স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ শহরে পাহাড় কাটার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক বাদ দেয়া সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হোসেন, কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক এমএ হাসিব বাদল ও সদর উপজেলার ইসলামপুর এলাকার ফরিদ আহম্মদ কোম্পানিকে চার্জশীটভুক্ত করে কক্সবাজার ইমাম মুসলিম সেন্টারের পরিচালক আলোচিত হাফেজ ছালাহুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক শফিউল্লাহসহ ১৩ আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ আদালতের বিচারক কামরুন নাহার রুমী এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোঃ আসাদুজ্জামান কায়সার জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক আদালতে দায়েরকৃত প্রতিবেদনের (চার্জশীট) বিরুদ্ধে বাদীর পক্ষ থেকে নারাজি আবেদন উপস্থাপন করা হয়। আদালত বাদীপক্ষের এ আবেদন আমলে নিয়ে গত বুধবার এ আদেশ দেয় বলে রবিবার নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, কক্সবাজার শহরে পাহাড় কাটার অভিযোগে সম্প্রতি নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন (চার্জশীট) জমা দেয় পরিবেশ অধিদফতর। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর তদন্ত শেষে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। তবে পরিবেশ অধিদফতরের দেয়া ওই প্রতিবেদনে মামলার এজাহারে থাকা কক্সবাজার ট্যুর অপারেটার এ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক এমএ হাসিব বাদলকে বাদ দিয়ে শহরের চন্দ্রিমা গেট এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হোসেন ও জলিল আহম্মদের ছেলে ফরিদ আহম্মদ কোম্পানি পাহাড় কাটলেও বর্তমানে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ আদালতে প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম। আদালত সূত্রে জানা যায়, শহরে পাহাড় কেটে প্লট বিক্রি কিংবা স্থাপনা নির্মাণ করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার কারণে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় ১২ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করা হয়।
