ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিমসটেকে মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গঠনের কাজ চলছে

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বিমসটেকে মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গঠনের কাজ চলছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিমসটেকের সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে বিদ্যমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের অফুরন্ত সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারস্পরিক সহায়তা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শতকরা ২১ ভাগ বিমসটেক জোটভুক্ত দেশগুলোতে বাস করছে। জোটের সমষ্টিগত জিডিপির পরিমাণ ৭৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হলেও দেশগুলোর সম্মিলিত বাণিজ্যের পরিমাণ এখনও বিশ্ব বাণিজ্যের মাত্র ৭ শতাংশ। দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য বাড়িয়ে এ অঞ্চলের জনগণের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।’ ভারত সফররত শিল্পমন্ত্রী শুক্রবার কলকাতায় তিন দিনব্যাপী আয়োজিত বিমস্টেক প্রদর্শনী-২০১৭-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শনিবার শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) সভাপতি সসওয়াত গোয়েনকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেনÑ পশ্চিমবঙ্গের ভোক্তাবিষয়ক মন্ত্রী সাধন পান্ডে, ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব প্রশান্ত আগরওয়াল, মিয়ানমারের বিমসটেক প্রতিনিধি লাপাই ঝাউ গুন, ঝাড়খন্ডের শিল্প অধিদফতরের সচিব সুনীল কুমার বার্নওয়াল এবং আইসিসির সিনিয়র সহ-সভাপতি রুদ্র চ্যাটার্জী। শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গঠনের কাজ চলছে। এর জন্য জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করা জরুরী। পাশাপাশি দেশগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরে এগিয়ে আসতে হবে।’ সম্মিলিতভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দেশগুলোর মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়ানোরও তাগিদ দেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিমসটেক সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সহায়তা জোরদারের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, সংস্কৃতি ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ, ব্লু ইকোনমির সুবিধা কাজে লাগানোসহ অন্যান্য খাতে পারস্পরিক সহায়তার সুযোগ রয়েছে।
×