ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মির্জাপুরে বন্যার পানিতে ভাসছে পৌর বর্জ্য

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মির্জাপুরে বন্যার পানিতে ভাসছে পৌর বর্জ্য

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ১৪ সেপ্টেম্বর ॥ মির্জাপুরে বন্যার পানিতে ভাসছে পৌর বর্জ্য। যত্রতত্র নিক্ষিপ্ত এই ভাসমান বর্জ্য পচে দূষণ করছে এলাকার পরিবেশ। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও পৌরবাসী এর কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০০০ সালের জুন মাসে মির্জাপুর পৌরসভা গঠিত হয়। পৌরসভাটিতে মোট জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। নয়টি ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছাড়াও পৌরসভাটির মধ্যে রয়েছে উপজেলা পরিষদ, মির্জাপুর বাজার, কুমুদিনী হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমস এবং বিপুল সংখ্যক সরকারী-বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস। মির্জাপুর পৌরসভাটি ১৬ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখানে বর্জ্য ফেলার নেই কোন নির্দিষ্ট স্থান। ফলে পরিছন্নকর্মীরা যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলে এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষণ করছে। অনেক আবাসিক এলাকার মধ্যেই এই বর্জ্য নিক্ষিপ্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিনিয়ত বর্জ্য ফেলায় অনেক স্থানে আবর্জনার বিশাল স্তূপ সৃষ্টি হয়েছে। এক নম্বর ওয়ার্ডের ডাকবাংলোর পেছনের ঢালুতে, তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচাবাজারের পেছনে এস কে মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পাশে দেখা গেছে পৌর বর্জ্যরে স্তূপ। এদিকে এ বছর বন্যার পানি মির্জাপুর পৌরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডে প্রবেশ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে। যত্রতত্র ফেলা পৌর বর্জ্যগুলো বন্যার জলাবদ্ধ পানিতে ভেসে উঠেছে এবং তা পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষণ করছে। পৌরবাসী অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পোস্টকামুরী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সজিব মিয়া বলেন, পচা বর্জ্যরে দুর্গন্ধে আমরা পথ চলতে পারি না। কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদেরও নাক-মুখ চেপে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এস এম রাশেদ বলেন, ফান্ডের অভাবে বর্জ্য ফেলার জায়গা কিনতে পারছে না পৌরসভা। ফলে পরিছন্নকর্মীরা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছে। এতে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে বলে তিনি জানান। মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সাহাদত হোসেন সুমন বলেন, পৌর বর্জ্য ফেলার পৌরসভার নিজস্ব কোন জায়গা নেই। আমরা জায়গা খুঁজছি, কিন্তু উপযুক্ত জায়গা পাচ্ছি না। জায়গার ব্যবস্থা হলেই এ সমস্যা দূর হবে বলে তিনি জানান।
×