ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সুনামগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পৃথক সংঘর্ষে নিহত ২, গুলিবিদ্ধসহ আহত অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সুনামগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পৃথক সংঘর্ষে নিহত ২, গুলিবিদ্ধসহ আহত অর্ধশতাধিক

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ, ১৬ সেপ্টেম্বর ॥ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার ও জগন্নাথপুর উপজেলায় পৃথক সংঘর্ষে দুজন নিহত এবং কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শনিবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে দোয়ারাবাজারের চৌমুনা পয়েন্টে এবং জগন্নাথপুরের শ্রীধরপাশা গ্রামে একই সময়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। পৃথক ঘটনায় উভয় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত সেরুজ্জামান দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি গোরেশপুর গ্রামের মৃত উমর আলীর ছেলে। অপর নিহত এবাদুল্লাহ বেরীগাঁও গ্রামের মৃত ফয়জুর রহমানের ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার গোরেশপুর ও বেরীগাঁও গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল কয়েকদিন ধরেই চৌমুনা পয়েন্টের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে। গত রমজানে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গোরেশপুর গ্রামের ছয়ফুল ইসলাম নামের একজনের দাঁত ভেঙ্গে দেয় বেরীগাঁও গ্রামের একদল যুবক। প্রতিশোধ নিতে বেরীগাঁও গ্রামের কাওসার নামের এক যুবককে কুপিয়ে আহত করে গোরেশপুরের লোকজন। এসব ঘটনার জের ধরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে চৌমুনা পয়েন্টে বিএনপি নেতা সেরুজ্জামানকে রামদা দিয়ে কোপায় বেরীগাঁও গ্রামের একদল যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর খবর গ্রামের আসার পর সেরুজ্জামানের উত্তেজিত সমর্থকরা বেরীগাঁওয়ের লোকজনদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে এবাদুল্লাহ ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন আরও কমপক্ষে ১০ জন। দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উত্তেজনা থামাতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে প্রশাসন। এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীধরপাশা গ্রামে মসজিদের জায়গার নিলাম ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে ২৫ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। পরে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জগন্নাথপুরে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে।
×