ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

চীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিশুশিল্পীদের এ্যাক্রোবেটিক পরিবেশনা

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

চীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিশুশিল্পীদের এ্যাক্রোবেটিক পরিবেশনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ চীন। সেই সুবাদে উভয় দেশের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচী। তেমনই এক কর্মসূচীতে শিল্পকলা একাডেমি থেকে পাঠানো একঝাঁক শিশু শিল্পীকে এ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ দেয় চীন। সেই শিশুশিল্পীরা পরিবেশন করল তাদের উপস্থাপনা। চমকপ্রদ ভঙ্গিমার নানা শরীরী কসরতে দর্শকের মধ্যে মুগ্ধতা ছড়ালেন খুদে শিল্পীরা। রবিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০১৬-১৭ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের স্বাগত এবং ২০১৭-১৮ সালের জন্য নির্বাচিত প্রশিক্ষণার্থীদের বিদায় উপলক্ষে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপস্থাপিত হয় এ্যাক্রোবেটিক শিল্প নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির বিগত কয়েক বছরের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন। এরপর আলোচনা শেষে ছিল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিশু শিল্পীদের বৈচিত্র্যময় কিছু এ্যাক্রোবেটিক পরিবেশনা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি সচিব মোঃ ইব্রাহীম হোসেন খান ও ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মা মিং চিয়াং। সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আলোচনায় অংশ নেন নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক মোঃ বদরুল আনম ভূইয়া ও একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এবং চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় বেজিং ইন্টারন্যাশনাল আর্টস স্কুলে প্রথম দফায় কুড়ি শিশুশিল্পীকে এ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তাদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন দুজন দলীয় প্রধান। এর মধ্যে প্রথম দল হিসেবে দশ শিশু এ্যাক্রোবেটিক শিল্পী ও একজন দলপ্রধানসহ মোট ১১ জন ২০১৬ সালে চীনে সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করে গত জুলাইয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে একজন দলীয় প্রধানসহ দশ শিশু এ্যাক্রোবেটিক শিল্পীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী অক্টোবরে এগারো সদস্যের দলটি চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যোৎসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের আয়োজনে রবিবার থেকে শুরু হলো দু’দিনব্যাপী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যোৎসব। এদিন সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে উৎসবের সূচনা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উৎসব উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান আহমেদুল কবির। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যসংসদের সভাপতি মোঃ সানোয়ারুল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, সব মানুষের মধ্যে লুকায়িত প্রতিভা থাকে। সে প্রতিভার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এছাড়া সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে মানবিকতাবোধ জাগ্রত হয়। আর নতুন প্রজন্মের মাঝে মানবিকতাবোধ জাগ্রত করতে না পারলে অপশক্তি সুযোগ নিয়ে তাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বুনে দেয়ার চেষ্টা করবে। দুদিনের উৎসবের প্রথম দিনের সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগ পরিবেশিত নাটক ‘রুটস এ্যান্ড উইংস’। আজ সোমবার উৎসবের দ্বিতীয় দিনের সন্ধ্যায় একই মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে ওপেন স্পেস থিয়েটারের নাটক ‘টুয়েলভ এ্যাংরি মেন’।
×