ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিরপুরের আউটফিল্ড নিয়ে অসন্তুষ্ট আইসিসি

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিরপুরের আউটফিল্ড নিয়ে অসন্তুষ্ট আইসিসি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। অসন্তুষ্টির কথা, স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডের বেহাল দশার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানিয়েছে আইসিসি। নতুন করে সংস্কার করার পর বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ম্যাচটিতে জিতেও বাংলাদেশ। কিন্তু আউটফিল্ড দেখে আইসিসি ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রু সন্তুষ্ট হতে পারেননি। স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডকে ‘বাজে’ বলে উল্লেখ করেছেন। ম্যাচ রেফারির রেটে আউটফিল্ডের বেহাল দশাই চোখে পড়েছে। আইসিসি অনুচ্ছেদ তিন অনুযায়ী আইসিসি পিচ এ্যান্ড আউটফিল্ড মনিটরিংয়ের ভিত্তিকে বিসিবিকে একটি রিপোর্টও দেয়া হয়েছে। যে রিপোর্টের সন্তুষ্টিজনক জবাব ১৪ দিনের মধ্যে বিসিবিকে জানাতে হবে। আইসিসি জেনারেল ম্যানেজার (ক্রিকেট) জিওফ এ্যালার্ডিস ও এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালের কাছে জবাব দিতে হবে। নোটিসের জবাব পর্যালোচনা করে দেখবেন তারা। তাদের পর্যবেক্ষণের পরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ক্রিকেটের পিচ বা আউটফিল্ডের ‘বাজে’ রেটিং হচ্ছে নিচের দিক থেকে ২য়। আর সবচেয়ে ওপরের রেটিং হচ্ছে ‘খুব ভাল’। কোন পিচ বা আউটফিল্ডকে বাজে আখ্যায়িত করার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ম্যাচের যে কোন সময় পিচে সিম বল যদি অতিরিক্ত ঘুরতে থাকে। ম্যাচের যে কোন সময় পিচে বল যদি অতিরিক্ত লাফাতে থাকে। ম্যাচের শুরুর দিকে পিচ থেকে স্পিন বোলাররা সহায়তা পেলে। ওপরের বৈশিষ্ট্যগুলো থাকলে ওই পিচকে বাজে পিচ বলে আইসিসি। সঙ্গে আউটফিল্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘাস আছে কিনা, ফিল্ডাররা সন্তুষ্ট কিনা, এসবও দেখা হয়। আইসিসি সন্তুষ্ট হতে পারেনি। যদি বিসিবি সন্তুষ্টজনক জবাব দিতে না পারে তাহলে এখন অনুচ্ছেদ ৪ অনুযায়ী শাস্তি হবে। প্রথমত, সতর্কবার্তা দেয়া হতে পারে। দ্বিতীয়ত, ১৫ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা হতে পারে। তৃতীয়ত, ৫০ হাজার মার্কিন ডলারও জরিমানা হতে পারে। চতুর্থত, এক বছর, দুই বছর অথবা ৫ বছর ভেন্যুতে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ না হওয়ার শাস্তিও মিলতে পারে। এখন দেখা যাক কি ঘটে। গত বছর অক্টোবরের পর থেকেই দেশে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ খেলতে নামার আগে প্রায় ১০ মাস কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি। এ সুযোগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট, মাঠ সংস্কার করা হয়। আউটফিল্ড এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য মাঠের উপরিভাগ থেকে ছয় ইঞ্চির মতো মাটি তুলে ফেলা হয়। মাঠের নিচ দিয়ে যেসব পাইপ বৃষ্টির পানি বাইরে সরিয়ে দেয় সেগুলো পরিষ্কার ও প্রয়োজনে মেরামত করে নতুন করে ফেলা হয় বালু মাটি (সিলেট স্যান্ড)। তার ওপর লাগানো হয় বারমুডা ঘাস। আউটফিল্ডের কাজে হাত দেয়ার আগে নতুুন করে কালো মাটি ফেলা হয়েছে উইকেটেও। পুরানো মাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে দুই ইঞ্চির মতো। প্রায় ১০ বছর পর মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটকে নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। এই সংস্কারের পর অস্ট্রেলিয়া দল প্রথম টেস্ট খেলে। সেই টেস্টেই আউটফিল্ডের বেহাল দশা ধরা পড়ে। তাতে করে আইসিসি অসন্তুষ্টও হয়।
×