ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

উবাচ

খালেদা নিখোঁজ! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বন্যা গেল, দেশে রোহিঙ্গা এলো তাও খালেদা জিয়া আসলেন না। ১৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার কথা ছিল। যদিও এখন শোনা যাচ্ছে ফেরার দিন নিজে থেকেই পিছিয়ে দিচ্ছেন। বন্যা আর রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি সভা সেমিনারে বেশ সোচ্চার। দুই ইস্যুতে বেগম জিয়াও সোচ্চার টুইটারে আর বিবৃতিতে। নিজে যেমন দাঁড়াননি বন্যাদুর্গতদের পাশে তেমনি শরণার্থীদের পাশে। তারপরও রোহিঙ্গাদের দেখতে যাওয়ার সমালোচনা করছেন তার দলের মহাসচিব। এর উত্তরে অবশ্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর বোধদয় হয়েছে, তিনি কক্সবাজারে গিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, এত বড় দুর্যোগ, এত বড় একটা ঘটনা, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে চার লাখ লোক এসে হাজির হয়েছে, মানবেতর জীবনযাপন করছেন, সরকার সর্বাত্মক সাহায্য করছে, খালেদা জিয়া উধাও। তারপরেও খবর নাই। রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করে গেলেও খালেদা জিয়া কেন আসেননি জাতির কাছে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন বলেও মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। চিকিৎসার জন্য গত মাসে লন্ডন গেছেন খালেদা জিয়া। সেখানে ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনিদের সঙ্গে ঈদ করেন তিনি। বিএনপি খুশি স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধান বিচারপতি ইস্যুর মধ্যেই ইস্যুভিত্তিক রাজনীতিতে এলো বন্যা এর পরই রোহিঙ্গা। রাজনীতির সব আলোচনায় ঘুরছে এই তিন ইস্যু। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি বা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এই তিন ইস্যুর কাছে ম্লান হয়ে গেছে। রাজনীতিবিদরা এই তিনের বাইরে যেন আর কিছু ভাবতেই পারছেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন রোহিঙ্গা ‘ইস্যু’ পেয়ে বিএনপি খুব খুশি। রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার যে সমালোচনা বিএনপি করে আসছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাদের বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে, সারা দেশের মানুষ এই রোহিঙ্গা সঙ্কটে উদ্বিগ্ন, একটা দল বিএনপি খুশি, কারণ তারা নতুন একটা ইস্যু পেয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিশাল স্রোত যেভাবে দেশে ঢুকছে- তা নিয়ে সবার ‘চিন্তা করা উচিত’ মন্তব্য করে কাদের বলেন, আমাদের দেশ এ বিশাল স্রোতের ভার কীভাবে বহন করবে, সেটা নিয়ে সবার চিন্তাভাবনা করা উচিত। সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত। লোক দেখানো স্টাফ রিপোর্টার ॥ রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত হয়েছে বিএনপি। শুরুতে দু’দিন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না দেয়ায় দলটি সরকারের সমালোচনামুখোর হয়ে উঠেছিল। এরপর যখন দেখা গেল সত্যিই রাখাইনের অবস্থা অমানবিক তখন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় খাবার আর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলো। রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকার এই অমানবিকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিল। রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য ক্যাম্প করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্বজনমত গঠন শুরু করেছে তখন বলছে এই কাজ লোক দেখানো। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্র্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রোহিঙ্গাদের দেখতে যাওয়া ও ত্রাণ বিতরণ ছিল লোক দেখানো। অবশ্য আগের সব কাজ বাদ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব এখন বলছেন, মিয়ানমার থেকে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীনরা যদি আন্তরিক হতো তাহলে বিএনপির পক্ষ থেকে যাওয়া উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের ত্রাণ বিতরণে বাধা দিত না।
×