ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুখরোচক খাবারের স্বর্গরাজ্য পুরান ঢাকা

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মুখরোচক খাবারের স্বর্গরাজ্য পুরান ঢাকা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কাবাব, বিরিয়ানি কিংবা লাচ্ছি ফালুদা। মুখরোচক আর ঐতিহ্যবাহী এসব খাবারের স্বর্গরাজ্য যেন পুরনো ঢাকা। তাই সারাদিনই ক্রেতার ভিড়ে জমজমাট থাকে এলাকার বিভিন্ন অলিগলি। ক্রেতাদের মতে, বিখ্যাত এসব খাবারের স্বাদ না নিলে যেন অর্থহীন হয়ে যায় ঢাকায় থাকা। আর বিক্রেতারা বলছেন, দীর্ঘদিনের এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে দরকার সব মহলের সহযোগিতা। উত্তপ্ত কড়াইয়ে ধীরে ধীরে লোভনীয় রং পাচ্ছে বিসমিল্লাহর কাবাব। সেই সঙ্গে সুস্বাদু ঘ্রাণটাও যেন মাতোয়ারা করে তুলছে ভোজনপিয়াসীকে। পুরনো ঢাকার বিখ্যাত এই খাবারের টানে অসংখ্য মানুষের আনাগোনা দীর্ঘদিনের। হোক, ছোট কিংবা বড়। তাই তো বিকেল হলেই নাজিরাবাজারের ছোট্ট গলিটা হয়ে ওঠে এক অন্যরকম আকর্ষণের জায়গা। সেই সঙ্গে জমজমাট বিক্রিতে প্রশান্তির হাসি ফোটে বর্তমান মালিক হাবিবুর রহমানের মুখে। কেবল কাবাব নয়, পুরনো ঢাকা মানেই যেন, শত বছরের ঐতিহ্যকে বহন করে চলা বাহারি খাবারের স্বর্গরাজ্য। যেমন বিরিয়ানির কথাই ধরা যাক। প্রায় শত বছরের হাজী বাবুর্চি কিংবা আরও আগের নান্না মিয়ার মোরগ পোলাও অথবা হাল আমলের মামুনের কাচ্চি- সবারই রয়েছে অনন্য পরিচয়। তাই সময়ে কিংবা অসময়ে পা ফেলার জায়গা থাকে না প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এছাড়া, আফতাবের খিচুড়িও ভোজনপ্রিয়দের এনে দেয় আরেক নতুন মাত্রা। খিচুড়ি কিংবা বিরিয়ানি ছাড়াও বিউটি লাচ্ছির রয়েছে বহু পুরনো ঐতিহ্য। খাঁটি দইয়ের তৈরি সুস্বাদু এই পানীয়ের স্বাদ যেন ভুলে যাওয়া কঠিন। এছাড়া, চোখ জুড়ানো ফালুদা কিংবা লেবুর শরবতও সমানতালে টানে ক্রেতাকে। তবে বর্তমানে এসব ঐতিহ্যে যেন কিছুটা ভাটা পড়েছে পশ্চিমা ধাঁচে গড়ে ওঠা আধুনিক রেস্টুরেন্টের অনুপ্রবেশে। মাগুরায় ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে সঞ্জয় রায় চৌধুরী, মাগুরা ॥ মাগুরায় ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী দুই মাসের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে। ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চালু হলে মাগুরার চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। জানা গেছে, মাগুরায় ১০০ বেডের হাসপাতালের সঙ্গেই ২৫০ শয্যা বেডের হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন ১৫০ শয্যা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্মাণকাজ করছে। ৬তলা হাসপাতাল ভবন, ৫টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার ওটি, মুমূর্ষু রোগীদের জন্য আইসিইউ নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণকাজ শেষের পথে। হাসপাতালে ওঠানামার জন্য থাকছে সিঁড়ির পাশাপশি দুটি অত্যাধুনিক লিফট। আগামী দুই মাসের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে। পূর্বের ১০০ শয্যার পাশাপাশি নতুন ১৫০ শয্যা মোট ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চালু করা হলে মাগুরার চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। সাধারণ মানুষ উন্নত চিকিৎসা পাবেন। মাগুরা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু জানান, ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ শেষের পথে। ৬তলা হাসপাতাল ভবন, ৫টি অত্যাধুনিক ওটি, আইসিইউ নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এটি হস্তান্তর করা হবে।
×