ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইন্দোনেশিয়া থেকে এলএনজি আমদানির এমওইউ সই

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ইন্দোনেশিয়া থেকে এলএনজি আমদানির এমওইউ সই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুই দেশের সরকারী পর্যায়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে তরলকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে সরকার। এজন্য শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। সরকার মনে করছে ইন্দোনেশিয়া প্রাথমিক জ্বালানির অন্যতম বড় উৎস হতে পারে। দেশটিতে বিপুল পরিমাণ কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে দেশের একটি যৌথ মূলধনী কোম্পানির কয়লা আমদানি বিষয়ে এমওইউ সই হয়েছে। কয়লার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশে এলএনজি বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার এমওইউটি সই করা হলো। জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়া এমওইউ এর ভিত্তিতে বাংলাদেশে এলএনজি অবকাঠামো নির্মাণ এবং এলএনজি সরবরাহ করবে। এজন্য ইন্দোনেশিয়ার পারটামিনা এবং পেট্রোবাংলা একটি কমিটি গঠন করে কর্মপরিধি নির্ধারণ করবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুত বিভাগ জি টু জি ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও জ্বালানি বিভাগে এমন নজির নেই বললেই চলে। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে দুই দেশ মিলে ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়। ওয়ার্কিং গ্রুপের আলোচনার ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এরপর দুই দেশ সমান অংশিদারিত্বে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তবে জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে কি না তা এখনও নির্ধারণ হয়নি। এমওইউতে ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে দেশটির জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী ইগানাসিয়াস জুনান এবং বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সই করেন। এ সময় ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আজমল কবির, পারটামিনার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসা মানিক, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ এবং জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্যহারে উন্নয়ন কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়াতে বিদ্যুত জ্বালানির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুত উৎপাদনে ২০২০ সালের মধ্যে ১ হাজার ৭৪১ মিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রয়োজন হবে। ধারাবাহিকভাবে এই চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৫ সালে প্রতিদিন প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৭০৫ মিলিয়ন ঘনফুট এবং ২০২৮ এ গিয়ে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯০৮ মিলিয়ন ঘনফুট। এজন্য দেশে অনুসন্ধান উত্তোলন জোরদারের পাশাপাশি এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী এ সময় ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের দেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। আমরা বিদেশীদের বিনিয়োগের সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা করছি বলে জানান তিনি। এ সময় ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, এখন জ্বালানি খাতের সহায়তা সৃষ্টি হলো। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে তার দেশের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
×