ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাবিহা বিনতে সুফিয়ান

ফ্যাশনে শারদীয় ছোঁয়া

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ফ্যাশনে শারদীয় ছোঁয়া

বর্ষা থিতিয়ে এসেছে। চারপাশের উজ্জ্বল সবুজের মাঝে মাথা তুলেছে কাশের দল। রোদ আর ছায়ার লুকোচুরির মধ্যেই তরতরিয়ে বাড়ছে তারা। আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা শুরু হয়েছে। হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি সত্ত্বেও প্রকৃতি প্রস্তুত শারদ উৎসবকে স্বাগত জানাতে। আর ক’দিন পরেই বাঙালী মেতে উঠবে উদযাপনে। প্রকৃতির মতো উচ্ছল এখন সবাই উৎসবের রঙে রং মেলাতে। এ সময়ে পোশাকের মোটিফেও আসে বিশেষত্ব। সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি কিংবা সার্বজনীন শাড়িতে আসে শারদের ছোঁয়া। লিখেছেন- শুরু হয়ে গিয়েছে পূজার আমেজ। প্রতিবারের মতো এবারও সব ফ্যাশন হাউসগুলোতে পূজার সংগ্রহ এসেছে। কেবল তরুণ-তরুণীদের পোশাকই নয়, বড়দের পাশাপাশি বাজারে পোশাককেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে হাউসগুলো। এদের মধ্যে ফ্যাশন হাউস ‘রঙ বাংলাদেশ’ সবসময়েই বিভিন্ন থিমেই সংগ্রহ সাজিয়ে থাকে। এবার সেই ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে। শারদীয় আয়োজনকে আরও সুন্দর করতে তারা থিম হিসাবে বেছে নিয়েছে পদ্ম, শিউলি, নানা ধরনের ক্যালিওগ্রাফি, দুর্গার অলঙ্কার ও গণেশের অবয়ব। শতভাগ কটন কাপড়ের এসব শাড়ি কামিজ কিংবা পাঞ্জাবি পরতেও যেমন আরামদায়ক তেমনি ফ্যাশনেও ষোলোআনা। আজকাল পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে যেন একটু বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে ফ্যাশন সচেতনরা। ফ্যাশন হাউসগুলো ক্রেতাদের রুচি-পছন্দ মাথায় রেখে লাল, সাদা, অফহোয়াইট, মেরুন আর গেরুয়াকে উপজীব্য করে সাজিয়েছে তাদের সংগ্রহ। আর কিছু বিশেষ ডিজাইনকে মনোগ্রাহী করতে আরও ব্যবহার করা হয়েছে কমলা, ফিরোজা, ক্রিম, টিয়া, নীল, এ্যাশ, সোনালি হলুদ ও মেজেন্টা। শারদ সংগ্রহে ফ্যাশন হাউসগুলোতে থাকছে শাড়ি, থ্রি-পিস, লং স্কার্ট-টপস, সিঙ্গেল কামিজ, শর্ট ও লং পাঞ্জাবি, উত্তরীয়, ধুতি, শার্ট, টি-শার্ট ও ফতুয়া। আর শিশু কিশোরদের পোশাকের থিম পদ্ম, শিউলি, ক্যালিওগ্রাফি আর দুর্গার শোলার অলঙ্কার। মূল রং অফহোয়াইট, হলুদ আর বাসন্তীর সঙ্গে আরও ব্যবহার করা হয়েছে লাল, মেজেন্টা, সবুজ ও নীল। এই সময়ের আবহাওয়া উষ্ণ আর আর্দ্র। এই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই শারদসংগ্রহের সিংহাভাগ পোশাক সুতি কাপড়ে তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি এই কালেকশনকে উৎসবময় করতে আরও ব্যবহার করা হয়েছে বলাকা সিল্ক, হাফ-সিল্ক, জয়সিল্ক, এন্ডি কটন এবং এন্ডি সিল্ক। এবারের এই উৎসব সংগ্রহে নকশা ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন ধরনের ভ্যালু এ্যাডেড মিডিয়ার ব্যবহার করা হয়েছে। নানা ধরনের প্রিন্টের ব্যবহার এই কালেকশনের মূল বৈশিষ্ট্য। নকশার চাহিদা অনুযায়ী কারচুপি, মেশিন ও হ্যান্ড এ্যাম্বয়ডারির পাশাপাশি তাই ব্যবহার করা হয়েছে ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্ট। সুতির শাড়ি কিনতে খরচ পরবে ৮৫০-৪,০০০ টাকা, হাফ সিল্ক-২,২৫০-৮,৫০০টাকা, মসলিন- ১০,৫০০-২০,০০০ টাকা। সালোয়ার-কামিজ কিনতে পারবেন ২,০০০-৪৫০০ টাকা, সিঙ্গল কামিজ ৮৫০-৩,০০০ টাকা, স্কার্ট-টপস ১,২০০-২,৫০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৮৫০-৪,০০০ টাকা, টি-শার্ট ৩৫০-৫০০ টাকা, পলো শার্ট- ৬৫০-১,২০০ টাকা, শাটর্- ৬৫০-১,৮০০ টাকা, ফতুয়া ৭৫০-১,২৫০ টাকা, উত্তরীয় ৩৫০-৫০০ টাকা, ধুতি ৬৫০-১,০৫০ টাকা, ব্লাউজ পিস ৩০০-৫০০ টাকা, আনস্টিচড ১,৫০০-৪,০০০ টাকা, অলঙ্কার সামগ্রী ৫০-২,০০০ টাকায় পাওয়া যাবে। শিশু কিশোরদের পোশাক : পাঞ্জাবি ৬০০-৮৫০ টাকা, ফ্রক ৬০০-১,০৫০ টাকা, শার্ট ৫০০-৭০০ টাকা, সিঙ্গল কামিজ ৬০০-১,০৫০ টাকা, শাড়ি ৯৫০-১,১৫০ টাকায় পাওয়া যাবে। দেশীয় হাউসগুলো যেমন রঙ বাংলাদেশ, আড়ং, অনঞ্জনস, বিবিয়ানা, দেশাল, নিপুণ, কে ক্র্যাফট, বাংলার মেলা, সাদাকালো, নগরদোলা, মেঘ, নিখুঁত বাংলাদেশ, নবরূপাসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস। এছাড়া রাজধানী শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেটসহ বসুন্ধারা শপিং কমপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্কে পাওয়া যাবে পূজার বিশেষ পোশাক। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়েস্টার্ন ফ্যাশন হাউসেও পাওয়া যাবে পূজার সংগ্রহ। ছবি : রঙ বাংলাদেশ
×