ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘শূন্য’ আরও প্রাচীন

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

‘শূন্য’ আরও প্রাচীন

এতদিন যা ধারণা করা হচ্ছিল, তারও ৫শ’ বছর আগে থেকে ভারতবর্ষে সংখ্যা হিসেবে ‘শূন্য’ প্রতীকের ব্যবহার ছিল বলে প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বোদলেয়ান লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত প্রাচীন এক পান্ডুলিপির কর্বন ডেটিংয়ের পর তারা বলছেন, পাকিস্তানের বাকশালি গ্রামে পাওয়া ওই পান্ডুলিপি খ্রিস্টীয় তৃতীয় বা চতুর্থ শতকের বলে তারা ধারণা পেয়েছেন। পান্ডুলিপিটি অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে কোন এক সময় লেখা হয়েছিল বলে এতদিন ধারণা করা হতো। কিন্তু বার্চ গাছের বাকল দিয়ে ৭০ পাতার ওই পান্ডুলিপি তৈরিতে তিনটি আলাদা সময়ের উপাদান ব্যবহৃত হওয়ায় সঠিক বয়স নির্ধারণ করতে সমস্যা হচ্ছিল গবেষকদের। কার্বন ডেটিংয়ে পাওয়া তথ্যের অর্থ দাঁড়াচ্ছে, অক্সফোর্ডে থাকা ওই পান্ডুলিপির শূন্য ভারতের গোয়ালিয়র মন্দিরে পাওয়া শূন্যের চেয়েও পুরনো। বোদলেয়ান লাইব্রেরির রিচার্ড অভেনডেন বলছেন, এই নতুন তথ্য গণিতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের যে চক্রাকার প্রতীকটি মানুষ ‘শূন্য’ বোঝাতে ব্যবহার করছে, তার উদ্ভব হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় পান্ডুলিপিতে ব্যবহার করা ‘ডট’ বা ‘বিন্দ’ প্রতীক থেকে। মায়া ও ব্যাবিলন সভ্যতায় শূন্যের ব্যবহার থাকার প্রমাণ মিললেও আজকের গণিতে ব্যবহৃত শূন্য প্রতীকটি বাকশালি পান্ডুলিপির ওই বিন্দু থেকেই যে এসেছে, সে বিষয়ে গবেষকরা নিশ্চিত। তাছাড়া ভারতবর্ষেই প্রথম শূন্যকে স্বতন্ত্র একটি সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা করে গাণিতিক অধ্যয়ন শুরু হয় বলে জানান রিচার্ড অভেনডেন। আর অক্সফোর্ডের অধ্যাপক মার্কোস দু সতয় সংখ্যা হিসেবে ‘শূন্য’ প্রতীকের সূচনাকে গণিতের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় ব্রেকথ্রু’ হিসেবে বর্ণনা করেন। বর্তমান পাকিস্তানের বাকশালি গ্রামের এক কৃষক ১৮৮১ সালে ওই পান্ডুলিপির সন্ধান পান। পরে ভারততত্ত্ববিদ রুডলফ হোয়ের্নল পান্ডুলিপিটি সংগ্রহ করেন এবং ১৯০২ সালে তা বোদলেয়ান লাইব্রেরিকে দেন। -বিবিসি
×