ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভাল করার আশা কৃষ্ণাদের

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভাল করার আশা কৃষ্ণাদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হাতছানি ছিল আগামী বছর অনুর্ধ-১৭ মহিলা বিশ্বকাপে খেলার। সে লক্ষ্য নিয়েই এএফসি অনুর্ধ-১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে থাইল্যান্ডে গিয়েছে বাংলাদেশের কিশোরী ফুটবলাররা। কিন্তু ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দু’টি ম্যাচেই হেরে সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হলেও শেষটা রাঙিয়ে আসতে চায় কৃষ্ণা রানীর দল। এমনিতেই ডেথ গ্রুপে থাকায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপে খেলার আশা কঠিন ছিল। বাস্তবেও সেটা হয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ৯-০ গোলে হারটা প্রত্যাশিত ছিল না। অবশ্য পরের ম্যাচেই আরেক পরাশক্তি জাপানের বিরুদ্ধে নিজেদের ফিরে পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এই ম্যাচে কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের দল হেরেছে ৩-০ গোলে। হারলেও তাই নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারায় খুশি মাহমুদা, সানজিদারা। রবিবার নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৬ মহিলা দল। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটি হবে থাইল্যান্ডের চনবুরির ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্যাল এডুকেশন ক্যাম্পাস স্টেডিয়ামে। অস্ট্রেলিয়া তাদের দু’টি ম্যাচে হেরে বিদায় নিয়েছে। দু’দলই ১২টি করে গোল হজম করেছে। বাংলাদেশ জাপানের কাছে ৩ গোল খেলেও অস্ট্রেলিয়া খেয়েছে ৫টি। তেমনি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ হজম করেছে ৯ গোল, আর অস্ট্রেলিয়া ৭ গোল। এই হিসেবে দু’দলের অবস্থান সমান্তরাল মনে হতে পারে। কিন্তু ফিফার মেয়েদের জাতীয় দলের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ১০০ ধাপ এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া (ষষ্ঠ)। বয়সভিত্তিক পর্যায়েও এগিয়ে তারা। তবে দুই দলই টুর্নামেন্টে যেহেতু একই কাতারে আছে সেহেতু আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশের। বাংলার কিশোরীরা এখন শেষ ম্যাচটি ড্র বা জয় নিয়ে ফিরতে চায়। বাংলাদেশ কোচ ছোটন এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের মেয়েরা উত্তর কোরিয়ার ম্যাচের চেয়ে জাপানের বিরুদ্ধে ভাল খেলেছে। অস্ট্রেলিয়া শক্তিশালী দল। কিন্তু আমাদের মেয়েরা শেষ ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে দারুণ পারফর্মেন্স প্রদর্শন করেছে। অস্ট্রেলিয়া-জাপান ম্যাচ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আমাদের মেয়েরা প্রস্তুত শেষ ম্যাচে নিজদের সেরাটা দিতে এবং দেশকে ভাল ফলাফল উপহার দিতে। বাংলাদেশ কোচ বলেন, দলে কোন ইনজুরি সমস্যা নেই। সবাই শারীরিক ও মানসিকভাবে ভাল অবস্থায় আছে। সবাই প্রস্তত পরের ম্যাচ খেলতে। সুযোগ পেয়েই গোলরক্ষক মাহমুদা দারুণ পারফর্মেন্স প্রদর্শন করেছেন। তার দক্ষতার কারণেই জাপানের বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচ/ছয়টি গোল কম হজম করেছে বাংলাদেশ। এ কারণে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে তাদের। মাহমুদা বলেন, জাপানের বিরুদ্ধে আমরা ভাল খেলেছি। কোচ আমাকে সুযোগ দিয়েছেন, আমি চেষ্টা করেছি আমার সেরাটা দেয়ার। পরের ম্যাচে আমি আরও ভাল করতে চায়। দেশকে উপহার দিতে চায় ভাল ফলাফল। আমাদের দল দিনের পর দিন উন্নতি করেছে। আশা করছি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভাল একটা ফলাফল আসবে। মাহমুদা আরও বলেন, কোরিয়ার কাছে নয় গোলে হারায় আমাদের খারাপ লেগেছে। যদি ওই ম্যাচ নিয়ে আমরা চিন্তা করতাম তাহলে জাপানের বিরুদ্ধে ভাল করতে পারতাম না। আমরা যে নয়টা গোল খেয়েছি ওটা ভুলে নতুন ম্যাচ নতুন করে খেলার চেষ্টা করেছি। এ কারণে আমরা জাপানের বিরুদ্ধে ভাল করে খেলতে পেরেছি। জাপানের বিরুদ্ধে যে খেলাটা খেলেছি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আরও ভাল করতে চাই। বাংলাদেশ দলের ডিফেন্ডার শামসুন্নাহার বলেন, অস্ট্রেলিয়াও ১২ গোল খেয়েছে, আমরাও ১২ গোল খেয়েছি। মানে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমরা সমানে সমান আছি। জাপানের সঙ্গে ওরা পাঁচটা খেয়েছে আমরা তিনটা খেয়েছি। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমরা নয়টা খেয়েছি, ওরা সাতটা খেয়েছে। আগের ম্যাচে নয় গোল খাওয়ার পর সবাই বলেছে এটা বাংলাদেশের আসল খেলা না। জাপান ম্যাচেই আমাদের আসল খেলা খেলেছি। প্রথম ম্যাচ খারাপ করার পর সবার মন খারাপ ছিল। জাপান ম্যাচে ভাল খেলে সবার মন ভাল করেছি। আশা করছি সামনের ম্যাচে আরও ভাল করব আমরা।
×