরা কী কী বাদ দিতে চাই। ঢালাওভাবে তো আর আমরা বাদ দিতে বলতে পারি না।’ এসব বিষয় ভেবেচিন্তে এবং রায়টি ভালভাবে পড়ে রিভিউ করা হবে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়েও কথা বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর যে ‘বর্বরোচিত কা-’ চলছে তার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বাংলাদেশ। আমরা মানবিক বিষয়টি আগে দেখি। তারপর আন্তর্জাতিক বিষয়টি দেখি। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান হত্যা, নির্যাতনকে তিনি মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়নের সঙ্গে তুলনা করে একে বলেন ‘একাত্তরের’ পুনরাবৃত্তি। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি মুসা খালিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
৪৩ সাব-রেজিস্ট্রার বদলি ॥ আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন নিবন্ধন পরিদফতর ৪২ সাব-রেজিস্ট্রারকে প্রথম পদায়ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৪৩ সাব-রেজিস্ট্রারকে বদলি করা হয়েছে। রবিবার মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রথম পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণের মধ্যে মোঃ শাখাওয়াত হোসেনকে কান্দিপাড়া, ময়মনসিংহ, বিদ্যুৎ কুমার ম-লকে গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, নাজমুল হককে নন্দীগ্রাম, বগুড়া, হাফিজুর রহমানকে সারিয়াকান্দি, বগুড়া, নিশাদুর রহমানকে কালিয়া, নড়াইল, পার্থ প্রতীম মুখার্জ্জীকে শরণখোলা, বাগেরহাট, মোঃ জুবায়ের হোসেনকে আগৈলঝাড়া, বরিশাল, ইয়াসমিন শিকদারকে রাজাপুর, ঝালকাঠি, মোঃ মইনুল হককে কাঠালিয়া, ঝালকাঠি, মোঃ আমির হোসেনকে হিজলা, বরিশাল, তমাল আহমেদকে মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী, মোঃ রহমত উল্লাহ লতিফকে হাতিবান্ধা, লালমনিরহাট, এম নফিয বিন যামানকে ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম, পরিতোষ কুমার অধিকারীকে তুষভা-ার, লালমনিরহাট, মোঃ এহসানুল হককে কাউনিয়া, রংপুর, মোঃ আরিফুর রহমানকে চিলমারী, কুড়িগ্রাম, মোঃ সাজ্জাদ হোসেনকে দৌলতপুর, খুলনা, রতন অধিকারীকে কেন্দুয়া, নেত্রকোনা, পারভেজ খানকে বদলগাছী, নওগাঁ, মাহমুদা ফাতেমাকে বেড়া, পাবনা, মোছাঃ মাহমুদা খাতুনকে নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মুবাশ্বের সিদ্দিকাকে নাজিরপুর, পিরোজপুর, পলাশ সাহাকে সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, জি এম মোরশেদুল ইসলামকে ফুলছড়ি, গাইবান্ধা, মোহা. মিজানুর রহমান কাজীকে সাঘাটা, গাইবান্ধা, শিরিনা আক্তারকে ডোমার নীলফামারী, জাহিদুর রহমানকে চিলাহাটি, নীলফামারী, মাহবুবের রহমান ওয়াজেদকে কমলনগর, লক্ষ্মীপুর, মেসবাহ উদ্দীন আহমেদকে কবিরহাট, নোয়াখালী, শওকত হোসেন মোঃ আফিকে জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ, শাহজালাল ছোয়াদকে বালাগঞ্জ, সিলেট, আজমেরী নির্ঝরকে পাটগ্রাম, লালমনিরহাট, আবদুল বাতেনকে দিরাই, সুনামগঞ্জ, নাফিসা নাওয়ারকে দেওয়ানগঞ্জ, জামালপুর, মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামকে ইসলামপুর, জামালপুর, জাকির হোসেনকে বকশিগঞ্জ, জামালপুর, মোহাম্মদ আবুল হাসানাত খাঁনকে হাতিয়া, নোয়াখালী, মোস্তফা মোঃ ইসমত পাশাকে পরশুরাম, ফেনী, মোঃ সোলাইমান আলীকে ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মোস্তাক হোসেনকে মংলা, বাগেরহাট, তন্ময় কুমার ম-লকে লক্ষ্মীপাশা, নড়াইল এবং মোঃ নাবীব আফতাবকে ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম।
এছাড়া, বদলির আদেশপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের মধ্যে আবদুল্লাহ আল ইমামকে ময়মনসিংহের কান্দিপাড়া থেকে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন; নাজমুল হাসানকে সিরাজগঞ্জের গান্দাইল থেকে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া; মোঃ শাহীন হাসানকে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থেকে খুলনা সদর; মোঃ তৌফিক সালাহ উদ্দীনকে পাবনার বেরা থেকে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি; শরীফ তোরাফ হোসেনকে সিরাজগঞ্জ সদর থেকে যশোর সদর; মোঃ শফিকুল ইসলামকে মেহেরপুর সদর থেকে ঝিানাইদহের মহেশপুর; মোঃ দেলোয়ার হোসেন খন্দকারকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থেকে যশোরের নওয়াপাড়া; মোঃ রফিউল আলমকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে মাদারীপুর সদর; আবদুল বাসার হাওলাদারকে যশোর সদর থেকে ঝালকাঠি সদর; কাওসার খানকে ঝালকাঠির কাঠালিয়া থেকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া; মোঃ শাহজাহান আলীকে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থেকে নীলফামারীর জলঢাকা; মোঃ আবদুস সালামকে খুলনার ডুমুরিয়া থেকে ঠাকুরগাঁও সদর; মোঃ মোহায়মেনুর রহমানকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থেকে খুলনা ডুমুরিয়া; আজমল হোসেনকে নোয়াখালীর করিহাট থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুর; মোঃ মনিরুজ্জামানকে নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে কুড়িগ্রাম সদর; গোলাম মোর্তজাকে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ থেকে দিনাজপুরের বিরল; এএসএম শফিকুল আলমকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থেকে নড়াইল সদর; মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে ফেনীর মতিগঞ্জ থেকে নোয়াখালীর বসুরহাট; মুহাম্মদ আনছার আহমদকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থেকে ফেনীর ছালগনাইয়া; অমিত মঙ্গল চাকমাকে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ; আবদুল কাদিরকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ; মোঃ গিয়াসউদ্দিনকে নোয়াখালীর চাটখিল থেকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও; এসএম মোস্তাফিজুর রহমানকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থেকে বাগেরহাটের কচুয়া; মোঃ সবুজ মিয়াকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল; দোস্ত মোহাম্মদকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল থেকে বগুড়ার কাহালু; আনসার উদ্দিনকে সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে মৌলভীবাজারের রাজনগর; নোয়াজ মিয়াকে জামালপুরের ইসলামপুর থেকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর; স্বপ্না বিশ্বাসকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থেকে টাঙ্গাইলের সখিপুর; মোঃ সিফাতুল্লাহকে জামালপুরের বকশীগঞ্জ থেকে ফরিদপুরের সদরপুর; এ কে এম মাহমুদুল হককে ফেনীর পরশুরাম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ; আবদুল্লাহ আল মামুনকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট থেকে নাটোরের গুরুদাসপুর; ফারহানা আজিজকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থেকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ; কামরুল হাসানকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থেকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ; অঞ্জু দাসকে বাগেরহাটের মোংলা থেকে কুষ্টিয়ার মিরপুর; মঞ্জুরুল ইসলামকে নড়াইলের লক্ষ্মীপাশা থেকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি; আহমেদ রকিব উল মান্নানকে চাঁদপুরের চিতোষী থেকে ফেনীর লেমুয়া; শেখ নাছিমুল আরিফকে সিলেটের বালাগঞ্জ থেকে সিলেটের ভরণ; রফিকুল ইসলামকে কুমিল্লা সদর থেকে গাইবান্ধা সদর; হুমায়ুন বিন সিরাজকে বরগুনা বেতাগী থেকে ভোলার বোরহানউদ্দিন; হাফিজুর রহমানকে নলছিটির ঝালকাঠি থেকে ভোলা সদর; সেলিম মল্লিককে ভোলা সদর থেকে চট্টগ্রামের আধুনগর; এসএম আদনান নোমানকে পিরোজপুরের নাজিরপুর থেকে ঝালকাঠির নলছিটি এবং আবুল কালাম আজাদকে রাজশাহীর বাঘা থেকে চাঁদপুরের চিতোষীতে বদলি করা হয়েছে।
