ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেত্রকোনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নেত্রকোনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ১৬ সেপ্টেম্বর ॥ কিশোরী পান্না আক্তারের গণধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা গ্রহণে অবহেলা করায় নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি আমীর তৈমুর ইলী ও সেকেন্ড অফিসার এসআই আল আমিনের অপসারণ এবং ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ- মানববন্ধন হয়েছে। শনিবার বিকেল পাঁচটায় ‘সচেতন নাগরিক সমাজ, ঠাকুরাকোনা’র ব্যানারে জেলা শহরের মোক্তারপাড়া সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র আইনজীবী নজরুল ইসলাম খান, স্বাবলম্বীর প্রকল্প ব্যবস্থাপক কোহিনূর বেগম, অধ্যাপিকা পূরবী সম্মানিত, ঠাকুরাকোনা এলাকার শিক্ষক আবুল কাশেম ও ধর্ষিতা পান্নার মা আলপনা আক্তার। বক্তারা ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের অপসারণ ছাড়াও মনগড়া ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেয়ায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আরএমওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তীব্র নিন্দা জানান। ঠাকুরাকোনা এলাকাবাসীসহ জেলা শহরের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। জানা গেছে, সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা কৌশিক সরকার অপু, মামুন মিয়া ও সুলতান গত ঈদ-উল-আজহার পরদিন বিকেলে একই গ্রামের দরিদ্র রিক্সাচালক লালচানের কিশোরী কন্যা পান্না আক্তারকে ডেকে পার্শ¦বর্তী মাছের খামারের একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। ঘটনার পর ধর্ষিতার মা আলপনা আক্তার থানায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দিতে গেলেও পুলিশ প্রথমে তা নিতে চায়নি। তারা একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে দায় সারেন। পরে এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলনের মুখে তারা ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা গ্রহণ করেন।
×