ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রতিটি নাগরিকের জন্য ইলেকট্রনিক হেলথ কার্ড তৈরি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:০২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

প্রতিটি নাগরিকের জন্য ইলেকট্রনিক হেলথ কার্ড তৈরি হচ্ছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিশ্বে যেসব দেশে কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয়ার শিশুর হার বেশি, বাংলাদেশ তার অন্যতম। তা প্রতিরোধে বর্তমান সরকার ২০১৩ সালের জুলাইয়ে ঘোষিত এ প্রমিজন রিনিউ-এ শিশু বেঁচে থাকার অধিকার সংরক্ষণে ১৩টি মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য এবং নবজাতক কৌশল গ্রহণ করেছে। ক্যাঙারু মাদার কেয়ারে (কেএমসি) ১৩টি কৌশলগুলোর একটি। ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য উপাত্তভিত্তিক একটি ইলেকট্রনিক তথ্য ভা-ার গড়ে তোলার জন্য গ্রাম পর্যায়ে বসবাসকারী সকল নাগরিকের তথ্য সম্বলিত ডাটাবেজ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন এই ডাটাবেজভিত্তিক লাইফ টাইম শেয়ার পোর্টেবল সিটিজেনস ইলেকট্টনিক হেলথ কার্ড তৈরির কাজ চলছে। তিনি জানান, সিভিল রেজিস্ট্রেশন এ্যান্ড ভাইটাল স্টাটিকস নামে একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আওতায় বর্তমানে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ইলেকশন কমিশন ভোটার ডাটাবেজ, স্বাস্থ্য ডাটাবেজ এবং নির্মিয়মাণ দারিদ্র্য ডাটাবেজসমূহ সম্বলিত করে আঙ্গুলের ছাপ ও রেটিনার ছবিযুক্ত ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক পপুলেশন রেজিস্ট্রার তৈরির কাজ চলছে। সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে এমবিবিএস ডাক্তারের অনুমোদিত পদ সংখ্যা ২৪ হাজার ৪৫৭টি এবং বর্তমানে কর্মরত ডাক্তারের সংখ্যা ২০ হাজার ২২৭টি। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কোন লোক মারা যাননি। চলতি বছরের ৪ মাসে আইইডিসিআর-এ প্রাপ্ত রক্তের নমুনা পরীক্ষায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা সর্বমোট ৯৮০ জন। দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হতে প্রাপ্ত সম্ভাব্য চিকুনগুনিয়া রোগীর সংখ্যা ঢাকাতে ১৩ হাজার ৩৯৪ জন। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ব্যতিত সারা দেশে ১৮৫ জন, সর্বমোট ১৩ হাজার ৫৭৯ জন। সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম জানান, দেশে মোট ৩২টি সরকারী, ৬৩টি বেসরকারী এবং আর্ম ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ মিলিয়ে মোট ১০০টি মেডিক্যাল কলেজ চলমান। এসব মেডিক্যাল কলেজে ৭ হাজার ২০১টি এবং বাংলাদেশ আর্মি নিয়ন্ত্রিত ৬টি মেডিক্যালে ৩৫০টি এমবিবিএস আসন আছে। অর্থাৎ মোট এমবিবিএস আসন সংখ্যা ১০ হাজার ৮৪৭টি। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগের সংখ্যা বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রতিটি সরকারী হাসপাতালেই ডায়াবেটিস রোগীদের স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারীভাবে জাতীয় কিডনি ডিজিজেস এ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসসহ উন্নত চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া দেশে সকল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা চালু আছে। পর্যায়ক্রমে জেলা সদর হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা চালু করা হবে।
×