ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন সংসদে কণ্ঠভোটে পাস

প্রকাশিত: ০৮:১০, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন সংসদে কণ্ঠভোটে পাস

সংসদ রিপোর্টার ॥ জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ তিনগুণ বৃদ্ধি করে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন ২০১৭ কণ্ঠভোটে পাস করেছে সংসদ। ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে অধিগ্রহণের সময়কার ১২ মাসের জমি কেনাবেচার দলিলের গড় বিবেচনায় নিয়ে জমির দাম নির্ধারণ করার বিধান আইনে যুক্ত করা হয় ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বিলটি পাস হয়। বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। এর আগে বিলের ওপর আনীত সংশোধনী ও বছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলে বেসরকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষ জমি অধিগ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, সরকারী প্রয়োজনে ভূমি অধিগ্রহণ করলে বাজার দরের ওপর অতিরিক্ত ২০০ ভাগ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বেসরকারী কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করলে বাজার দরের ওপর অতিরিক্ত ৩০০ ভাগ দাম দিতে হবে। বিলে বলা হয়েছে, অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ বিঘা বা ১৬ দশমিক ৫০ একরের বেশি হলে জেলা প্রশাসককে তার প্রতিবেদন ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। কম হলে ভূমি কমিশনে পাঠাতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্থান নির্বাচনের পর, জেলা প্রশাসক উক্ত সম্পত্তি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে মর্মে নোটিস জারি করবেন। নোটিস জারির ১৫ দিনের মধ্যে আপত্তি দাখিল করতে হবে। ১৫ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সে আপত্তি নিষ্পত্তি করার প্রতিবেদন তৈরির জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
×